আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সরকারের কর্মকাণ্ড ও দলীয় কার্যক্রমের ‘সঠিকতা’ যাচাইয়ের পাশাপাশি রাজনীতির ‘নতুন সমীকরণ’ করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

দলটির নীতি নির্ধারণী একাধিক নেতারা সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারের কার্যক্রম নিয়ে বিভিন্ন সংস্থা জরিপ করছে ও ফলাফল প্রকাশ করছে। কিন্তু সেই সকল জরিপের সঠিকতা নিয়ে নানা প্রশ্নও রয়েছে। সেক্ষেত্রে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে তৃণমূল মানুষের প্রত্যক্ষ রায় পাওয়া যাবে। আর এই ফলাফল রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণের সঠিকতা নিশ্চিত করবে।

দলটির সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ‘বিরোধীরা সরকারবিরোধী আন্দোলনে জনসমর্থন পায়নি। অপর দিকে নির্বাচনের ফলাফলেও সরকারবিরোধী জনরায় আসেনি। সেক্ষেত্রে সরকারের কার্যক্রম যাচাইয়ের জন্য তৃণমূল ভোটের কোন বিকল্প নেই। পৌর নির্বাচনে বিরোধীরা যদি আমাদের চেয়ে বেশি, কিছু কম অথবা সমানও পেত তাহলে রাজনীতির হিসেবটা এক রকম হতো। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যদি বিরোধীরা আমাদের চেয়ে বেশি পায় তাহলে আমরা এক ভাবে ভাববো। আর যদি আমরা বিরোধীদের চেয়ে বেশি পাই তাহলে সরকার ও দলীয় কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য আরও গতিশীল কার্যক্রম পরিচালনা করবো।’

দলটির নেতারা মনে করেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পারাটাই সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন সফল হওয়ার মাধ্যমে সরকারের জনপ্রিয়তা যাচাই করা যাবে। যেহেতু দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেক্ষেত্রে দলীয় জনপ্রিয়তার প্রশ্নটিও রয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমরা যদি অধিকাংশ ইউপি চেয়ারম্যান পদে জয় লাভ করি। তাহলে আমরা সরকারি সিদ্ধান্ত ও দলীয় ভিশন বাস্তবায়নে আরও জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। ইউপি নির্বাচনের ফলাফলে আমরা বুঝতে পারবো জনগণ সরকারের পদক্ষেপগুলোকে সমর্থন করছে কী না।’