ইচ্ছে থাকলেও পূজাতে আর বেরুতে পারি না : জিৎ
দুর্গা পূজার ভরা জোয়ারে এখন গা ভাসিয়েছে শহর কলকাতা ও শহরতলী। সকাল থেকে রাত অবধি জনস্রোত উপচে পড়ছে বিভিন্ন মণ্ডপে। পূজার এই ভিড়ভাট্টা আর উদ্দাম আনন্দে শামিল হতে না পারার দুঃখটা আজও তাড়া করে ফেরে টালিউডের সুপারস্টার জিৎকে।
টালিউডে পা রাখার আগে নাকি রীতিমতো চুটিয়ে পূজার আনন্দ উপভোগ করেছেন তিনি। জিৎ যত দিন নায়ক হয়ে ওঠেননি, তত দিন বেশ ছিলেন। নিজেই জানিয়েছেন, নায়ক হওয়ার আগে কালীঘাটের বাসিন্দা জিতের কাছে পূজাটা ছিল এক্কেবারে পূজার মতোই। এখন অবশ্য পূজা আসে, পূজা যায়। কিন্তু একটা ঘেরাটোপের বাইরে আর আগের মতো বের হতে পারেন না এই সুপারস্টার।
আসলে এখন ঘর থেকে বের হলেই খ্যাতি আর জনপ্রিয়তার বিড়ম্বনায় হাঁসফাঁস দশা। ফলে আগের মতো আর ইচ্ছেডানায় ভর করে পূজাতে যেখানে খুশি চলে যেতে পারেন না। পারেন না বন্ধুদের সঙ্গে খোলা রাস্তায় দাঁড়িয়ে দেদার আড্ডা দিতেও। তাই বলে পুরনো স্মৃতিকে কি আর ভোলা যায়! তাই তো এবার পূজাতে সেই স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে টালিউডের এই সুপারস্টার জানিয়েছেন, আগে তো পূজার কয়েকদিন পাড়ার রকে বসে আড্ডা দেওয়া ছিল প্রতিদিনকার একরকম রুটিন। সেইসঙ্গে বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে পূজার প্ল্যান আর সাথে নানা বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক।
সামান্য বিষয় নিয়েও পূজার অবসরে কি তর্ক-বিতর্কই না বাধত বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে। যা আজ স্মৃতির খাতায় একরকম ঠাই নিয়ে নিয়েছে। আগে পূজাতে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে কোথায় যাব, কী করব; এসব প্ল্যান প্রোগ্রাম চলত চতুর্থী পর্যন্ত। তারপর পঞ্চমী পড়তে না পড়তেই ব্যাস। পাড়ার রক ছেড়ে সবাই মিলে রীতিমতো হল্লা করতে করতে বেরিয়ে পড়তাম দুর্গা প্রতিমা দেখতে। কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ।
নামিদামি কোনো প্যান্ডেলের প্রতিমা দেখা সাধারণত বাদ যেত না আমাদের তালিকা থেকে। আর ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে তো আর খালিপেটে বেশিক্ষণ চলা যায় না, তাই সব বন্ধুরা মিলে রীতিমতো চাঁদা তুলে করতাম খাওয়া-দাওয়া। অবশ্য সবার চাঁদার পয়সায় রেস্টুরেন্টের ধারে কাছে যাওয়ার সাহস হতো না। ফলে, খাওয়া-দাওয়া বলতে চলতো ফুচকা, ঘুগনি, মোগলাই-পরোটা আর এগরোল খাওয়া। হাতে খাবার নিয়েই কোনো কোনো সময় হন হন করে হাঁটা শুরু করতাম ঠাকুর দেখতে। এখন সেই দিনগুলো অনেক পুরনো হয়ে গেছে।
জিৎ বলেন, আসলে এখন জীবনটাই পালটে গেছে। ইচ্ছে থাকলেও পূজাতে আর বন্ধুদের সঙ্গে বের হতে পারি না। বাইরে বের হলেই ভক্ত আর শুভানুধ্যায়ীদের ভিড়ে নাজেহাল দশা হয়ে যায়। এমনিতেই তো বলতে গেলে সারা বছর শুটিং নিয়ে ব্যস্ততায় কেটে যায়। তাই পূজাতে যে কটা দিন ছুটি মেলে, এখন সেকটা দিন তুলে রাখি শুধু পরিবারের জন্য। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাই। আগের মতো বাইরে বেরিয়ে পূজাতে দেদার আড্ডা দেওয়া আর হয়ে ওঠে না। তাই এ বছরও পূজাতে পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটাচ্ছি। ভেবেই রেখেছি, সপরিবারে কলকাতার বাইরে কোথাও একটা ঘুরতে চলে যাব। তবে কোথায় যাব সেটা জানাব না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন