ইতিহাসের কয়েক রকম যৌনকর্মী
: বিশ্বের আদিমতম জীবিকাই হল পতিতাবৃত্তি। একটা সময় সমাজের অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন যৌনকর্মীরা। বিভিন্ন সময়ে ইচ্ছা অথবা অনিচ্ছায় অনেক নারীই এই পেশায় এসেছেন। প্রাচীন ভারতে এই বারবণিতাদের কিন্তু যথেষ্ট সম্মানের চোখেই দেখা হত।
বিশ্বের বিভিন্নপ্রান্তে কোনো কোনো সময়ে আবার ক্ষমতার আস্ফালনেই মেয়েদের বাধ্য করা হয়েছে এই পেশা বেছে নিতে। ইতিহাসে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সমাজের প্রতিফলন কিন্তু এই যৌনকর্মীদের সামাজিক অবস্থানের মধ্যে দিয়েই ফুটে ওঠে।
ছবিতে দেখুন কয়েক ধরনের যৌনকর্মীদের ইতিহাস
ইয়িং-চি: সেনাদের ‘মনোরঞ্জনের’ জন্য ১০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে ইয়িং-চি (ক্যাম্প হার্লট) নামে যৌনকর্মীদের একটি শিবির তৈরি করেছিলেন চিনের রাজা য়ু।
টেম্পল প্রস্টিটিউট: গ্রিসের মন্দিরের জন্য অর্থ উপার্জন এবং দেব-দেবীদের সেবা ছিল টেম্পল প্রস্টিটিউট বা মন্দির গণিকাদের প্রধান কাজ।
কমফর্ট ওম্যান: ১৯৩২ সাল নাগাদ জাপানে সেনা দপ্তরের একটি শাখা কমফর্ট স্টেশনে প্রচুর কোরিয়ান মেয়েদের এই পেশায় আসতে বাধ্য করে।
৪. অলেট্রিডেস: অলেট্রিডেস নামে বারবণিতাদের একটি অদ্ভুত দল ছিল। যারা নাচ-গানের পাশাপাশি মল্লক্রীড়ায় পারদর্শী ছিলেন।
গণিকা: ভারতীয় বিত্তবানদের জন্য নাচ-গান করতেন গণিকারা। কখনও কখনও শয্যাসঙ্গিনীও হতেন। কিন্ত বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতেন না বৈধব্যের ভয়ে।
হেতাইরা বা রক্ষিতা : এরা ছিলেন অ্যাথেন্সের উচ্চশ্রেণির পতিতা। কারণ একসময় এখানে পতিতাবৃত্তি ছিল আইনত সিদ্ধ। কিন্তু অধিকাংশ যৌনকর্মীদের পরিচয় গোপন থাকত।
তাওয়াইফ: অষ্টদশ-উনবিংশ শতক নাগাদ উত্তর ভারতে তাওয়াইফদের যৌনকর্মীদের তুলনায় পারফর্মিং আর্টিস্ট হিসেবেই বেশি পরিচিতি ছিল।
দেবদাসী: একটা সময় ভারতের কিছু কিছু মন্দিরে দেব-দেবীদের সেবা করানোর নামে অল্পবয়সী মেয়েদের দেবদাসী করে যৌনপেশায় বাধ্য করা হতো।
সূত্র : আনন্দবাজার
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন