শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

ইতিহাসে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি

ইতিহাসের নিবর সাক্ষী হয়ে এখনো সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে মানিকগঞ্জের বালিয়াটি জমিদার বাড়ি।

জমিদার বাড়িটি তৎকালীন জমিদারদের আভিজাত্যেরই বহিঃপ্রকাশ। কারুকার্য খচিত মনোমুগ্ধকর প্রতিটি ভবনের দেয়াল দেখলেই বোঝা যায় যে, তারা কতটুকু সৌন্দর্য প্রিয় ও রুচিশীল ছিলেন।

এই জমিদার বাড়ীটি ৫ একর ৩২ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত । এর সুউচ্চ ভবন, দৃষ্টি নন্দন বিশাল দিঘি,
ধ্বংসাবশেষ পুকুর ঘাটলা আজো সৌন্দর্যের আভাস ফুটিয়ে তোলে।

স্উুচ্চ জমিদার বাড়ীর প্রবেশ মুখে রয়েছে বিশাল দুটি সিংহদ্বার। সিংহদ্বার পেরোলেই খোলা চত্তর। তার পরই রয়েছে জমিদার বাড়ির মুল ভবন। জমিদার বাড়ীর আঙ্গিনায় রয়েছে চারটি বিশাল ভবন, বন্দীশালা, গোলাঘর, রংমহল, দরবার হল, অন্দর মহল। আরো আছে অন্দর মহলের শানবাধানো চার ঘাটলা বিশিষ্ট একটি দিঘী।

জানা যায়, মানিকগঞ্জের শিবালয় থানাধীন বিনোদপুর ছিল বালিয়াটি জমিদারদের পূর্ব নিবাস। মহেশরাম সাহা নামে জনৈক বৈশ বরেন্দ্র শ্রেণীর ছোট্ট এক কিশোর নিতান্তই ভাগ্যের অণে¦ষনে সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি আসেন এবং জনৈক পানের ব্যবসায়ীর বাড়িতে চাকুরি নেয়। পরবর্তীতে ঐ বাড়ির মেয়ে বিয়ে করে শশুরের সাথে ব্যবসা করে প্রথম শ্রেণীর ব্যবসায়ী হন। মহেশ রামের ছেলে ঘনেশ রাম লবনের ব্যবসা করে আরো উন্নতি লাভ করেন। ঘনেশরামের ঘরে গোবিন্দরামসহ চার ছেলে জন্ম গ্রহণ করে। গোবিন্দরাম বালিয়াটিতে বিয়ে করে এখানেই বসবাস শুরু করেন।

গোবিন্দরামের চার ছেলে যথাক্রমে আনন্দরাম, দধিরাম, পন্ডিতরাম ও গোপালরাম। এই চার ভাই প্রথমে একসাথে এবং পরে পৃথক পৃথক ভাবে ব্যবসা শুরু করেন। উক্ত চার ভাই থেকেই বালিয়াটি গোলাবাড়ি, পূর্ব বাড়ি, পশ্চিমবাড়ি, মধ্যবাড়ি ও উত্তর বাড়ি নামে ৫টি জমিদার বাড়ির সৃষ্টি হয়। আনুমানিক ১৭৯০ খৃষ্টাব্দে উক্ত চার ভাইয়ের মাধ্যমেই জমিদার বাড়ির গোড়াপত্তন হয়।

জমিদার বাবুরা বেশির ভাগ সময়ই রংমহলে কাটাতেন। রংমহলে তারা সুর, সরাব আর নর্তকীদের নৃত্যের ঝংকারে মগ্ন থাকতেন। বর্তমানে রংমহলের কক্ষটিতে শোভা পাচ্ছে জমিদারের ব্যবহার্য বিভিন্ন আসবাব পত্র। রংমহলে রাখা কাচের আয়না ও শ্বেত পাথরে দুটি গাভী খুব সহজেই সকলের দৃষ্টি কাড়ে।

জমিদার বাড়ি সর্ম্পকে স্থানীয় প্রভাষক সমরেন্দু সাহা লাহোর জানান, ১৯৮৭ সালে প্রতœতত্ব অধিদপ্তর এই জমিদার বাড়ির দায়িত্ব অধিগ্রহন করে। তারপর তারা পূর্বের আদলেই এটিকে রক্ষনাবেক্ষন করে। প্রতিনিয়তই এখানে দেশ বিদেশ থেকে পর্যটকরা আসে। জেলা শহর থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এবং এটিকে পর্যটন কেন্দ্রে পরিনত করা হলে এখানে আরো প্রচুর পর্যটক বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে সরকারও পাবে প্রচুর পরিমানে রাজস্ব আয়।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করা সেই বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
  • দেশে ফিরেছেন মুহাম্মদ ইউনূস
  • মিরপুরে ঝগড়ার জেরে ‘সাততলা থেকে ফেলে’ যুবককে হত্যার অভিযোগ
  • ‘হলে থাকতেন-টিউশনি করতেন, এখন পাঁচ-ছয় কোটি টাকার গাড়িতে চড়েন’
  • শুক্রবার বৈঠকে বসছেন ইউনূস-মোদি
  • এসএসসি পেছানোর দাবিতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি, যা বলছে শিক্ষা বোর্ড
  • মব-নারীবিদ্বেষ-তৌহিদি জনতা: দেশে চরমপন্থা বিকাশের সুযোগ সত্যি নাকি বিভ্রান্তি?
  • নাহিদ: আওয়ামী দুঃশাসনের ভুক্তভোগীদের কাছে ৫ আগস্ট অবশ্যই দ্বিতীয় স্বাধীনতা
  • দেশে গ্যাস অনুসন্ধানে মস্কোর সহযোগিতা চায় ঢাকা
  • ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে যে আহ্বান জানালো সৌদি আরব
  • ৬ ডলারে নামছে না রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা, কমছে ৫০ সেন্ট
  • আরও একমাস বাড়লো পাঁচটি সংস্কার কমিশনের মেয়াদ