বুধবার, নভেম্বর ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

ইতিহাসে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি

ইতিহাসের নিবর সাক্ষী হয়ে এখনো সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে মানিকগঞ্জের বালিয়াটি জমিদার বাড়ি।

জমিদার বাড়িটি তৎকালীন জমিদারদের আভিজাত্যেরই বহিঃপ্রকাশ। কারুকার্য খচিত মনোমুগ্ধকর প্রতিটি ভবনের দেয়াল দেখলেই বোঝা যায় যে, তারা কতটুকু সৌন্দর্য প্রিয় ও রুচিশীল ছিলেন।

এই জমিদার বাড়ীটি ৫ একর ৩২ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত । এর সুউচ্চ ভবন, দৃষ্টি নন্দন বিশাল দিঘি,
ধ্বংসাবশেষ পুকুর ঘাটলা আজো সৌন্দর্যের আভাস ফুটিয়ে তোলে।

স্উুচ্চ জমিদার বাড়ীর প্রবেশ মুখে রয়েছে বিশাল দুটি সিংহদ্বার। সিংহদ্বার পেরোলেই খোলা চত্তর। তার পরই রয়েছে জমিদার বাড়ির মুল ভবন। জমিদার বাড়ীর আঙ্গিনায় রয়েছে চারটি বিশাল ভবন, বন্দীশালা, গোলাঘর, রংমহল, দরবার হল, অন্দর মহল। আরো আছে অন্দর মহলের শানবাধানো চার ঘাটলা বিশিষ্ট একটি দিঘী।

জানা যায়, মানিকগঞ্জের শিবালয় থানাধীন বিনোদপুর ছিল বালিয়াটি জমিদারদের পূর্ব নিবাস। মহেশরাম সাহা নামে জনৈক বৈশ বরেন্দ্র শ্রেণীর ছোট্ট এক কিশোর নিতান্তই ভাগ্যের অণে¦ষনে সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি আসেন এবং জনৈক পানের ব্যবসায়ীর বাড়িতে চাকুরি নেয়। পরবর্তীতে ঐ বাড়ির মেয়ে বিয়ে করে শশুরের সাথে ব্যবসা করে প্রথম শ্রেণীর ব্যবসায়ী হন। মহেশ রামের ছেলে ঘনেশ রাম লবনের ব্যবসা করে আরো উন্নতি লাভ করেন। ঘনেশরামের ঘরে গোবিন্দরামসহ চার ছেলে জন্ম গ্রহণ করে। গোবিন্দরাম বালিয়াটিতে বিয়ে করে এখানেই বসবাস শুরু করেন।

গোবিন্দরামের চার ছেলে যথাক্রমে আনন্দরাম, দধিরাম, পন্ডিতরাম ও গোপালরাম। এই চার ভাই প্রথমে একসাথে এবং পরে পৃথক পৃথক ভাবে ব্যবসা শুরু করেন। উক্ত চার ভাই থেকেই বালিয়াটি গোলাবাড়ি, পূর্ব বাড়ি, পশ্চিমবাড়ি, মধ্যবাড়ি ও উত্তর বাড়ি নামে ৫টি জমিদার বাড়ির সৃষ্টি হয়। আনুমানিক ১৭৯০ খৃষ্টাব্দে উক্ত চার ভাইয়ের মাধ্যমেই জমিদার বাড়ির গোড়াপত্তন হয়।

জমিদার বাবুরা বেশির ভাগ সময়ই রংমহলে কাটাতেন। রংমহলে তারা সুর, সরাব আর নর্তকীদের নৃত্যের ঝংকারে মগ্ন থাকতেন। বর্তমানে রংমহলের কক্ষটিতে শোভা পাচ্ছে জমিদারের ব্যবহার্য বিভিন্ন আসবাব পত্র। রংমহলে রাখা কাচের আয়না ও শ্বেত পাথরে দুটি গাভী খুব সহজেই সকলের দৃষ্টি কাড়ে।

জমিদার বাড়ি সর্ম্পকে স্থানীয় প্রভাষক সমরেন্দু সাহা লাহোর জানান, ১৯৮৭ সালে প্রতœতত্ব অধিদপ্তর এই জমিদার বাড়ির দায়িত্ব অধিগ্রহন করে। তারপর তারা পূর্বের আদলেই এটিকে রক্ষনাবেক্ষন করে। প্রতিনিয়তই এখানে দেশ বিদেশ থেকে পর্যটকরা আসে। জেলা শহর থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এবং এটিকে পর্যটন কেন্দ্রে পরিনত করা হলে এখানে আরো প্রচুর পর্যটক বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে সরকারও পাবে প্রচুর পরিমানে রাজস্ব আয়।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না

গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন

জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে ‍সুবিধা পাওয়া যাবে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন

ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন

  • শাকিব: আমার ক্যারিয়ারের সব বিগ হিট সিনেমা ঈদ ছাড়াই এসেছে
  • এক বছরের মধ্যে নির্বাচন চান ৬১.১% মানুষ, সংস্কার শেষে ৬৫.৯%
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুপক্ষের সংঘর্ষ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ১০ মৃত্যু
  • জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করার পরামর্শ কমিশনের
  • দেশের সংকটে যে সমাধান দেখছেন তারেক রহমান
  • যে কারণে প্রতিমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
  • ‘হেফাজতের আপত্তির মুখে’ নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা বন্ধ
  • স্বর্ণের দামে ফের বড় লাফ, এগোচ্ছে নতুন রেকর্ডের দিকে
  • টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
  • রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
  • যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা