ইরাকি শরণার্থী ও মেসিডোনিয়ান সীমান্তরক্ষীর প্রেম-বিয়ে
শরণার্থী সংকটের তিক্ত অভিজ্ঞতায় কিছুটা আশার আলো ছড়িয়ে দিয়েছে এক ইরাকি নারী শরণার্থী এবং মেসিডোনিয়ান সীমান্তরক্ষীর প্রেমের গল্প। সম্প্রতি ওই যুগল কীকরে এক কর্দমাক্ত সীমান্তে তারা তাদের ভালোবাসার জনকে খুঁজে পেয়েছেন সে গল্প বলেছেন।
নুরা আরকাভাজি (২০) ইরাকের দিয়ালা থেকে তার পরিবারের সঙ্গে ইউরোপের উদ্দেশে পালিয়ে যান ২০১৬ সালের মার্চে।
মেসিডোনিয়ার কর্দমাক্ত সীমান্তে পৌঁছানোর পর নুরা তীব্র জ্বরে আক্রান্ত হন। এবং তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে হয়। সীমান্তরক্ষীরা তাকে ইংরেজিভাষা জানা কর্মকর্তা ববি ডোডেভস্কির হাতে তুলে দেন।
নুরাকে প্রথম দেখাতেই ববি তার প্রেমে পড়েন।
মি. ডোডভস্কি (৩৫) বিবিসিকে বলেন, “আমি অসংখ্য মেয়েকে দেখেছি। কিন্তু নুরার চোখে বিশেষ কিছু একটা দেখেছি। এবং আমি বলি: “এই তো পেয়েছি। নুরাকেই আমার স্ত্রী হিসেবে পেতে হবে। ”
ডোডভস্কির সহকর্মী আরেক নারী সীমান্তরক্ষী বলেন, নুরা তার মাথাটাই খেয়ে ফেলেছিল। কাজের সময়ও নুরা তাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল।
মিস আরকাভাজিকে চিকিৎসা দিয়েছিল রেড ক্রস। চিকিৎসার পর তিনি সাইবেরিয়া সীমান্তে টাবানোভস ক্যাম্পে পরিবারের সঙ্গে অপেক্ষা করছিলেন। তারা জার্মানিতে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন।
এসময় তিনি রেডক্রসের কাজ শুরু করেন। আর কাজের সূত্রেই ডোডভস্কির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এবং পরস্পরের সাথে আরো বেশি সময় কাটানোর সুযোগ পান।
ডোডভস্কি যেভাবে শরণার্থীদের বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতেন তা পছন্ত করতেন মিস আরকাভাজি। অথচ অন্য সীমান্তরক্ষীরা খুবই কর্কশ আচরণ করত।
২০১৬ সাল থেকেই মেসিডোনিয়া শরণার্থী ইস্যুতে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে। দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীগুলোও শরণার্থীদের সঙ্গে বাজে আচরণ করে। এমনকি সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করায় শরণার্থীদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ এবং অন্যান্য নিপীড়নমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়।
কিন্তু ডোডভস্কি মিস আরকাভাজির সঙ্গে অনেক কোমল আচরণ করেন। এমনকি তাকে খাবারও খেতে দেন ডোডভস্কি।
গত এপ্রিলে একটি রেস্টুরেন্টে বসে ডোডভস্কি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। আর কথাটি তাকে অন্তত ১০ বার বলতে হয়েছে। যাতে আরকাভাজি বিষয়টিকে কৌতুক মনে না করেন।
কিন্তু এটি ছিল খুবই অপ্রত্যাশিত। কেননা ডোডভস্কি একজন অর্থোডক্স খ্রিস্টান আর আরকাভাজি একজন কুর্দি মুসলিম।
যাইহোক, অবশেষে জুলাইয়ে মেসিডোনিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর কুমানোভোতে তার বিয়ে করেন।
এখন প্রত্যাশিত একটি নিরাপদ আবাসস্থল পেলেন আরকাভাজি।
ডোডভস্কির আগের সংসারগুলোর আরো তিন সন্তানের সঙ্গে বসবাস করছেন আরকাভাজি।
আরকভাজির গর্ভেও শিগগিরই একটি সন্তানের জন্ম হবে।
সূত্র: দ্য ইনডিপেনডেন্ট
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন