ইলিয়াছের যে সত্য গল্পটি শুনতে ভালো লাগবেঃ শরবতে প্রাণ জুড়ায় শত পিপাসুর
পৌরসদর থেকে দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার তারাকান্দি বাজার। প্রতিদিন ওই বাজারে বিকাল তিনটা থেকে শরবতের পসরা নিয়ে বসেন একই উপজেলার চরফরাদি ইউনিয়নের চরটেকি গ্রামের মোন্তাজ আলীর ছেলে ইলিয়াছ। চলে এশা পর্যন্ত। এরই মধ্যে শত শত পিপাসু তার তৈরি করা শরবর পান করে পিপাসা মেটায়। দামেও কম। গ্লাসপ্রতি ১০ টাকা।
ঠান্ডা পানি, তোকমা, ইছবগুল, হালিমদানা, আপেল, চেরিফল, খেজুর, রুহ আফজার মিশ্রণে তৈরি হয় ইলিয়াছের স্পেশাল শরবত। মফস্বলের বাজার হলেও ইলিয়াছের শরবতের দোকান খুবই ফিটফাটে। নিজেও খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। সবসময় মুখে লেগে থাকে একচিলতে হাসি।
বিকাল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ৪০০ থেকে ৫০০ গ্লাস শরবত বিক্রি করেন ইলিয়াছ। ইতোমধ্যে তার স্পেশাল শরবতের কথা ছড়িয়ে গেছে সর্বত্র। আশপাশের অনেক এলাকা থেকে শরবত পান করতে চলে আসেন অনেকে।
তেমনই একজন তরীকুল হাসান শাহীন। পেশায় প্রভাষক। তিনি বলেন, তারাকান্দি বাজারে ইলিয়াছের স্পেশাল শরবত স্পেশালই লাগে। তাই সদর থেকে প্রায়ই বন্ধুবান্ধব নিয়ে চলে আসি এখানে। খুব ভালো লাগে।
পাশে থাকা রাজন সরকার নামে অপর একজন জানান, এ শরবত খুবই স্পেশাল। গরমে ক্লান্তিভাব দূর করতে এখানে শরবত খেতে চলে আসি।
ছয় সদস্যের সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ইলিয়াছ মিয়া। তার পিতা কৃষিকাজ করেন। ইলিয়াছের উপার্জনের টাকা দিয়ে তাদের সংসার চলে। তার সংসারে মা, বাবা, স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। প্রতিদিন শরবত বিক্রি করে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করেন তিনি।
ইলিয়াছ জানান, ৫-৬ বছর ধরে শরবত বিক্রি করছেন তিনি। তবে বছরের নয় মাস তিনি শরবত বিক্রি করেন আর তিন মাস তারাকান্দি বাজারেই জিলাপির ব্যবসা করেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন
চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন
চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন