ঈদের ১২ দিন পরও কমছে না বাসভাড়া
ঈদের ১২দিন পরও স্বাভাবিক হয়নি পাবনা-ঢাকা রুটের বাস ভাড়া। এখনো লাগামহীনভাবে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করছে বাস মালিকরা। যাত্রীদের অভিযোগ, বাস কাউন্টারগুলোতে টিকেট কিনতে গেলে একেকজনের কাছ থেকে একেক রকম ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। কখনো দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এতে কর্মস্থলে ফিরতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়ছে যাত্রীরা।
এদিকে বাস মালিকপক্ষ বলছে, ঈদের কারণে যাত্রীদের চাপ থাকলেও মালিক সমিতির নির্ধারিত মূল্যই নিচ্ছে তারা। ঈদের আনন্দ স্বজনদের সাথে ভাগাভাগি করতে বেশি ভাড়া দিয়ে ঢাকা থেকে নানা ঝক্কি-ঝামেলা শেষে বাড়িতে ফিরেছিলেন বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ। ঈদ শেষ, তাই এবার কর্মস্থলে ফেরার পালা।
ঢাকা যাচ্ছে এমন কয়েকজন যাত্রী জানায়, প্রথমদিকে যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ আর অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে অনেকে সিদ্ধান্ত নেয় কিছুদিন পরে যাওয়ার। কিন্তু ঈদের ১২ দিন পার হলেও সে পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এখনো বাস কাউন্টারগুলোতে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ থাকায় ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে বেশি। সাধারণত পাবনা থেকে ঢাকার ভাড়া ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা। কিন্তু ঈদের পর থেকে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার দ্বিগুণ ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে কারো কারো কাছ থেকে। বেশি দামেও টিকেট না পেয়ে অনেক যাত্রী ফিরে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের ভাড়া ৫০০ টাকার জায়গায় নেওয়া হচ্ছে এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
শ্যামলী পরিবহন কাউন্টারের টিকেট মাস্টার মোস্তফা জামান সুইট বলেন, ‘পাবনা থেকে ঢাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৪২০ টাকা। অন্য সময়ে নেওয়া হয় ৩২০ টাকা। এটা মালিক সমিতিরই নির্দেশ। বেশি নেওয়া হয় না। মালিক সমিতির নির্ধারিত চার্ট অনুযায়ী ভাড়া নিচ্ছি আমরা।’
কিংস ট্রাভেলস কাউন্টারের টিকেট মাস্টার ওয়াহেদুজ্জামান রফিক বলেন, ‘দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। ৬০০ বা ৭০০ টাকা ভাড়া আমরা নিচ্ছি না। আমরা ৪২০ টাকা ভাড়া নিচ্ছি। ঈদের পর ঢাকা থেকে খালি গাড়ি আসে সেজন্য সামান্য কিছু ভাড়া বৃদ্ধি হয়।’
পাবনা জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি ফিরোজ খান বলেন, ‘ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ আমাদের কাছে নেই। সরকার নির্ধারিত চার্ট অনুযায়ী নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। কোনো মালিক যাতে বেশি ভাড়া না নেয় সে বিষয়েও আমরা সতর্ক আছি।’
এদিকে গর্তে ভর্তি পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টারমিনালের পরিবেশও যাত্রীদের জন্য বড় দুর্ভোগ। অসংখ্য গর্তে ভরা টার্মিনাল এলাকায় বৃষ্টিতে হাঁটুপানি জমে যায়। বিশুদ্ধ পানি ও টয়লেটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাও নেই।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন
চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন
চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন