উত্তরায় সাংবাদিক মাহমুদের উপর নির্যাতনের নেপথ্য গডফাদাররা এখনো ধরা চোয়ার বাহিরে
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন : রাজধানীর উত্তরায় অনুসন্ধানী সাংবাদিক মাহমুদুল হাসানের উপর সন্ত্রাসীদের হামলার ১ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো কোন বিচার হয়নি। কোন এক অজ্ঞাত কারনে মামলা,জিডি বা কোন প্রতিবাদ মানব বন্ধন হওয়া থেকে বিরত থাকায় অপহরন নিয়ে ক্রমেই রহস্য বাড়ছে।
২০১৫ সালের ৯ মে খিলক্ষেত হতে ডিবি পরিচয়ে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে উত্তরায় একটি বাসায় দুই দিন আটক রেখে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ ও আর সাংবাদিকতা করবেনা মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। তার নিকট হতে জোর পূবর্ক আদায় কৃত চেক দিয়ে আদালতে মামলা করা হয়।
মামলার এজাহারে জালিয়াত চক্র প্রধান অনিমেষ কুমার উল্লেখ করেন, ১০/১০/২০১৫ তারিখ দক্ষিনখান ডাচ বাংলা ব্যাংকে বসে তাকে চেক দেওয়া হয়,অথচ ১০/১০/২০১৫ তারিখ মাহমুদ উত্তরায় তাদেরই হাতে জিম্মী ছিল। উক্ত তারিখে মাহমুদের শাশুরী নাসিমা বেগমের সাথে তিনশত টাকার ষ্টাম্পে চুক্তি হয়। ষ্টামে নয় জন স্বাক্ষী হিসেবে সহি করে।
তবে একই দিনে একই সময়ে কিভাবে চেক মাহমুদ চেক দিল।কথায় আছে ধর্মের কল বাতাসে নড়ে।মামলা করে ফেসে গেছেন বাদী নিজেই। তার মামলার সুত্র ধরেই বেরিয়ে আসবে অপহরন,গুম,নির্যাতন,মুক্তিপন আদায় ও সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মুখোষ। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় মামলাতো দুরের কথা কোন কথাও তিনি বলতে চাচ্ছেন না।
দীর্ঘ ১৮ মাস পেরিয়ে গেলেও সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের শিকার মাহমুদ আজও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেনি তার বাম পা ভেঙ্গে দেয়া হয় ডান চোখে আঘাতের কারনে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অপহরন কারীরা দুই দিন হাতুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। পূর্ব হতেই মাথার চিকিৎসা নিচ্ছিলেন সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান। ১/১১এর সময় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হন তিনি।
পূনরায় ২০১২ সালে আড়িয়াল বিলে বিমান বন্দর নির্মাণকে কেন্দ্র করে এস আই মতিউর রহমানকে পিটিয়ে হত্যা করার দৃশ্য ক্যামেরায় ধারনকালে সন্ত্রাসীদের লাঠির আঘাতে মাথা ফেটে গুরুতর যখম হন মাহমুদুল হাসান। আহত মাহমুদুল হাসানের তোলা ছবি পরের দিন পত্রিকায় প্রকাশ হলে, ঐ পত্রিকাটি হাতে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পত্রিকায় প্রকাশিত নিমর্ম হত্যা কান্ডের ছবি দেখে কেঁদে ফেলেছিলেন।
২০১৩ সালে ধর্ষনের প্রতিবেদন প্রকাশ করায় সন্ত্রসীরা তার বাড়িতে হামলা করে তার পরিবারের সাত জনকে গুরুতর আহত করে।মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গোপনে গ্রেফতারী পরোয়ানার মাধ্যমে জেলে ভরা হয়। জেলের ভিতর অপর কয়েদীদের উপর নিষ্ঠুর আচরনের প্রতিবাদ করায় সুবেদার মিযান রোযা রাখা অবস্হায় পিটিয়ে আহত করে,এমনকি ব্রেইন চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ঔষধ-পত্র আটকে দেয়া হয়।কারা অভ্যন্তরীন থাকাকালীন জন্ডিসে আক্রান্ত হন।শীর্ণ শরীরে নির্দোশ প্রমানিত হয়ে বাসায় ফিরেন।
মাহমুদের বাড়িতে হামলা করে নারকীয় তান্ডব চালায় সরকারদলীয় ক্যাডার বাহিনী।গুরতর জখম ছাড়াও সন্ত্রাসীদের গুলির আঘাতে আজীবনের জন্য অন্ধ হন তার প্রবাসী চাচা। বৃহত্তর উত্তরায় নামধারী কার্ডধারী প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে একের পর এক প্রতিবেদন প্রকাশ করার পাশা পাশি পেশাগত সাংবাদিকদের একত্রিত করার লক্ষ্যে সামাজিক আন্দোলন শুরু করলে রাজ্য হারানোর ভয়ে পেশাগত অপরাধী ,মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারীদের মুখোষ একের পর এক খুলে যেতে থাকলে কথিত টাকা পাওয়ার নাটক সাজিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০১৫ সালের ৯ ই মে অপহরণ করে গুম করার চেষ্ঠা
চালালে মূহুর্তের মধ্যে সাংবাদিক মহলে অপহরন সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক নির্যাতন করে মুক্তিপনের বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এদিকে অপহরণ ঘটনায় চরমভাবে আতন্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে সাংবাদিক মাহমুদুল হাসানের পরিবার। সেই থেকেই তার স্ত্রী,সন্তান পরিবার বীহিন একাকী জীবন পার করছেন ।২৮ বছরের টগবগে যুবক মাহমুদুল হাসান। উত্তরা শহরের কথিত টিআইবি পুরস্কার প্রাপ্ত, মৃত্যুঞ্জয়ী,গুরুখ্যাত প্রতারক কিছু প্রভাবশালী দলীয় রাজনীতিবিদদের চক্ষুশুল হয়ে উঠে মাহমুদ।
প্রবল অনুসন্ধীসু মাহমুদের হাতে চলে আসে অসংখ্য অপকর্মের খতিয়ান সম্বলিত তথ্য। তার নিকট হতে নিয়ে নেওয়া হয় ল্যাপটপ ও ভেঙ্গে ফেলা হয় ক্যামেরা। অপহরনকারী চক্রটিকে প্রত্যক্ষ সহযোগীতা করে কিছু পুলিশ কর্মকর্তা। পত্রিকার বিভিন্ন প্রতিবেদনে দুর্নিতীবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদের তথ্য প্রকাশ পাওয়ায় তাঁরাও অপহরনের সরাসরি ইন্দন যোগায়।
দীর্ঘ সময় নিশ্চুপ থাকলেও গত কয়েক দিন আগে তার ফেসবুক আইডিতে দেয়া এক স্টাটাস নিয়ে মাহমুদুল অপহরনকারী চক্র ও এর নেপথ্য হোতাদের বিচারের দাবীতে সোচ্চার হয়ে উঠে উত্তরার সংবাদ কর্মী। অপহরনের পর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশ হলেও মুখ খুলেননি নির্যাতনের শিকার মাহমুদ।
সত্য,সুন্দর ও সত্য ধারার সাংবাদিকতার প্রতিক মাহমুদের অপহরন ও নির্যাতনের ন্যায় বিচারের মাধ্যমে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের প্রেরনা যোগানো রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে মধ্যেই পড়ে। মাহমুদ মুখ না খোললেও অধিকতর তদন্ত করা প্রশাসনের পক্ষ্য থেকে একান্ত জরুরী বলে মনে করে অভিজ্ঞ সাংবাদিক ও সচেতন নাগরিক সমাজ।
আমাদের কন্ঠস্বর
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন
ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২৩
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, শিক্ষার্থী, মহিলা আওয়ামী লীগবিস্তারিত পড়ুন