উত্তর বঙ্গে ধানের দাম না থাকায় হতাশায় কৃষক
রেজুয়ান হাবীব, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গে শুরু হয়েছে পুরোদমে ধান কাটার মহোৎসব। ফলন ভালো হওয়ার পরেও বাজারে ধানের দাম না থাকায় হতাশায় ভুগছে কৃষক। এ বছর ধান প্রতি মণ ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা।
এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। এর মধ্যে দেশীয় এবং বিদেশী বিভিন্ন জাতের আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। দেশীয় উদ্ভাবীত স্বল্প জীবন কালের ধান বিনা-৭, সুমন, স্বর্ন, ব্রি ধান ৩৩ ও বিভিন্ন প্রকার উচ্চ ফলনশীল হাইব্রীড ধানের চাষ করা হয়েছে।
অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ধানের দাম অনেক কম বলে জানিয়েছে কৃষকরা। এখনো কোন অটো রাইস মিল বা সরকার ধান সংগ্রহ করছে না তাই বাজারের এই অবস্থা মনে করছে কৃষক।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার খোচাবাড়ির কৃষক হযরত আলী(৫৮) জানান, এ মৌসুমে ৪ বিঘা জমিতে বিনা-৭ জাতের ধানের চাষ করেছি। কাটা মারা শেষ তবে বিঘা প্রতি ২২-২৪ মন হারে ফলন হয়েছে। ৫০০-৫৫০ টাকা দরে মণ হিসেবে বিক্রি করছি। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।
সরোজমিনে ঘুরে দেখা যায় পঞ্চগড় জেলার বৃহত্তম ধানের হাট কালীগঞ্জে ও ধানের দাম নেই। কালীগঞ্জ হাটের ধান বিক্রেতার সাথে কথা বললে তিনি জানান, পাঁচ বিঘায় গুটিস্বর্ণা ধানের আবাদ করেছিলাম। বিঘাপ্রতি ধানের ফলন পেয়েছি ২২ মণ। বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার টাকা। ধান বেচে দেখা যাচ্ছে উৎপাদন খরচ আর ধান বিক্রির টাকায় সমান সমান। ধান বেচে কোনো লাভের মুখ দেখলাম না।’
দিনাজপুর সদর উপজেলা শেখপুরা ইউনিয়ন এলাকার কৃষক বেলাল বলেন, বর্তমানে বাজারে স্বর্ন ধান প্রতি বস্তা (৭৫ কেজি ) ১১০০-১১৬০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। ধানের যে দাম আছে সে দামে ধান বিক্রি করলে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হব।
এবার চুক্তিবদ্ধ ও বর্গাচাষিরাও ক্ষতিগ্রস্ত। চুক্তিবদ্ধ ও বর্গাচাষিদের ধান কাটা ও মাড়াই শেষে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ধান অথবা সমপরিমাণ টাকা দিতে হয় গেরস্থকে। এবার গেরস্থর পাওনা মেটানোর পর নিজের পুঁজিই থাকছে না। বিরল এলাকার চুক্তিবদ্ধ চাষি আইনুল হক বলেন, ‘আমি দুই বিঘা জমি চুক্তিতে নিয়ে গুটিস্বর্ণা ধানের আবাদ করেছি। ধান বিক্রি করে কোনো লাভ হয়নি এবার। আমার পকেট থেকে দিতে হচ্ছে গেরস্থকে।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধান চাষীরা ভাল ফলন পেয়েছে। বর্তমানে ধানের দাম কিছুটা কম হলেও কয়েকদিন পরে আশানুরুপ দাম পাবে বলে আশা করছি। ‘আমন ধানের বাজারটা ব্যবসায়ী, পাইকার ও ফড়িয়া নির্ভর। কাটা-মাড়াইয়ের শুরু থেকেই ধানের বাজার তাঁরাই নিয়ন্ত্রণ করছেন। ফলে উৎপাদকেরা তাঁদের কাছে জিম্মি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

যেখানেই অসহায় মানুষের আর্তনাদ, সেখানেই তরুণ সোহেলের হাত!
আবু রায়হান মিকাঈল: কেউ স্বার্থপর হয়ে সুখী, কেউ স্বার্থ বিলিয়েবিস্তারিত পড়ুন

দিনাজপুরে তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, আটক ১
দিনাজপুরের খানসামায় তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এবিস্তারিত পড়ুন

মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ঃ দিনাজপুরে বয়লার বিস্ফোরণে
দিনাজপুরে যমুনা অটো রাইস মিলে বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেবিস্তারিত পড়ুন