উপমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কমিটি নিয়ে মারামারি, সাংবাদিক আহত
কোনো ধরনের কাউন্সিল অধিবেশন ছাড়াই নেত্রকোনা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটি প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একে অপরের দিকে চেয়ার ছুড়ে মারে।
সম্মেলনের প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের উপস্থিতিতেই আজ শুক্রবার নেত্রকোনা জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার ছবি তুলতে গেলে আওয়ামী লীগের কর্মীদের হামলায় কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন। এ ছাড়া উপমন্ত্রীর একান্ত সহকারী (এপিএস) সুপ্রিয় সরকার রাজুও আহত হন।
আহত সাংবাদিকরা হলেন প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি পল্লব চক্রবর্তী, ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি শ্যামলেন্দু পাল, মাই টিভির সাংবাদিক আনিসুর রহমান, সংবাদ প্রতিদিনের সাংবাদিক সালাউদ্দিন খান রুবেল, আমাদের সময় প্রতিনিধি আজারুল ইসলাম বিপ্লব। এদের মধ্যে পল্লব চক্রবর্তীকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি পায়ে ও মাথায় আঘাত পেয়েছেন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ছিল নেত্রকোনা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের প্রথম সম্মেলন। সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য পিনু খান।
জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কামরুনেছা আশরাফ দিনার সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। হাবিবা রহমান খান শেফালির সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়র রহমান খান, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসমা জেরিন ঝুমু। সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী খান খসরু, নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ।
মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, কথা ছিল উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে দুপুরে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন হবে। সেখানেই দলীয় নেতাকর্মীরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটি নির্বাচিত করবেন।
সম্মেলনে দুপুরে মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসমা জেরিন ঝুমু কামরুন্নেসা আশরাফ দিনারকে সভাপতি, হাবিবা রহমান খান শেফালিকে সাধারণ সম্পাদক এবং ফেরদৌসী আক্তারকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে একটি কমিটির প্রস্তাব দেন।
এ সময় প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীরা ‘মানি না, মানি না’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। তাঁরা কাউন্সিল অধিবেশনের মাধ্যমে কমিটি করার দাবি জানান। একপর্যায়ে দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে একে অপরের দিকে চেয়ার ছুড়ে মারতে থাকেন। পরে তা পাবলিক হল মিলনায়তনের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় ছবি তুলতে গেলে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
পরে মঞ্চ থেকে উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় নেমে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি ঘটনার পর পরই জেলা প্রেসক্লাবে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপমন্ত্রী বলেন, ‘অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় মহিলা আওয়ামী লীগের জেলা কমিটি ঘোষণা দেওয়ার কারণে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
দুর্গাপুরে মনি হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ঝগড়া ফেরাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের আঘাতে মনিরুজ্জামান মনি (৫০)বিস্তারিত পড়ুন
দুই ইঞ্জিনিয়ার ছেলে মাকে পিটালেন সম্পত্তির লোভে !
নেত্রকোনায় সম্পত্তির লোভের কারণে দুই ইঞ্জিনিয়ার ছেলের হাতে নির্যাতিত হয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন
মা ফিরে এসে দেখে পাশের একটি ঘরে কিশোরী পান্নার ঝুলন্ত লাশ ! বিক্ষোভ চলছেই
নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা গ্রামের কিশোরী পান্না আক্তারের ধর্ষকবিস্তারিত পড়ুন