উলিপুরে বুদ্ধি প্রতিবন্দী মমতাজ বেগম ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, এলাকায় তোলপাড়
উলিপুরে বুদ্ধি ও বাক প্রতিবন্দী এক যুবতীকে ফুসলিয়ে অন্তঃসত্ত্বা করেছে প্রতিবেশী শামসুল হক নামের এক লম্পট। ভিটে-মাটিহীন নিঃস্ব ঐ প্রতিবন্দীর মা উলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে গত ৫ দিনেও মামলা রেকর্ড করেনি পুলিশ। এ অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের নয়াড়ারা গ্রামে। এ ঘটনায় ঐ এলাকায় তোলপাড় চলছে।
জানা গেছে, ঐ গ্রামের হত দরিদ্র ভূমিহীন আছিয়া বেওয়া তার বুদ্ধি ও বাক প্রতিবন্দী কন্যা মমতাজ বেগম (২৬) কে নিয়ে অন্যের জায়গায় জীর্ণ-শীর্ণ একটি ঘরে বসবাস করে। জীবিকার তাগিদে মা আছিয়া প্রায়ই প্রতিবন্দী কুমারী কন্যাকে রেখে অন্যের বাড়িতে কাজে এবং গৃহপালিত তার ২/৩টি ছাগল নিয়ে মাঠে ঘাস খাওয়ানোর জন্য দিনের অধিকাংশ সময় বাইরে থাকতো।
এ সুযোগে প্রতিবেশী শামসুল হক প্রতিবন্দী মমতাজকে তার নির্জন বাড়িতে ডেকে নিয়ে ফুঁসলিয়ে তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। ৩ সন্তানের জনক ঐ লম্পটের সাথে মেলামেশার এক পর্যায়ে মমতাজ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তার শারিরিক অবস্থা দেখে স্থানীয় মহিলারা কানাঘুষা শুরু করলে বিষয়টি তার মায়ের কাছে পৌঁছে। এরপর মা আছিয়া বুদ্ধি ও বাক প্রতিবন্তী কুমারী কন্যার কাছে নানা আকার ইঙ্গিতে বিষয়টি জানার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে মমতাজ তার মায়ের হাত ধরে শামসুলের ঘরে নিয়ে গেলে ঘটনাটি ফাঁস হয় এবং শামসুল গা ঢাকা দেয়। পরে তার ডাক্তারী পরীক্ষা করলে সে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল হক ঘটনা জানার পর বৈঠক করে নিষ্পত্তির চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি হত-দরিদ্র ঐ বিধবাকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু আইনকানুন কি জিনিষ তার কিছুই বোঝেন না ঐ বিধবা। এ অবস্থায় তিনি অন্তঃসত্ত্বা কন্যাকে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। এ রকম পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী আশরাফ সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয়। তারই সহযোগীতায় গত ২০ অক্টোবর আছিয়া অন্তঃসত্ত্বা কন্যাকে নিয়ে থানায় যায়।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আছিয়ার কাছে সমস্ত ঘটনার বিবরণ শুনে লিখিত অভিযোগ নেন। অভিযোগ পাওয়ার ৫ দিন পর গত সোমবার একজন এসআই ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্তে এর সত্যতা পান।
অভিযোগ রয়েছে, ইতিপূর্বেও অনেক নারী ঐ লম্পটের পৈশাচিকতার শিকার হন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযোগ পত্রটি থানায় এজাহার হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি বলে জানা গেছে।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এস, কে, আব্দুল্লাহ আল সাইদ অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, মামলা রেকর্ড করলে আসামী গা ঢাকা দেয়। তাই এসপি সাহেবের নির্দেশ রয়েছে, আসামী ধরার পর মামলা রেকর্ড করা হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

অবিলম্বে তেহরান খালি করার আহ্বান ট্রাম্পের
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়ানোর আগেই তেহরানবাসীদের শহর খালি করারবিস্তারিত পড়ুন