সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

ঋণগ্রস্ত পরিবারের ৫ সদস্যের আত্মহত্যার চেষ্টা

রাজশাহীর দুর্গাপুরে ঋণগ্রস্ত হয়ে একই পরিবারের ৫ সদস্য কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পেয়ে আমজাদ হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেছে।

বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) মধ্যরাতের দিকে উপজেলার হোজা অনন্তকান্দি গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে।

আমজাদ হোসেন ওই গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে। আমজাদ তার বাবা আজিম উদ্দিন, মা আলেয়া বেগম, স্ত্রী রোজিনা বেগম ও ছেলে আপনকে সঙ্গে নিয়েই আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবেশীরা টের পাওয়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে পরিবারটি। এমনটিই দাবি করেছেন প্রতিবেশীরা।

আমজাদ হোসেনের প্রতিবেশীরা জানান, মধ্যরাতের দিকে হোজা অনন্তকান্দি গ্রামের আমজাদ আলীর সঙ্গে তার বাবা আজিম উদ্দিনের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। প্রায় ২০ লাখ টাকা ঋণের দায় নিয়ে গোটা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অশান্তি বিরাজ করছিল গত কয়েক মাস ধরে। ঘটনার রাতে বাবা-ছেলের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে আমজেদ আলী কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করবে বলে ঘোষণা দেয়। এরপর ঘরে গিয়ে বিষপান করে সে।

তার সাথে সাথে বাবা আজিম উদ্দিনও সপরিবারে আত্মহত্যা করবে বলে ঘোষণা দেন। এসময় প্রতিবেশীরা তাদের কান্নাকাটির শব্দ শুনে বাড়িতে ঢুকে আমজাদ আলীর কাছ থেকে কীটনাশকের বোতল কেড়ে নেয়। তবে কিছুটা কীটনাশক পান করে ফেলায় আমজাদকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।

উদ্ধারকারীদের মধ্যে রাহেদুল ও জালাল নামের দুই প্রতিবেশী জানান, আজিম উদ্দিনের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ভেতরে কান্নাকাটির শব্দ শোনা যায়। এরপর ভেতরে গিয়ে দেখা যায় আজিমের ছেলে আমজেদ বিষের বোতল নিয়ে বিষপান করেছে। এ সময় তার হাত থেকে বোতল কেড়ে নিয়ে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তবে অন্যরাও আত্মহত্যার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে পরিবারের সদস্যরা কেউ আমজাদকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেননি।

আমজাদ হোসেনের বাবা আজিম উদ্দিন জানান, প্রায় ৩ বছর আগে ছেলে আমজাদকে বিদেশে পাঠানোর জন্য ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা সুদের মাধ্যমে নিয়ে এক আদম ব্যাপারীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এরপর ওই টাকা নিয়ে সেই আদম ব্যাপারী পালিয়েছে। তখন থেকেই একের পর এক ঋণের বোঝা বাড়তে থাকে আজিমের পরিবারে। পরে সুদ ব্যবসায়ীদের হাত থেকে বাঁচতে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ তুলে সুদ ব্যবসায়ীকে দেয়া হলেও টাকা শোধ হয় না। এইভাবে চলতে চলতে ঋণ গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ২০ লাখ টাকায়। এত টাকা ঋণ শোধ করা তার পরিবারের পক্ষে একেবারে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে, বিভিন্ন এনজিওর লোকজন এবং এলাকার এক দাদন ব্যবসায়ী চড়া সুদে নেয়া টাকা পরিশোধের জন্য নানাভাবে চাপ দিয়ে আসছিল আজিম এবং তার ছেলে আমজাদকে। এ নিয়েই মূলত প্রায় সময় তাদের বাড়িতে দ্বন্দ্ব চলছিল। এ কারণে পরিবারের সব সদস্যই এক সঙ্গে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করে।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল কুমার চক্রবর্তী জানান, লোকমুখে এ ধরনের খবর শুনেছি। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন

কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী

কুড়িগ্রামে টানা ৬ দিন বন্যায়  ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।  মানুষজনবিস্তারিত পড়ুন

সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

দ্বিতীয় দফার বন্যায় সিলেট অঞ্চলে সাত লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্দি।বিস্তারিত পড়ুন

  • চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
  • সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টি
  • রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর আত্মহত্যা
  • ছুটি শেষে কর্মচঞ্চল আখাউড়া স্থলবন্দর
  • নোয়াখালীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ
  • নান্দাইলে চাচাতো ভাইয়ের হাতে চাচাতো ভাই খুন
  • সিলেট বিভাগের বন্যা ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে
  • সবুজবাগে পরিবেশমন্ত্রীর সেলাই মেশিন বিতরণ
  • ঈদযাত্রায় মহাসড়কে  চলছে ধীরগতিতে গাড়ি
  • হরিজনদের উচ্ছেদ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার প্রতিবাদ