এইচএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁস, ঠেকাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ
ফেসবুকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার জীববিজ্ঞান প্রথমপত্রের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। শত নিরাপত্তার বেষ্টনী ভেদ করে গতকাল মঙ্গলবার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার এক ঘণ্টা আগেই ফেসবুকে এক ব্যক্তি ওই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রকাশ করেন। ফলে বরাবরের মতো এবারও প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
আহমেদ নিলয় নামের এক ব্যক্তির ফেসবুকের টাইমলাইন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গতকাল সকাল ৯টা ৫ মিনিটে জীববিজ্ঞানের বহুনির্বাচনী অংশের প্রশ্নপত্র প্রকাশ করেছেন তিনি।
ফেসবুকে আহমেদ নিলয়ের পরিচয় হিসেবে দেয়া আছে, তিনি বুয়েট ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক। ফেসবুকে প্রকাশ করা প্রশ্নপত্রের সঙ্গে গতকাল পরীক্ষার প্রশ্নের হুবহু মিলও পাওয়া গেছে।
ওই ফেসবুক পেজে প্রশ্নপত্রের উপরে লেখা আছে, ‘প্রতিদিনের মতো আজকের সকাল বেলা প্রশ্ন সবাইকে ফ্রি দিলাম, শুধুমাত্র প্রমাণ দেয়ার জন্য। পরীক্ষার হল থেকে এসে মিলিয়ে নিও। আর যারা আগের দিন ১০,০০০ টাকা দিতে পেরেছো তাদেরকে একদিন আগে এই প্রশ্নটা দিয়েছিলাম। অনেকই বিশ্বাস করতে পারনাই তাদের কাছে প্রমাণ দেয়ার জন্য দিলাম।’
বিশেষ দ্রষ্টব্য দিয়ে পেজে আরো লেখা হয়েছে, ‘এখন কিছু চিটার বাটপার আছে, যারা আমার ফ্রি দেয়া প্রশ্নের কপি মেরে, ৫০০/১০০০ টাকা inbox বিক্রি করছে। এদের থেকে সাবধান হন, এবং চিটার বাটপার গুলিকে ধরতে সাহায্য করেন।’
তবে বুয়েট ছাত্রলীগ জানিয়েছে এ নামে তাদের কোনো কর্মী নেই।
প্রশ্নফাঁস বিষয়ে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শ্রীকান্ত কুমার চন্দ বাংলামেইলকে বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে আমরা কিছুই জানতাম না। আপনার কাছ থেকেই জানলাম। তবে আমরা তদন্ত করছি। যারা এই ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পরীক্ষার আগেই ফেসবুকে প্রশ্নপত্র প্রকাশ করা কীভাবে সম্ভব বলে মনে করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাধারণত পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্ন সকাল ৯টার মধ্যেই পৌঁছে যায়। সেখান থেকেই হয়তো প্রশ্ন ফাঁস হতে পারে।’
এদিকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহল শিক্ষা খাতে সরকারের অর্জিত সাফল্য ম্লান করতে পাবলিক পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়িয়ে শিক্ষাঙ্গন অশান্ত করার অপচেষ্টা চালায়। এ কুচক্রী মহলের ওপর কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। আপনারা কোনো গুজবে কান দেবেন না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে সবধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো আশঙ্কা নেই। প্রশ্নপত্র ছাপানো, পরিবহন এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার সময় প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কোচিং সেন্টার, ফেসবুক ও ফটোকপি মেশিন দোকান নজরদারিতে রাখা হবে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূস: নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এবার দুর্গাপূজারবিস্তারিত পড়ুন
সোমবারের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করেনবিস্তারিত পড়ুন
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৪ কোটি ডলার
এ মাসের প্রথম ১৪ দিনে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখবিস্তারিত পড়ুন