শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

সাবধান!!! এই কবরখানা থেকে কিছু তুলে আনলেই বিপদ! পিছু নেবে অতৃপ্ত আত্মা

কিছুদিন বাদেই ঠাকুমার হাতে এক রহস্যময় ছত্রাক গজাতে দেখা যায়। হাতের কয়েকটি আঙুলের নখ খুব দ্রুত বাড়তে শুরু করে। বাড়িতে সর্বদা ছেয়ে থাকে এক অমঙ্গলের ছায়া। বাড়ির পোষা কুকুরদের আচরণে অস্বাভাবিকত্ব দেখা দেয়।

সম্প্রতি একটি ব্লগে গ্রেগ নিউকার্ক এক ভদ্রলোক তাঁর ঠাকুমার জীবনের এক অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন। ঠাকুমা নাকি পেরু থেকে একটি বস্তু নিয়ে আসেন আমেরিকায় তাঁর বাড়িতে। আর তার পরেই শুরু হয় বেদম গণ্ডগোল। ১৯৭০ দশক নাগাদ ভদ্রমহিলা পেরু ভ্রমণে যান এবং সেখান থেকে এক মমির হাত নিয়ে আসেন।

কিছুদিন বাদেই ঠাকুমার হাতে এক রহস্যময় ছত্রাক গজাতে দেখা যায়। হাতের কয়েকটি আঙুলের নখ খুব দ্রুত বাড়তে শুরু করে। বাড়িতে সর্বদা ছেয়ে থাকে এক অমঙ্গলের ছায়া। বাড়ির পোষা কুকুরদের আচরণে অস্বাভাবিকত্ব দেখা দেয়। ক্রমশ হঠাৎ হঠাৎ গ্যাসের বার্নার জ্বলে উঠতে শুরু করে, বাথরুমে বন্ধ শাওয়ারে ঝরঝর করে জল পড়তে শুরু করে।

একদিন গ্রেগ (তখন বালক) বাড়িতে একা ছিলেন। ঠাকুমা ও দাদু তখন চার্চে। হঠাৎই তাঁর একটা ছমছমে অনুভূতি হতে শুরু করে। তিনি অনুভব করেন ঘরে কেউ প্রবেশ করেছে। কিন্তু সে শরীরী অবয়ব-সম্পন্ন নয়। কাঁধের উপরে কারোর স্পর্শ অনুভব করেন গ্রেগ। কিন্তু ঘাড় ঘুরিয়ে কারোকে দেখতে পাননি। প্রচণ্ড ভয় পেয়ে যান তিনি। একটু পরেই ঠাকুমারা ফিরে আসেন। তখনকার মতো ব্যাপারটা মেটে।

কিন্তু প্যারানর্মাল কাণ্ড-কারখানা চলতেই থাকে। অবস্থা এমন দাঁড়ায়, সেই বাড়িতে বাস করাই অসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। কারোর পরামর্শে সেই হাড়টিকেই চিহ্নিত করা হয় সব নষ্টের গোড়া হিসেবে। বর্জন করা হয় সেই হাড়। ততদিনে ১৮ বছর কেটে গিয়েছে। গ্রেগের পরিবার ততদিনে বিধ্বস্ত।

কেথা থেকে এনেছিলেন ঠাকুমা সেই হাড়? গ্রেগ পরে জানতে পারেন, পেরুর সবথেকে রহস্যময় জায়গা চাউচিল্লা সেমেট্রি থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল এই হাড়। ১০২০-এর দশকে খোঁজ পাওয়া যায় এই প্রাচীন সমাধিক্ষেত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে প্রত্নবিদরা জানান, নবম শতকের পরে আর এই কবরখানা ব্যবহৃত হয়নি।

আশ্চর্যের বিষয় এটাই, এই কবরখানায় মৃতদেহগুলিকে তাদের জীবদ্দশায় ব্যহবহৃত জিনিসপত্র-সহ বসিয়ে রাখা হত। প্রাচীন পেরুভিয়ান বিশ্বাস অনুযায়ী, চাউচিল্লা এক জাদু-এলাকা। বিভিন্ন বিচিত্র কালোজাদু এখানে ক্রিয়াশীল রয়েছে। আরও আশ্চর্য বিষয়, একানকার মৃতদেহগুলি আজও বিদ্যমান। তাদের সে অর্থে মমি করা না-হলেও তারা ওই অঞ্চলের শুকনো আবহাওয়ার কারণে টিকে গিয়েছে এই দীর্ঘ সময়। আজ চাউচিল্লা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের জায়গা। কিন্তু ১৯৭০-এর যে সময়ে গ্রেগের ঠাকুমা সেখানে গিয়েছিলেন, তখন তেমন জনপ্রিয় ছিল না এই জায়গা।

গ্রেগের অভিজ্ঞতা নাকি অনেকেরই হয়েছে। চাউচিল্লা থেকে কোনও ‘মেমেন্টো’ এনে বিপদে পড়েছেন, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। পেরুর প্রাচীন নাজকা সংস্কৃতির অন্যতম নিদর্শন চাউচিল্লাকে স্টিভেন স্পিলবার্গও তুলে এনেছিলেন তাঁর ‘ইন্ডিয়ানা জোনস’ সিরিজের শেষ ছবিতে। সেখানেও এই কবরখানা ছিল রহস্যময়, অপ্রাকৃত।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ