এই খবর পড়লে সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করাতে ভয় পাবেন!
স্থানীয় মহেশপুর এলাকার বাসিন্দা এক গৃহবধু শেফালি বিবি(২৫) প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন গত ২৮ মে৷
সরকারি হাসপাতালের ইউএসজি রিপোর্টে উল্লেখ ছিল মায়ের গর্ভে একটি সন্তান রয়েছে। সেই অনুযায়ী অস্ত্রোপচার করতে গিয়েই অবশ্য সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের চোখ কপালে উঠল। কারণ, ইউএসজি রিপোর্ট অনুযায়ী শেফালি বিবির গর্ভে একটি শিশু থাকার উল্লেখ থাকলেও, বাস্তবে যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। ইউএসজি রিপোর্টের এমন ভুল নিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসকরাই ক্ষুব্ধ। এমন ভুলে অস্ত্রপচারের সময়ে মা এবং শিশুর প্রাণহানিও হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
স্থানীয় মহেশপুর এলাকার বাসিন্দা এক গৃহবধু শেফালি বিবি(২৫) প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন গত ২৮ মে৷ হাসপাতালের ভেতরে থাকা পিপিপি মডেলের একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারেই ইউএসজি করান তিনি৷ সেখানে পরীক্ষার পরে রিপোর্টে চিকিৎসকক টি কে পাল উল্লেখ করেন, শেফালির গর্ভে একটি স্বাভাবিক সন্তান রয়েছে৷ সেই রিপোর্ট অনুযায়ী গতকাল হাসপাতালের চিকিৎসকরা ওই মহিলার সিজার করাতে যান৷ কিন্তু অস্ত্রপচারের সময়ে চিকিৎসক গৌতম প্রতিহার চমকে যান৷ তিনি দেখেন মহিলার গর্ভে দু’টি জীবিত বাচ্চা রয়েছে৷ কোনও বিপত্তি এড়িয়েই সফলভাবে অস্ত্রপচার শেষ করেন তিনি৷ বর্তমানে শেফালিদেবী এবং তাঁর যমজ সন্তান প্রত্যেকেই সুস্থ্য রয়েছে৷ তা সত্ত্বেও রোগীর পরিবার তো বটেই, হাসপাতালের চিকিৎসকরাও ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করেছেন। অপারেশন করার পরে চিকিৎসক গৌতম প্রতিহার বলেন, ‘ এর আগেও এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের করা পরীক্ষায় ভুল রিপোর্ট এসেছে৷ এবারও তাই হয়েছে৷ ভুল রিপোর্টের জন্য অপারেশনের সময়ে মা এবং সন্তানের প্রাণহানিও হতে পারে। তবে সৌভাগ্যবশত তেমন কিছু এবার ঘটতে দিইনি৷ তবে সব সময়ে তা সম্ভব নাও হতে পারে৷ যমজ বাচ্চা বা বাচ্চার অবস্থান অনুসারে অপারেশনের পরিস্থিতি নির্ধারণ করতে হয় চিকিৎসকদের৷ আমরা বিষয়টি উপরমহলে জানাচ্ছি৷’
ওই মহিলবার বাবা সৈদুল রহমান বলেন ‘ এর ফলে রোগীর ক্ষতি হতে পারতো৷ সরকারি হাসপাতালকে আমরা নিশ্চিন্তে চিকিৎসার জায়গা বলেই মনে করি৷ সেখানে এমন হলে আমরা যাবো কোথায়? চিকিৎসকদেরই এর দায়িত্ব নিতে হবে৷’ এবিষয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক গোপাল দে বলেন, ‘আমরা এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পাইনি৷ এই সমস্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে রাজ্যস্তরে চুক্তি হয়েছে৷ আমরা শুধু ওদের সতর্ক করতে পারি৷’ ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক টি কে পাল গাফিলতি স্বীকার করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘ এটা আমাদের ভুল৷ প্রকৃতপক্ষে আগে থেকে এই পরীক্ষা করানো হয়নি, তাই শেষ পর্যায়ে এমন করাতে গেলে ভুলগুলো হয়ে থাকে৷ তবু আরও ভাল করে দেখা দরকার ছিল৷ তবে পরের বার থেকে সাবধান হতে হবে আমাদের৷’ পরিস্থিতি যা, তাতে এমন ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা করানো ছাড়া স্থানীয় মানুষদের সামনে আর কোনও রাস্তাই এখন খোলা থাকছে না৷
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন