এই দ্বীপটি বিজ্ঞানীদের কাছে একটি বিস্ময়! কেন জানেন?
একটি ছোট্ট দ্বীপ যার নাম হয়তো খুব কম মানুষই জানেন কিন্তু বিজ্ঞানীদের কাছে এই দ্বীপের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণটা জানলে বিস্মিত না হয়ে পারবেন না। প্রকৃতি সত্যিই যেন এক জাদুকর।
ফিলিপাইনসের লুজোন দ্বীপের নাম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মানুষজন এবং বিশেষ বিশেষ শাখা ছাড়া পৃথিবার অন্যান্য প্রান্তের মানুষ খুব একটা জানেন না। কিন্তু জীববিজ্ঞানী ও পরিবেশবিজ্ঞানীদের কাছে এটি একটি ‘মিস্টিরিয়াস আইল্যান্ড’। পৃথিবীর যাবতীয় স্তন্যপায়ী প্রজাতির সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রজাতি এই দ্বীপেই পাওয়া যায়।
পৃথিবীতে মোটামুটি ভাবে ৫৬টি প্রজাতির স্তন্যপায়ী রয়েছে যারা উড়তে পারে না। এদের মধ্যে ৫২ ধরনের প্রজাতি একমাত্র এই দ্বীপেই রয়েছে, পৃথিবীর আর কোথাও নেই। ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর স্কট স্তেপ্পান জানাচ্ছেন, এই দ্বীপটি স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বসবাসের ঘনত্ব পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
গত ১৫ বছর ধরে এই দ্বীপটিতে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন বিষয়ের বিজ্ঞানীরা এবং এখানে গবেষণা করতে করতেই তাঁরা আবিষ্কার করেছেন অন্তত ২৮টি নতুন ধরনের প্রজাতি। এই নতুন প্রজাতিগুলি এবং সামগ্রিকভাবে দ্বীপে বসবাসকারী সমস্ত ধরনের স্তন্যপায়ীদের একটি ক্যাটালগও তৈরি করছেন তাঁরা।
এখনও পর্যন্ত যে ২৮টি নতুন প্রজাতি আবিষ্কৃত হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে চারটি বিশেষ ধরনের ট্রি-মাইস বা গেছো ইঁদুর। গবেষক স্তেপ্পানের বক্তব্য, নতুন প্রজাতি আবিষ্কার হওয়াটা খুব একটা আশ্চর্যের বিষয় নয় কিন্তু একটিমাত্র দ্বীপ, যা কিনা ৪০ হাজার বর্গমাইল আয়তনের, সেখানে এই ২৮টি রকম নতুন প্রজাতির স্তন্যপায়ী থাকাটা জীববিজ্ঞানে একটু বিস্ময়কর বইকি।-এবেলা
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন