এই ধরনের র্যাপার পেলেই ফাটিয়ে ফেলেন, ফেলে দেন? এমন আর করবেন না
জিনিসটি সকলের চেনা, এর পোশাকি নাম বাবল র্যাপার। নতুন কেনা জিনিসপত্রের বাক্সে প্রায়শই দেখা মেলে এই র্যাপারের। প্লাস্টিকের তৈরি নমনীয় ও স্বচ্ছ এই র্যাপার ভঙ্গুর জিনিসকে সুরক্ষিত রাখে। নতুন কেনা কোনও জিনিসের প্যাকেটের ভিতরে এই জাতীয় র্যাপার পেলে আপনি কী করেন? নিশ্চয়ই বাবলগুলো বসে বসে ফাটান, কিংবা পুরো র্যাপারটাই ফেলে দেন। কিন্তু জানেন কি, ঘরোয়া নানা ক্ষেত্রে এই র্যাপার অত্যন্ত কাজের জিনিস? কী কী কাজে লাগে এই ধরনের বাবল র্যাপার? আসুন, জেনে নেওয়া যাক—
১. গরম জিনিস ধরা: যে কোনও গরম জিনিস হাতে ধরার সময় তাতে যদি একটি বাবল র্যাপার জড়িয়ে নেন, তা হলে আর হাতে ছ্যাঁকা লাগার ভয় থাকবে না। চায়ের কেটলির হাতলে একটি বাবল র্যাপার জড়িয়ে সেলোটেপ দিয়ে আটকে দিতে পারেন। তা হলে আর উনুন থেকে গরম কেটলি নামানোর সময় হাতলটা ধরার জন্য বার বার ন্যাকড়ার খোঁজ করতে হবে না।
২ ঠান্ডার হাত থেকে মুক্তি: শীত যদি তেমন জাঁকিয়ে পড়ে, আর ঘরের জানলা যদি হয় কাঁচের, তাহলে অনেক সময়ে জানলা বন্ধ করেও শীতের দাপট থেকে মুক্তি মেলে না। সেক্ষেত্রে ঘর গরম করার একটা সহজ কৌশল কাজে লাগাতে পারেন। জানলার কাঁচে একটু জল ছিটিয়ে তার উপরে চেপে ধরুন একটি বাবল র্যাপার। খেয়াল রাখবেন, র্যাপারের সমতল দিকটা যেন আপনার দিকে থাকে। র্যাপার কাঁচে আটকে যাবে সহজেই। এবার দেখবেন, ঘর দিব্যি গরম থাকছে। ঘরে আলোরও অভাব হবে না, কারণ র্যাপারের মধ্যে দিয়ে দিব্যি আলো ঢুকবে ঘরে। আর বাইরে থেকে কাচ ভেদ করে কেউ আপনার ঘরে উঁকিঝুঁকিও মারতে পারবে না।
৩. ব্যাগকে ঠিকঠাক রাখা: চামড়া বা অন্য কোনও উপাদানে তৈরি ব্যাগ অনেক দিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকলে, তা দুমড়ে মুচড়ে যায়। যদি ব্যাগের ভিতরে কয়েকটি বাবল র্যাপার দলা পাকিয়ে রেখে দেন, তাহলে আর ব্যাগ দুমড়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তা থাকবে না।
৪. দেওয়ালকে সুরক্ষিত রাখা: ঘরে কি এমন কোনও দরজা রয়েছে, যেটা খুললেই দেওয়ালে গিয়ে ধাক্কা মারে? সেক্ষেত্রে দেওয়ালে একটা বিশ্রী দাগ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এরকমটা হলে দরজা খোলার সময়ে দরজার যে অংশটি দেওয়ালকে স্পর্শ করছে, সেখানে লাগিয়ে দিন একটি বাবল র্যাপার। ব্যস, দেওয়ালে দাগ হওয়ার চিন্তা থেকে মুক্তি।
৫. এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া: হয়তো দূরে কোথাও বেড়াতে যাচ্ছেন, আর সঙ্গে একটা চিনামাটির কাপডিশের সেট কিংবা কাচের গ্লাসের সেট নিয়ে যাওয়া জরুরি। কাপডিশ বা গ্লাসগুলিকে মুড়ে নিন বাবল র্যাপারে। তারপর নিশ্চিন্তে প্যাক করে নিন অন্য লাগেজের সঙ্গে। কাপডিশ বা গ্লাস ভেঙে যাওয়ার চিন্তা থাকবে না কোনও।
৬. পানীয়কে ঠান্ডা কিংবা গরম রাখা: ঠান্ডা পানীয়ের বোতল বা ক্যান ফ্রিজ থেকে বার করার পরে তার গায়ে জড়িয়ে দিন বাবল র্যাপার। ঘরের তাপমাত্রায় পানীয় চট করে গরম হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না। গরম চা বা পানীয়ের গ্লাসেও র্যাপার জড়িয়ে নিলে পানীয় গরম থাকবে বহুক্ষণ।
৭. স্টিয়ারিং বা বাইকের হাতলের গ্রিপ: গাড়ির স্টিয়ারিং হুইল কিংবা বাইকের হাতলে বাবল র্যাপার জড়িয়ে সেলোটেপ দিয়ে আটকে দিন। দামি গ্রিপ লাগানোর প্রয়োজন হবে না আর।
৮. শাকসবজি সুরক্ষিত রাখা: বাড়ির সবজি রাখার বাস্কেটের ভিতরের দিকটি বাবল র্যাপার দিয়ে মুড়ে দিন। টমেটো বা কলার মতো সবজি বা ফল রাখার সময়ে অসাবধানে সেই সমস্ত শাকসবজি ফেটে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
৯. খাবার গরম অথবা ঠান্ডা রাখা: বাজারে যাওয়ার থলি বা পলিথিনের ভিতরের দিকটি বাবল র্যাপার দিয়ে মুড়ে নিন। এবার ওই ব্যাগে করে বাজার থেকে আইসক্রিম নিয়ে আসুন। দেখবেন, আইসক্রিন গলে যাচ্ছে না। একইভাবে কোনও পাত্রে গরম খাবার ভরে পাত্রটিকে যদি বাবল র্যাপার দিয়ে মুড়ে দেন, তাহলে সেই খাবার অনেকক্ষণ গরম থাকবে।
১০. শীতকালে গাছপালাকে সুরক্ষিত রাখা: টবের গাছপালা অনেক সময়ে শীতে শুকিয়ে যায়। গাছগুলিকে ঢেকে রাখুন বাবল র্যাপার দিয়ে। তাহলে আর পাতা শুকোনোর ভয় থাকবে না।
কাজেই এবার থেকে নতুন কেনা জিনিসের সঙ্গে বাবল র্যাপার পেলে, সেগুলি যত্ন করে রেখে দিন। অনেক কাজে লাগে কিন্তু এই র্যাপার।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন