এই না হল বাবা! বলছে ছোট্ট মেয়ে
সব বাবার কাছেই তার মেয়েরা রাজকন্যা! সে রাজার মেয়েই হোক কিংবা ফকিরের মেয়ে৷ সব বাবাই চায় তার মেয়েকে সেই রাজকন্যার আসনে প্রতিষ্ঠা দিতে৷ আর তার জন্য দিন আনা দিন খাওয়া গরিব মানুষেরা রক্তজল করা পরিশ্রম করে৷ শুধুমাত্র তার মেয়ের মুখে হাসি ফোটাতে৷
সব বাবা মায়েরই তো ইচ্ছে করে তাদের ছেলে মেয়েকে দামী দামী জামাকাপড় কিনে দেওয়ার৷ এরমই এক বাবার গল্প শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে আপনারও৷
দিল্লিবাসী মহম্মদ কাউসর হোসেন৷ তিনি একজন ভিক্ষুক৷ দুর্ঘটনায় কাউসর হোসেন তাঁর ডান হাত হারিয়েছেন৷ পরিবারকে বাঁচানোর জন্য ভিক্ষা ছাড়া তার আর কোনও উপায় ছিলনা৷ ভিক্ষে করেই পরিবার চালাচ্ছিলেন কাউসার হোসেন৷ একদিন মেয়েকে নিয়ে একটি দোকানে গিয়েছিলেন তিনি৷ ঝকঝকে ওই দোকানে ঢুকতে গিয়েই দোকানের এক কর্মচারীর কাছে গলাধাক্কা খান৷ তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল মহম্মদ কাউসর হোসেনকে৷
বাবাকে এইভাবে অপমানিত হতে দেখে ছোট্ট মেয়ের চোখে জল চলে এসেছিল৷ সেদিনের মেয়ের চোখের জল দেখে তার বাবা প্রতিজ্ঞা করেছিলেন মনে মনে যে একদিন না একদিন সে তার মেয়ের মনের মতন একটি জামা কিনে দেবেন৷ সেই কারণে টানা দু’বছর ধরে তিলে তিলে জমিয়েছেন ভিক্ষের টাকা৷ অবশেষে সফল হল স্বপ্ন৷ ভিক্ষুক বাবা তার মেয়ের পছন্দমতন একটি হলুদ রংয়ের জামা কিনে এনে উপহার দিয়েছেন৷এরপর মেয়ের মুখের উচ্ছ্বাস-হাসি-আনন্দ মহম্মদ কাউসর হোসেনের সমস্ত কষ্ট ভুলিয়ে দিয়েছে৷
মহম্মদ কাউসর জানিয়েছেন, তার আরও কষ্টের কথা৷ ছেলে মেয়েকে অনেক কষ্ট করে বড় করতে হয়েছে৷ তাদের পড়ানোর মতন ক্ষমতা ছিলনা৷ তবু তিনি তার দুই ছেলেমেয়েকে শিক্ষিত করে তুলেছেন৷ মেয়ে তাকে প্রতিদিন খাইয়ে দেয় নিজে হাতে৷ তিনি আরও জানিয়েছেন, তার মেয়ের কোনও ছবিও ছিলনা তার কাছে৷ তাই মহম্মদ তার স্ত্রীকে না জানিয়ে সে তার প্রতিবেশীর কাছ থেকে একটি মোবাইল চেয়ে তার মেয়ের ছবি তোলেন৷ এই না হল বাবা…
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন