এই পাথরের কী এমন রহস্য? যা ভেবে কূল পাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরাই!
পেরুর প্রাচীন ইনকা সভ্যতার অনেক কিছুই রহস্যময় হিসেবে প্রতিভাত আজও। ইনকাদের ‘স্বর্ণসভ্যতা’-র মিথ যুগ যুগ ধরে আকর্ষণ করেছে ভাগ্য-সন্ধানীদের। সেই ভৌগোলিক অভিযানের কাল থেকে আজ পর্যন্ত ইনকা সভ্যতার বহু কিছুই প্রহেলিকা সৃষ্টি করে রেখেছে বাকি দুনিয়ার সামনে।
ইনকা সভ্যতার ধ্বংসাবশেষগুলির মধ্যে অন্যতম হল সেওয়াইট। আবানকে শহর থেকে ৪৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই প্রত্নক্ষেত্রটিকে ইনকাদের ধর্মীয় উপাসনাস্থল বলে মনে করা হয়। প্রত্নতাত্ত্বিকরা সেওয়াইটের মন্দিরে একটা সোনার ছড়াছড়ি ছিল বলে জানান। রহস্য কিন্তু সোনায় নয়। সেওয়াইটের মূল আকর্ষণ একটি বৃহদাকার পাথরখণ্ড, যা ‘সেওয়াইট মোনোলিথ’ নামে পরিচিত। এই বিশাল পাথরখণ্ডের উপরিতলে ২০০-রও বেশি জ্যামিতিক নকশা খোদাই করা রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে সাপ, ব্যাং ইত্যাদি প্রাণীর ছবিও।
কোনকাচা নামের এক পাহাড়চূড়ায় এই মোনোলিথটিকে দেখতে বিপুল সমাগম ঘটে পর্যটকদের। ভাল করে লক্ষ করলে দেখা যায়, পাথরটির উপরে কোনও জায়গার নিখুঁত টপোগ্রাফি খোদিত রয়েছে। গবেষক আরলান অ্যান্ড্রুজের মতে, এটি হয়তো ছিল পুরনিগমের কোনও মডেল নকশা, যা দেখে ইনকা বাস্তুবিদরা লোকালয় বানাতেন। তবে, এই নকশা যে বেশ কয়েকবার সম্পাদিত হয়েছে, তার নজিরও রয়েছে।
কিন্তু একথা কেউই বুঝতে পারেন না, কেন এক ধর্মীয় স্থানে এই বিশাল পাথরটি বিরাজ করছে। এর আসল উপযোগ কী ছিল, তা নিয়ে রীতিমতো ধন্ধ রয়ে গিয়েছে প্রত্নতাত্ত্বিকদের মনে। এই নকশাকে কোনও প্রাচীন শহরের নকশা বলে অধিকাংশ মানুষ মেনে নিলেও কোথায় সেই শহর আর তার নকশাই বা কেন এত গুরুত্বের সঙ্গে সংরক্ষণ করেছিল ইনকারা, তা বোঝা যায় না। সেওয়াইটের গোটা এলাকা জুড়ে বিরাজ করছে আরও অনেক রহস্যময় পাথরখণ্ড। কিন্তু মোনোলিথের মতো রহস্যময় তাদের কোনওটিই নয়।
সেওয়াইট বিশ্বের কাছে এমন এক রহস্য হয়ে রয়েছে, যার কোনও সমাধান আজকের সভ্যতার জানা নেই। এবেলা
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন