শিরোনাম দেখে হয়তো আঁতকে উঠেছেন। আবার হয়তো কেউ ভাবছেন কেন আমি মেয়েটির সাথে এমন ধরণের বাক্যালাপ করলাম। আসলে এমন ভাবাটাই স্বাভাবিক, কারণ আমাদের চোখ দুটো ভালোর চেয়ে খারাপে বেশি পাওয়ারফুল। তবে একটা কথা- আমি তো শুধুমাত্র এতটুকু ভাষা ব্যবহার করেছি মেয়েটির সাথে। আপনি হলে তাকে আস্ত রাখতেন কিনা কে জানে!!!

ঘটনাটি অতি সম্প্রতির। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোনো এক হাসপাতালে ভর্তি ৩ জন এইডস্ আক্রান্ত রোগী। ১ জন বাদে বাকীদের হয়তো ছিল এটা কর্মের ফল। যেজনের কথা বললাম বাদ, সেই জনকে নিয়ে হবে এবার আলাপ।

শুনুন তাহলে; হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে এইডস্ আক্রান্ত জনৈক এক রোগী। আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে এলাকার কেউই বিশ্বাস করতে পারছিল না লোকটির এইডস্ হতে পারে। কারণ- সত্যিকার অর্থে তার মতো সাদাসিধে মানুষ সাত গ্রামে খুঁজে পাওয়া দায়…! আর সেই মানুষটির কপালে আজ এমন ছাপ!!!

সবাই যখন বিষয়টি নিয়ে ঘোর ধোঁয়াশার মধ্যে, চারিদিকে কানাকানি আর গুঞ্জন, ঠিক তখন যেন আসমান থেকে আকাশ ভেঙে পড়লো! সব ধোঁয়াশা কেটে বেরিয়ে এলো আসল রহস্য। লোকটির স্ত্রীকে বিভিন্ন ডাক্তারী পরীক্ষা করে জানা গেলো তার স্ত্রীর শরীরে আগে থেকেই এইচআইভি (এইডস্) ছিল। যেটি বিয়ের পর তার স্বামীর শরীরে প্রবেশ করেছে।

ঘটনার গভীরে গিয়ে জানলাম আরো লৌমহর্ষকর কিছু রহস্য। বিয়ের আগে লোকটির স্ত্রী দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকা স্থানীয় এক ব্যক্তির সাথে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকেই তাদের এইডস্-এর সূত্রপাত। শেষ পর্যন্ত যার ভয়াবহ নির্মমতার শিকার এক নিষ্পাপ মানুষ।

হে তরুণী কি দোষ ছিল ঐ ছেলেটির? কেন তুমি তার শরীরে এইডস্ ঢুকালে??? শুধু তোমারই কারণে ছেলেটি আজ মৃত্যুর পথযাত্রী। কি মনে হয় তোমার? জীবন মানে কি শুধু ভাগ আর ভোগ? দুনিয়াকে স্বর্গ বানিও না, তাহলে নরক কিন্তু থাকবে তোমারই অপেক্ষায়!! আর একবার ভেবে দেখো তো; কি জবাব দিবে তুমি মরণের পর ঐ হাশরে?