একটি হুইল চেয়ার পারে প্রীতি কণার স্বপ্ন পূরণ করতে!
প্রীতিকণা জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। বাঁকানো পা দু’টো সোজা করতে ঢাকার একটি হাসপাতালে দু’বার অস্ত্রপাচারও করা হয়। ফলাফল এতোটুকু, অন্তঃত অন্যের সাহায্য ছাড়া কিছু দূর হাঁটতে পারে। শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রীতিকণা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মস্তবাপুর সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশুনা করে। বাড়ি থেকে ১ কি.মি পথ পাড়ি দিয়ে বৃদ্ধ ও অসুস্থ্য নানা শান্তি শরন সাহা প্রতিদিন তাকে সাইকেলে করে স্কুলে আনা নেয়া করেন। যেদিন তিনি বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন সেদিন প্রীতি কণার স্কুলে যাওয়া হয় না।
পিতৃহীন প্রীতি কণা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মস্তবাপুর গ্রামে নানা শান্তিসরন সাহার আশ্রয়ে আছে। স্বামী মারা যাবার পর প্রীতি কণার মা সুজাতা দরিদ্র বাবার বাড়িতে চলে আসেন। বাবা মায়ের দারিদ্রতার কথা ভেবে সুজাতা ঢাকায় গিয়ে একটি গার্মন্টে ফ্যাক্টরীতে কাজ করছেন।
শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করতে হবে, ভালো করে পড়ালেখা করতে হবে, এটা বোঝে প্রীতি কণা। তাই নানার সাইকেলে চড়ে নিয়মিত স্কুলে আসে সে। কিন্তু অসুস্থ্য নানা প্রতিদিন তাকে স্কুলে আনা নেয়া করতে পারেন না। এদিকে দরিদ্র শান্তি শরনের নাতনী প্রীতি কণাকে একটি হুইল চেয়ার কিনে দেয়ার সমর্থ নেই। তাই লেখা-পড়া চালিয়ে যেতে শান্তি শরন সাহা সমাজের বিত্তবানদের নিকট প্রীতি কণার জন্য একটি হুইল চেয়ারের দাবী জানান। প্রীতি কণা জানায়, একটি হুইল চেয়ার হলে সে নিয়মিত স্কুলে যেতে পারতো। পড়াশুনা করে একদিন ডাক্তার হবে, প্রতিবন্ধীদের পাশে দাঁড়াবে এমন আশা তার।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন
চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন
চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন