বুধবার, অক্টোবর ৩০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

একবার দুইবার নয় ৪৩ হাজার ২০০ বার ধর্ষণের শিকার যে তরুণী

কোঁকড়া চুল, সুশ্রী মুখ, সাবলীল আলাপচারিতা। বয়স ২৩। জন্ম, বেড়ে ওঠা মেক্সিকো সিটিতে। প্রথম পরিচয়ে বোঝার উপায় নেই, চোখ-মুখ থেকে আভা ছড়ানো এই নারীর জীবন কেটেছে কতটা অন্ধকারে। পাচারকারীদের নিষ্ঠুরতায় কীভাবে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে তাঁর জীবন।

কার্লা জেসিন্তো নামের ওই নারী সিএনএনকে জানিয়েছেন তাঁর জীবনের কালো অধ্যায়। কখন, কোথায়, কীভাবে তিনি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তার হৃদয়বিদারক বর্ণনা।

মেক্সিকো সিটির একটি বাগানে বসে কার্লা জানান, টানা চার বছরে প্রতিটি দিন, সপ্তাহ, মাস তাঁকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে পাচারকারীদের হাতে। দিনে কমপক্ষে ৩০ বার হিসাব করে মোটের ওপর ৪৩ হাজার ২০০ বার ধর্ষণের কথা জানান তিনি।

কার্লা জানান, মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি পাচারকারীদের হাতে পড়েন। তাঁর পাচারের গল্পটাও ছিল কৌতূহলোদ্দীপক।

এই নারী জানান, একদিন মেক্সিকো সিটির একটি পাতাল রেলস্টেশনের কাছে দাঁড়িয়ে কয়েকজন বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় মিষ্টান্ন বিক্রেতা একটি শিশু তাঁর হাতে একটি লজেন্স দিল। ওই শিশু তাকে বলল, কেউ একজন এটি পাঠিয়েছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে একজন যুবক তাঁর কাছে এলো। যুবকটি নিজেকে ব্যবহৃত গাড়ির ব্যবসায়ী পরিচয় দিল।

যুবকের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা হয় কার্লার। এর পর ওই ব্যক্তি তাঁকে জানান, তিনি নিজেও শিশু বয়সে লাঞ্ছিত হয়েছেন। তখন কার্লার মনে হলো, এ তো পুরোদস্তুর ভদ্রলোক। তাঁর সঙ্গে মেশা যায়।

ওই দিনই যুবকের সঙ্গে নম্বর বিনিময় হয় কার্লার। তিনি তাঁকে (কার্লা) প্রস্তাব দেন, মেক্সিকোর পুয়েবলার শহরে যেতে। কার্লাও গররাজি ছিল। এর কয়েক দিনের মধ্যে কার্লা সত্যিই এই লোকটির সঙ্গে পুয়েবলা গেল। এর জন্য অবশ্য তাঁর মায়েরও দায় ছিল।

একদিন রাতে দেরি করে ঘরে ফেরায় কার্লার মা তাঁকে ঘরে ঢুকতে দেয়নি। এর পরদিনই ওই লোকটির সঙ্গে চলে যান কার্লা। এর পর থেকে শুরু হয় তাঁর অন্ধকার জীবন।

‘আমি সকাল ১০টায় শুরু করতাম। চলত মধ্যরাত পর্যন্ত। শুরু এক সপ্তাহের জন্য ছিলাম গুয়াদালাজারায়। তখন হিসাব কষতাম। এই সপ্তাহ ধরে দিনে ২০ বার আমাকে বাধ্যতামূলক যৌনাচারে লিপ্ত হতে হতো। তখন আমার কান্নাকাটি দেখে কিছু লোক হাসত। আমাকে চোখ বন্ধ করে রাখতে বলা হতো, যাতে আমার সঙ্গে কী করা হচ্ছে, তা দেখতে না পাই’, বলেন কার্লা।

মেক্সিকোর এই নারী জানান, তাঁকে কয়েকটি শহরে বিভিন্ন পতিতালয়, রাস্তার পাশের মোটেলে রাখা হয়। কোনো ছুটির দিন বা অবসর ছিল না। পাচারের শিকার হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দিনে ৩০ বার বাধ্যতামূলক যৌনাচারে লিপ্ত হতে হতো। এভাবে ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিদিন ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে।

২০০৬ সালে মেক্সিকো সিটিতে এক পাচারবিরোধী অভিযানে মুক্ত হন কার্লা। সেই থেকেই তাঁর অন্ধকার জীবনের অবসান হয়।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন  

চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন

চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস

 শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন

ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন

  • স্বাধীনতার জন্য সিরাজুল আলম খান জীবন যৌবন উৎসর্গ করেছিল
  • ৫৩ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ১০৬ জনকে সম্মাননা দিল ‘আমরা একাত্তর’
  • হাতিয়ায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
  • ৫৭ বছর বয়সে এসএসসি পাস করলেন পুলিশ সদস্য
  • শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
  • চলে গেলেন হায়দার আকবর খান রনো
  • গফরগাঁওয়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক শামছুন নাহার
  • ‘ও আল্লাহ আমার ইকবালরে কই নিয়ে গেলা’
  • ভিক্ষুকে সয়লাভ নোয়াখালীর শহর
  • কঠিন রোগে ভুগছেন হিনা খান, চাইলেন ভক্তদের সাহায্য
  • কান্না জড়িত কন্ঠে কুড়িগ্রামে পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল
  • অজানা গল্পঃ গহীন অরণ্যে এক সংগ্রামী নারী