এক টুকরো গোলাপি হীরা, দাম ৫৭২ কোটি!
ডিমের আকারের এক টুকরো গোলাপি হীরা। নাম তার ‘পিংক স্টার’। ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার হংকংয়ে এটি নিলামে বিক্রি হয়েছে। দাম ৭ কোটি ১২ লাখ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি টাকায় ৫৭২ কোটির বেশি। রত্ন-পাথরের নিলামে এটিই বিশ্ব রেকর্ড। এক মডেলের আঙুলে হীরাটি দেখেন নিলামকারীরা। এর আগেও এই হীরা নিলামে উঠেছিল। তখন এর দাম উঠেছিল ৫৪১ কোটি টাকা। কিন্তু নিলামে যিনি কিনেছিলেন তিনি দাম চোকাতে পারেননি। তাই তখন বিক্রি করা যায়নি।
বিরল হীরাটি ৫৯ দশমিক ৬০ ক্যারেটের। এবার নিলামে তোলার পাঁচ মিনিটেই হীরার টুকরোটি বিক্রি হয়ে যায়। পালিশ করা রত্ন-পাথরের নিলামের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় লেনদেন।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ২০১৩ সালে একই ধরনের হীরা ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু এটির ক্রেতা পরে সময়মতো দাম পরিশোধ করেননি। তাই সবচেয়ে বেশি দামে রত্ন-পাথর বিক্রির রেকর্ডটি এতদিন ‘ওপেনহাইমার ব্লু’র দখলে ছিল। ১৪ দশমিক ৬২ ক্যারেটের হীরাটি গত মে মাসে পাঁচ কোটি ডলারে বিক্রি হয়।
এবার নিলামে বিক্রি হওয়া ‘পিংক স্টার’ ১৯৯৯ সালে আফ্রিকার একটি খনিতে পাওয়া যায়। এটি কাটতে দুই বছরের বেশি সময় লেগেছে। মঙ্গলবারের নিলামে হীরাটির দাম হাঁকাহাঁকি শুরু হয় ৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার থেকে। শেষ পর্যন্ত এটি কিনেছে হংকংয়েরই একটি প্রতিষ্ঠান চোউ তাই ফুক জুয়েলারি।
প্রতিষ্ঠানটি খুচরা গয়না বিক্রি করে। হীরক ব্যবসায়ী আলেক্সান্ডার ব্রেকনার বিবিসিকে বলেছেন, ‘পিংক স্টার’ একটি ব্যতিক্রমী পাথর। ইতিহাসে এত বড় গোলাপি হীরার দেখা আগে কখনো মেলেনি। অবিশ্বাস্য সুন্দর রং এবং বড় আকারের কারণেই এটি এত দামি। এ কারণেই গোলাপি হীরার নাম উঠে এল ইতিহাসের পাতায়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন