শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

এক সন্তান নিয়ে মায়ের আত্মহত্যা, বেঁচে গেল অপরজন

ঝালকাঠির রাজাপুরের আঙ্গারিয়া গ্রামের মিলবাড়ি এলাকায় স্বামীর সাথে অভিমান করে নিজঘরের ফ্যানের সাথে দুই সন্তানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে শিউলী বেগম (৩০) নিজেও ওই ফ্যানের সাথেই ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বড় মেয়ে চাঁদনী আক্তার (৬) ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও ছোট ছেলে ইউসুফ (৪) মারা গেছে। শিউলী বেগম আঙ্গারিয়া গ্রামের মিলবাড়ি এলাকার দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী। দেলোয়ার ঢাকায় বাস চালান।

দেলোয়ারে ভাই আবুল হোসেনের স্ত্রী শেফালি বেগম জানান, শনিবার বিকেলে শিউলী বেগম স্বামীর সাথে ফোনে ঝগড়া করে ঘরের দরজা বন্ধ করে আসবাপত্র ভাঙচুর করে। প্রায়ই এ রকম ঘটনা ঘটে আসছিলো। ভাঙচুরের শব্দ থেমে যাওয়ার পর শিউলীর বড় মেয়ে আঙ্গারিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী চাঁদনীর বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনতে পান। এ সময় প্রতিবেশীরা এসে দরজা ধাক্কাধাক্কি করলেও খুলতে ব্যর্থ হয়ে টিনসেট বিল্ডিংয়ের চালার টিন খুলে দেখতে পান ঘরের একই ফানের সাথে দুই সন্তানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে শিউলি ওই একই ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে নিজেও গলায় ফাঁস দিয়েছে।

পরে পুলিশ খবর দিয়ে স্থানীয় লোকজন ঘরে টিন খুলে ঘরে প্রবেশ করে বড় মেয়ে চাঁদনীকে জীবিত উদ্ধার করেছেন। বেঁচে যাওয়া চাঁদনী আক্তার বলে, দুপুরের পর বাবার সাথে মেয়ের ফোনে ঝগড়া হয় এবং ফোনটি ভেঙে ঘরের বাহিরে ফেলে দেয়। পরে মা রাগ করে ঘরের সব মাল-জিনিষ ভাঙচুর করে আমাকে (চাদনী) ধরে জোর করে একটি টুলের ওপর দাড় করিয়ে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। তখন আমি ভয়ে নিস্তব্দ হয়ে থাকি। পরে ছোট ভাই ইউসুফের গলায়ও ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে মা নিজেও ওই ফ্যানেই ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে পা দিয়ে টুল ফেলে দেয়। তখন আমার গলার ফাঁসও আটকে যেতে লাগলে মাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার শুরু করি।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর সাথে অভিমান করে নিজঘরের ফ্যানের সাথে দুই সন্তান চাদনী ও ইউসুফকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে শিউলী বেগম নিজেও ওই ফ্যানের সাথেই ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আল্লাহর অসীম রহমনে শিশু চাঁদনী আক্তার ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়। এ ঘটনায় ছেলে হত্যার ঘটনায় এবং আত্মহত্যার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। লাশ উদ্ধার করে ঝালকাঠি মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রকিব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তারাবির নামাজে দুই মুসল্লির হাতাহাতি, ঘুষিতে একজনের মৃত্যু

পটুয়াখালীর বাউফলে তারাবির নামাজ আদায়কে কেন্দ্র করে হাতাহাতির একপর্যায়ে একজনেরবিস্তারিত পড়ুন

গৃহবধূ সীমার লাশের দুই টুকরা উদ্ধার!

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় সীমা নামে এক গৃহবধূর মরদেহের দুই টুকরাবিস্তারিত পড়ুন

ঝালকাঠিতে গৃহবধূকে ধর্ষণ, আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে ..

ঝালকাঠিতে এক গৃহবধূকে ধর্ষনের আভিযোগে ঝালকাঠি থানায় মামলা দায়ের করাবিস্তারিত পড়ুন

  • অবসরপ্রাপ্ত পুলিশের অকাণ্ড, জীবন গেল নাতির
  • স্মার্টফোন চুরির অভিযোগে মা-মেয়ে-নাতনিকে নির্যাতন!
  • এ এক মহা উদ্যোগঃ শহীদদের স্মরণে শিখা প্রজ্জ্বলন করলেন বধ্যভূমি সংরক্ষণ সংগঠন ’হৃদয়ে একাত্তর’
  • আ. লীগ নেতাকে ছেলের গুলি, অল্পের জন্য রক্ষা!
  • স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে স্বামীর আত্মহত্যা
  • গাঁজাসহ গ্রেফতার যুবলীগ কর্মী কারাগারে
  • জাতীয় পতাকা উড়াবার চেষ্টায় পেটে পাইপ ঢুকে স্কুলছাত্রের করুন মৃত্যু
  • স্কুলের সামনে থেকে তুলে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে রাতভর গণধর্ষণ, অবশেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার
  • ঝালকাঠিতে নৈশপ্রহরীকে শ্বাসরোধে হত্যা
  • শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রবাসী জামাইয়ের লাশ উদ্ধার
  • ঝালকাঠিতে বিএনপির সম্মেলন স্থলে ১৪৪ ধারা জারি
  • ঝালকাঠিতে মন্দিরে হামলা, পুলিশসহ আহত ১০