“এখনও পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশ এক লাখ কোটি টাকা পাবে”
“পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশ এক লাখ কোটি টাকা পাবে। সেই পাওনা দেওয়া তো দূরে থাকুক, তারা কোনও মিটিংয়েও বসে না। এমনটা মন্তব্য করলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, শুধু আজ না কাল টালবাহানা করে। দুই বছর ধরে পাওনা নিয়ে কোনও মিটিংয়েও বসছেন না পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।”
শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌর ছাত্রলীগের কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, “তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বাংলাদেশের যত মানুষ ছিল তাদের অনেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল।
সেই অ্যাকাউন্টের টাকা তারা নিয়ে গিয়েছে। ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ১০ লাখ লোক মারা গিয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনদের জন্য ২০০ বিলিয়ন ডলার সাহায্য দেওয়া হয়েছিল।
যার একটি টাকাও পাকিস্তান আমাদের দেয়নি। সেই টাকা পাকিস্তানিরা লুট করে মেরে খেয়েছে, সেই টাকা আমাদের প্রাপ্য।”
মোজাম্মেল হক আরও বলেন, “পাকিস্তান রাজধানী করাচিতে করেছে, তারপর ইসলামাবাদ, এরপর রাওয়ালপিন্ডিতে। এই তিনটা রাজধানীর অর্ধেক আমাদের পাওনা।
পাকিস্তানের যত দূতাবাস ছিল, দূতাবাসের অর্ধেক আমাদের পাওনা। পাকিস্তানে যত বৈদেশিক মুদ্রা ছিল, অর্ধেক আমাদের টাকা ছিল। সেই হিসাবে তখনকার আমলের ১২ হাজার কোটি টাকা আমাদের ছিল।
আজকে সেখানে আমরা এক লাখ কোটি টাকা পাওনা হয়েছি। সেই টাকা তো তারা দিচ্ছেই না উল্টো পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে চায়।”
এর আগে গতকাল এক সাক্ষাৎকারে মোজাম্মেল হক বলেন, “পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো যখন বাংলাদেশে আসেন, তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই পাওনার বিষয়টি তুলেছিলেন।
এরপর বিভিন্ন সময় আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি মৌখিকভাবে বলেছে, তারা কর্ণপাত করেনি। এখন খবর শোনা যাচ্ছে, দেশটি নাকি আমাদের কাছে অর্থ পাবে। হাস্যকর বিষয়। আমরা আন্তর্জাতিক দরবারে যাবে।”
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূস: নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এবার দুর্গাপূজারবিস্তারিত পড়ুন
সোমবারের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করেনবিস্তারিত পড়ুন
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৪ কোটি ডলার
এ মাসের প্রথম ১৪ দিনে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখবিস্তারিত পড়ুন