শুক্রবার, নভেম্বর ১৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

এটিএমের টাকা উধাও, কারণ ক্যাশ মেশিনে ‘স্কিমিং ডিভাইস’

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় কয়েকটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে গ্রাহকদের অজান্তে টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। আর এটিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘স্কিমিং জালিয়াতি’ বলে মনে করছে। গতকাল শুক্রবার ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) এটিএম বুথ থেকে বেশকিছু গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে রাখা টাকা তুলে নেয় জালিয়াতরা। পরে বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নজরে আনায় এই এটিএম বুথগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়।

এদিকে ইবিএল গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা বেহাত হওয়ার ঘটনা তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী। এতে কোনো ব্যাংকের যদি নিরাপ্তাজনিত দুর্বলতা পাওয়া যায় তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংক জানতে পেরেছে, কয়েকটি ব্যাংকের ক্যাশ মেশিনে ‘স্কিমিং ডিভাইস’ লাগিয়ে রেখেছিল কেউ। যে দুই-তিন দিন এই ‘স্কিমিং ডিভাইস’ লাগানো ছিল, সেসময় যে গ্রাহকরা এই মেশিনগুলো ব্যবহার করেছেন তাদের কার্ডের তথ্য চুরি হয়ে গেছে।

আর কার্ডের তথ্য চুরি করে সেই তথ্য দিয়ে ক্লোন-কার্ড তৈরি করা যায়। যারা এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, তারা যদি এই ক্লোন কার্ডের পিন নম্বরও জোগাড় করতে পারে, তাহলে কার্ডটি ব্যবহার করে টাকাও তুলে নিতে পারে। এই ধারণার পক্ষে প্রমাণ হিসেবে কিছু তথ্যও পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর সেটি স্বীকারও করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভংকর সাহা।

তবে ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘আমানত গেলে তা অবশ্যই উদ্বেগের কারণ। তদন্ত না হলে বুঝা যাবে না আসলে কি ঘটেছে বা কিভাবে ঘটেছে ঘটনাটি। এর জন্য ব্যাংক নিজেদের মত করে তদন্ত করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও তদন্ত করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আলাদা করে কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করতে হয় না। কারণ যখনই ব্যাংখগুলোতে চুরি বা ডাকাতির ঘটনা ঘটে সেটাকে খুঁজে বের করার জন্য সবসময় অনসাইড ইন্সপেকশন করার জন্য টিম রয়েছে। আলাদা কমিটি করার প্রয়োজন পড়ে না।’

তিনি জানান, বুথ ব্যবহার করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় সবগুলো ব্যাংকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। যাতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে পারে। তদন্তের পর দায়ী হিসেবে যাদের পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এস কে সুর বলেন, ‘কোনো ব্যাংকেরও যদি নিরাপত্তাজনিত ঘাটতি আমরা খুঁজে পাই তবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার ইস্টার্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ডধারী অন্তত ২১ জন গ্রাহকের হিসাব থেকে টাকা উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটার অভিযোগ পাওয়া যায়। এরপর এ বিষয়ে সব ব্যাংকের জন্য সতর্কতা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিভিন্ন ব্যাংক তাদের নিজস্ব এটিএম বুথ ছাড়া অন্য ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তোলার সুযোগ সাময়িকভাবে স্থগিত করে দেয়।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের গ্রাহকদের নামে ৯০ লাখের বেশি ব্যাংক কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৫ লাখ ডেবিট কার্ড এবং পাঁচ লাখ ক্রেডিট। অন্যদিকে দেশজুড়ে বিভিন্ন ব্যাংকের প্রায় সাত হাজার এটিএম বুথ রয়েছে। আর সেই এটিএম বুথ নিয়েই এখন মানুষের যতো শঙ্কা।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন

ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন

ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন

রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২৩

রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, শিক্ষার্থী, মহিলা আওয়ামী লীগবিস্তারিত পড়ুন

  • জাহাঙ্গীরনগর রণক্ষেত্র, অর্ধশতাধিক আহত 
  • রাজধানীর শনির আখড়া ও ধনিয়ায় গুলিবিদ্ধ ৬
  • বিএনপি ও সমমনা দলের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • মিরপুরে অজ্ঞান পার্টির কবলে কিশোর, খোয়ালো অটোরিকশা
  • নয়াপল্টনে র‍্যাবের অভিযানে অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদিসহ আটক ১
  • গার্ডরুমে সহকর্মীর গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত
  • বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদকের ৭২ কর্মকর্তার চাকরি ছাড়ায় নানা আলোচনা
  • রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন
  • বায়ু দূষণ: শীর্ষস্থানে বাংলাদেশ, দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তান
  • ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, তাড়াহুড়োয় ভুল হয়ে গেছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
  • রাজধানীতে হাতিরপুলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
  • হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া