এবারের বিপিএলের সেরা তাণ্ডব দেখালেন প্রসন্ন
২২ বল। ৭ ছক্কা। ৫৩ রান। আরো নির্দিষ্ট করে বললে ১৮ বলে ফিফটি। ছক্কা ওই ৭টি। বিপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটিটাই করেছেন সেকুজে প্রসন্ন। শনিবার চট্টগ্রামে খুলনা টাইটান্সের হাত থেকে ম্যাচটা ছিনিয়েই নিয়েছিলেন প্রায়। কিন্তু ফিনিশিংটা দেওয়া হলো না। তবে এবারের বিপিএলের সবচেয়ে বড় তাণ্ডবটা যে প্রসন্নই দেখালেন। তার আক্ষেপটা থাকারই কথা।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খুলনা টাইটান্স ম্যাচটা ৯ রানে জিতে হাফ ছেড়েই বেঁচেছে। তাদের কাছ থেকে সেই আশাটাই কেড়ে নিচ্ছিলেন যে লঙ্কান ডান হাতি ব্যাটসম্যান। বোলিংয়ে ১ ওভারে ১১ রান দিয়ে আর বল পাননি সাকিব আল হাসানের কাছ থেকে। কিন্তু ১৫৮ রানের টার্গেট তাড়া করে ঢাকা ১০০’র আগে অল আউট হওয়ার শঙ্কাই জাগিয়ে তুলেছিল। কিন্তু শক্তিশালী প্রসন্ন দাঁড়িয়ে গেলেন।
সেই সাথে দাঁড়িয়ে গেলেন বুঝি এই খেলা দেখতে থাকা সবাই। ডাগ আউটে রোমাঞ্চ তো তরতর করে বাড়তে থাকে। ৮৩ রানে ৭ উইকেট পড়ে গেল ঢাকার। আর ব্যাটসম্যান নেই। প্রসন্ন ক্যারিয়ারের ৮৪ টি-টোয়েন্টিতে ১টি মাত্র ফিফটি করেছেন। সেটি ৫২ রানের। কিন্তু গড় ১৬.০০। ১৬০.১৯ স্ট্রাইক রেট কিছুটা ভরসা দেয়। কিন্তু ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর কিছুতেই নয়।
কোনো ব্যাটসম্যান আর অবশিষ্ট নেই। ১৩.৫ ওভারে প্রথম বলটি খেললেন প্রসন্ন। তখনো ৩৮ বলে ৭৫ রান লাগে ঢাকার। আশা ছেড়ে দিয়েছেন সবাই। শুধু প্রসন্ন ছাড়া। নিজের খেলা দ্বিতীয় বলটিতেই মোশাররফ হোসেনকে সীমানার বাইরে আছড়ে ফেললেন।
পরের ওভারে শান্ত। কিন্তু ঢাকার ইনিংসের শুরু থেকে বল হাতে আতঙ্ক ছড়ানো কেভন কুপারকে টার্গেট করে ফেললেন প্রসন্ন। কুপারের ৪ বল খেললেন। ৩টিতে মারলেন দুর্ধর্ষ ছক্কা। দ্রুত রান বেড়ে চলে ঢাকার। শফিউল ইসলামকে পরের ওভারে একট ছক্কা মারলেন। পরের ওভারে মোশাররফকে পর পর দুই বলে দুই ছক্কা! এই ওভারে পার্টনার সাঞ্জামুল ইসলামকে হারাতে হয়। এই ওভারেই ফিফটি হয় প্রসন্নর। ২০১২ বিপিএলে পাকিস্তানের আহমেদ শেহজাদ ১৬ বলে ফিফটি করেছিলেন। ওটা বিপিএলের দ্রুততম। দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটিটা এখন প্রসন্নর।
শেষ ১২ বলে ১৫ রান দরকার ঢাকার। খুলনার ২ উইকেট। সোহরাওয়ার্দি শুভ রান আউট তৃতীয় বলে। প্রসন্নকে স্ট্রাইক দিতে গিয়ে। শেষ ৬ বলে ১০ রান দরকার। স্ট্রাইকে প্রসন্ন। ঢাকা খুব আশা নিয়ে তাকিয়ে। শঙ্কায় খুলনা। যে মানুষটি তাণ্ডব চালিয়ে জয়ের বন্দরের কাছাকাছি এনেছেন দলকে তিনি বাকিটা পারবেন না? পারতেই চেয়েছিলেন প্রসন্ন। শেষ ওভারের প্রথম বলে কুপারকে লং-অফের ওপর দিয়ে বাইরে ফেলতে চেয়েছিলেন। শক্তিটা একটু কম ছিল। সীমানা পার হলো না। ফিল্ডার আরিফুল হক ম্যাচ জেতানো ক্যাচটা মিস করলেন না। প্রসন্নর মাথায় হাত। ঢাকার মাথায় হাত। ১৪৮ রানে অল আউট। তীরে এসে ডুবল তরি। তবে খাঁটি বিনোদন প্রেমীরা যা বিনোদন পাওয়ার তা ঠিকই পেয়ে গেছেন প্রসন্নর ব্যাটিংয়ে, তার কারণে রুদ্ধশ্বাস হয়ে ওঠা এই ম্যাচে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক নারী আম্পায়ার
দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি। গত ১০বিস্তারিত পড়ুন
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ : আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিদের নাম ঘোষণা
এক মাস পরেই শুরু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলা। আইসিসির প্রকাশিত তালিকাবিস্তারিত পড়ুন
মুস্তাফিজের আইপিএল খেলার ছুটি বাড়িয়েছে বিসিবি
আইপিএলের চলতি আসরে বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব করছেন কেবল মুস্তাফিজুর রহমান।বিস্তারিত পড়ুন