‘এমন কথা বললে নির্ঘাত গৌরী আমায় থাপ্পড় মারত’
শাহরুখ নাকি ব্যক্তিগত ভাবে একবিন্দুও রোম্যান্টিক নন। কিং খান নিজেই সেকথা জানালেন। ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর ওই যে বিখ্যাত সংলাপ যেখানে নায়ক বলছে, জীবনে সবকিছুর মতো প্রেমও একবারই হয় আর সেই সংলাপ শুনে নায়িকা নায়কের প্রেমে পড়ে যাচ্ছে এই ঘটনাটা শাহরুখের কাছে নেহাতই অবাস্তব গাঁজাখুরি মনে হয়। কারও ব্যক্তিগত জীবনে এমনটা কখনও ঘটবেই না।
তাকে নিয়ে লেখা বই সম্পর্কে বলতে গিয়েই শাহরুখ এসব কথা বলেন। অনেকটা পিকটোরিয়াল বায়োগ্রাফির আকারে বইটি লিখেছেন সমর। কিং খানের বিভিন্ন সময়কার ছবিতে ঠাসা বই। তবে বইটির বিশেষত্ব তার ভূমিকায়। ভূমিকাটি লিখেছেন শাহরুখ স্বয়ং। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘স্টারডম জিনিসটা বেশ বিরক্তকর।
একবার স্টার বনে গেলে ব্যস, আপনার নিজস্ব আইডেন্টিটি ক্রমশ সেই স্টারডমের পিছনে চাপা পড়ে যাবে। তখন সবাই আপনাকে স্টার হিসেবে চিনবে, স্টারের মতোই ট্রিট করবে। আমার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে। এই স্টারডমের পিছনে চাপা পড়ে আমার অভিনয়ের সুযোগও কমে গেছে অনেকটাই। পরিচালকরা আমার জন্য আর ‘আউট অব দ্য বক্স’ চরিত্র বাছেন না। এনিয়ে আদির (আদিত্য চোপড়া) সঙ্গে বিস্তর তর্ক হয় আমার। কিন্তু ওর একটাই কথা আমার স্টার ইমেজটাকে কাজে না লাগালে চলবে কেন?
অতএব আমি শুধুই রোম্যান্টিক হিরো। কিং অব রোম্যান্স। আরও কতশত ঘোড়ার ডিম তকমা লেগেছে আমার নামের পিছনে। আর তা সামলাতে সামলাতে হারিয়ে যাচ্ছে আসল শাহরুখ খান।’
স্টারডমের পেছনে চাপা পড়ে থাকতে চান না বলিউডের বাদশা। তাই সুযোগ পেলেই তিনি ‘ফ্যান’ বা ‘চাক দে’-র মতো চরিত্র করেন। বইটি উদ্বোধন করতে দিল্লি গিয়েছিলেন শাহরুখ। সেখানে বক্তৃতায় তিনি বলেন, একটু আলাদা চরিত্র করার সুযোগ পেলে তিনি খুশি হবেন। হয়তো ইন্ডাস্ট্রির পক্ষেও তা ভালোই হবে।
তিনি যে রোমান্টিক নন সে উদাহারণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘গৌরীর সঙ্গে যখন আমার প্রেমপর্ব চলছিল তখন তো নানা রকম ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে আমাদের সম্পর্ক কেটেছে তবু তো কখনও ওকে এমন মিষ্টি ডায়ালগ বলতে পারিনি। যদি বলতাম তাহলে নির্ঘাত গৌরী আমায় থাপ্পড় মারত। নাহলে এত হাসত যে গোটা ব্যাপারটা হাস্যকর হয়ে উঠত। অথচ সিনেমায় এমন সংলাপ থাকলে দর্শক হাততালি দেয়, পয়সা ছোড়ে।’
প্রেমে বিশ্বাস না বরলে এত বিশ্বাসযোগ্যভাবে প্রেমিকের ভূমিকায় অভিনয় করেন কী করে কিং খান? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন এর পুরো কৃতিত্বটাই তাঁর নায়িকাদের।
কাজল বা রানি নাকি তাঁকে রোম্যান্টিক হয়ে উঠতে সাহায্য করেছেন। ওঁদের সাপোর্ট ছাড়া এমন অভিনয় করতেই পারতেন না বলিউডের বাজিগর। তাঁর কথায়, ‘আমি নাচতে পারিনা। কাজল আমায় হাত ধরে নাচায়। রোম্যান্স করতে গিয়ে আমি হেসে ফেলি। তখন কাজল নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে সংলাপটাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে। ওঁর সঙ্গে থাকলে যে কারওরই রোম্যান্টিক লাগবে। ওঁর সঙ্গে তাল দিতে দিতেই আমি একটা মোটামুটি বিশ্বাসযোগ্য রোম্যান্টিক অভিনয় করে ফেলি।’ কাজল অবশ্য কিং খানের এমন উক্তির বিরোধিতা করেছেন। বলেছেন, ‘শাহরুখ যে কোনও চরিত্রের ভিতরে ঢুকে যায় বলেই ওঁর পক্ষে যে কোনও অভিনয়ই বিশ্বাসযোগ্যভাবে করা সম্ভব হয়।’ আদিত্য চোপড়াও কাজলের সঙ্গে একমত হয়েছেন। বলেছেন, ‘কোনও চরিত্র করার আগে বহুদিন ধরে হোমওয়ার্ক করে শাহরুখ। তবেই না ওঁর চরিত্রগুলো এত কনভিনসিং হয়ে ওঠে।’
সমর খান এর আগেও শাহরুখকে নিয়ে একটা ডকুমেন্টারি তুলেছিলেন। তখনও তিনি দেখেছেন শাহরুখের ডেডিকেশন। তাঁর মতে এই ডেডিকেশনই তাঁকে বলিউডের বাদশা করে তুলেছে।
সূত্র- বর্তমান
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন