এসএসসি পরীক্ষা, দুই ঘণ্টা আগে মিলল ৩২ শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র
নিয়ম অনুয়ারী পরীক্ষার এক সপ্তাহ পূর্বে প্রবেশপত্র ও রেজিস্টেশনকার্ড পরীক্ষার্থীরা হাতে পাওয়ার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার মাত্র দুই ঘণ্টা আগে প্রবেশপত্র হাতে পেয়েছে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার রৌহা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩২ পরীক্ষার্থী।
এর আগে পরীক্ষার আগের দিন বুধবার রাতভর ওই পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র পাবার আশায় গফরগাঁও থানা ও বিদ্যালয়ে দৌড়ঝাঁপ করে। রাতভর দৌড়ঝাঁপ করায় পরীক্ষার কোন প্রস্ততি নিতে পারেনি ওরা। আবার অনেক শিক্ষার্থী দুঃচিন্তা নিয়ে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় রাত কাটিয়েছে।
এর আগে হাইকোর্টে পরীক্ষার্থীদের রিটের আবেদনের শুনানি শেষে গত ২৩ জানুয়ারি বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম ফারুকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রৌহা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৯ পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র দেয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে বিশেষ দূতের মাধ্যমে প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড পৌঁছে দিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
শিক্ষার্থীরা জানায়, অন্য পরীক্ষার্থীদের ন্যায় আমরা পরীক্ষার ফি জমা দেই। পরে প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড পেতে প্রধান শিক্ষকের কাছে আবেদন করি। আবেদনের পর প্রধান শিক্ষক সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানালেও বোর্ড কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড সরবরাহ করেনি। পরে আইনি নোটিশ দিয়েও বোর্ড কর্তৃপক্ষের সাড়া না মেলায় শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টে রিট করে। রিটের শুনানি শেষে আদালত ওই সকল পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্র ও রেজিস্টেশন কার্ড সরবরাহ করতে বোর্ডকে নির্দেশ দেয়। তারপরেও গত বুধবার পরীক্ষার আগের দিন গভীর রাত পর্যন্ত প্রবেশপত্র পায়নি।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছর ধরে রৌহা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারুফ আহমেদ ও দরগাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলাল আহমেদ ঢাকার আশপাশের বিদ্যালয়গুলো থেকে যেসব শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। এদের কাছ মোটা অংকের টাকা নিয়ে নিজেদের বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন। আর পাশাপাশি ওই দুই প্রধান শিক্ষক কামিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। যে কারণে প্রতিবছরেই প্রবেশপত্র নিয়ে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। গত বছর পরীক্ষার আগের দিন রাতে ওই দুই প্রধান শিক্ষক তাদের বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের হাতে লেখাবিহীন প্রবেশপত্র ধরিয়ে দেন। পরে এসব খালি প্রবেশপত্র নিয়ে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র পূরণ করে পিন্ট করার জন্য রাতভর বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানে ঘুরতে দেখা যায়।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, এরা অন্য বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে রেজিস্ট্রেশন করেছে। কিন্তু এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার জন্য রৌহা স্কুল থেকে ফরম ফিলাপ করেছে। সুতরাং শেষ সময়ে এসে তাদের প্রবেশপত্র সরবরাহ করা অনেকটাই কঠিন ছিল। তার পরেও আদালতের নির্দেশনা থাকায় এদের প্রবেশপত্র সরবরাহ করা হয়েছে।
গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ শংকর কুণ্ডু বলেন, পরীক্ষা শুরুর অনেক আগেই এসব পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র পেয়েছে। আদালতের নির্দেশনা থাকায় তাদের পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ করে দিতে হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
এইচএসসির ফল প্রকাশ মঙ্গলবার, জানা যাবে যেভাবে
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করাবিস্তারিত পড়ুন
বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নতবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন