রাজশাহী: এবার কোনো দাগী অপরাধী কিংবা সন্ত্রাসী নয়, নয় রাজনৈতিক দলের কোনো নেতা, একেবারে অর্ধাঙ্গিনীর পায়ের রগ কেটে দিয়েছেন স্বামী।

অপরাধ একটাই, প্রতিদিন যখন খুশি তখনই স্বামী নির্যাতন করবেন, তা নীরবে সহ্য করে যেতে হবে। কিন্তু অবাধ্য স্ত্রী সেই অসহ্য নির্যাতন সহ্য না করে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছেন। তার এ বড় অপরাধের শাস্তি হিসেবে স্বামী কেটে দিয়েছেন তার পায়ের রগ!

নির্মম এ ঘটনা ঘটেছে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার মুশরইল এলাকায় মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) রাতে। ঘটনার শিকার গৃহবধূর নাম মৌসুমি বেগম সুমি (২০)।

নির্যাতনকারীর নাম মিনারুল ইসলাম। তিনি মহানগরীর রাজপাড়া থানার বহরমপুর অচিনতলা এলাকার বাসিন্দা।

সুমির বাবা সোহরাব আলী জানান, প্রায় ১০ বছর আগে মিনারুলের সঙ্গে সুমির বিয়ে দেন তিনি। বিয়ের পর থেকেই মিনারুল স্বামী প্রায়ই সুমিকে অত্যাচার করতো। সুমির সংসারে সাগর রাজ নামে এক বছরের এক সন্তান আছে। দেড় বছর আগে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সুমি তার ছেলেকে নিয়ে মুশরইল বাচ্চুর মোড়ে চলে আসে। এরপর থেকে মিনারুল প্রায় সময় তার বাড়িতে এসে হুমকি দিতো। মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে সুমি ছাড়া অন্য কেউ ছিলো না। ওই সময় মিনারুল বাড়িতে প্রবেশ করে। ওই সময় সুমি রান্না ঘরে অবস্থান করছিল। মিনারুল কোনো কথা না বলেই সুমিকে পেছন থেকে ঝাপটে ধরে বাম পায়ের পেছনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পায়ের পেছনের রগ কেটে যায়। নিজের প্রাণ বাঁচাতে সুমি চিৎকার দিলে মিনারুল দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রামেক হাসপাতালের ১ নং ওয়ার্ডে এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার বাম পায়ের গোড়ালির পেছনের রগটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সারিয়ে তোলার জন্য তার অপারেশন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে থানায় মামলা করা হবে বলে সুমির বাবা সোহবার আলী জানান।