রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

ওঁর শরীরে প্রথম পুরুষের থাবা বসে চার বছর বয়সে, তার পরে বার বার

প্রকাশ্য রাস্তায় চার বছর বয়সে শ্লীলতাহানির শিকার হন কুবরা। তার পরে প্রতিবাদের আর এক নাম হয়ে ওঠেন এই আফগান সুন্দরী।

আজও নিজের বাড়ি ফিরতে পারেননি। প্রকাশ্য রাস্তায় চার বছর বয়সে শ্লীলতাহানির শিকার হন কুবরা। তার পরে প্রতিবাদের আর এক নাম হয়ে ওঠেন এই আফগান সুন্দরী। না, এটাই তাঁর একমাত্র পরিচয় নয়।

তিনি এখন বিখ্যাত পারফর্মিং আর্টিস্ট। কুবরা খাদেমি। আফগানিস্তানের মেয়ে থাকেন ফ্রান্সে। আজও ভুলতে পারেননি ছোট্ট বেলার সেই স্মৃতি। ছোট্ট মেয়েটিকে রাস্তার মধ্যেই আচমকা এক পুরুষ আক্রমণ করে। ওর নরম শরীরটাকে ভোগ করতে চায়। কোনও রকমে ছিটকে বেরিয়া যায় সেই ফুলের মতো মেয়েটা। কিন্তু সেই দিনই মনের মধ্যে এক প্রতিশোধের স্পৃহা তৈরি হয়ে যায়। সেই বয়সেই কি মনে মনে কুবরা খাদেমি লোহার অন্তর্বাস বানানোর পরিকল্পনা করে ফেলেছিলেন! সত্যিই যেদিন বর্ম পরে প্রকাশ্য রাস্তায় ঘুরেছিলেন কুবরা সে দিন বলেছিলেন, ‘ছোট বেলাতেই আমার অন্তর্বাস লোহার হলে ভাল হতো।’

সেই চার বছরের স্মৃতি বয়ে বছর কুড়ি পরে সত্যিই একদিন লোহার বর্ম বানিয়ে ফেলেন আফগানিস্তানের কুয়েত্তা শহরের মেয়ে কুবরা। না, শুধু নিজের জন্য নয়, তিনি যেন সে দিন পুরুষের লোভের হাত থেকে রক্ষা না পাওয়া সব মেয়ের প্রতিবাদের ভাষা হয়ে উঠেছিলেন। যার জেরে তাঁকে দেশ ছাড়তে হয়েছে। না, এখনও বাড়ি ফেরা হয়নি আফগান মেয়ে কুরবা খাদেমির।

কুরবার অভিযোগ ছিল, আফগানিস্তানে বোরখা পরা রমণীরাও পুরুষের লোভী স্পর্শ থেকে রক্ষা পান না। তাঁদের সকলেরই দরকার লোহার বর্ম। ঠিক এই কথাটা বলতে চেয়েই মেয়েদের প্রতিরক্ষার পোশাক বানিয়ে আলোচনায় আসেন কুবরা। তার আগেই নারীর সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে অনেক বাধা টপকাতে হয়েছে। বার বার প্রকাশ্যে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। লাহোর থেকে কাবুলে এসেছিলেন ফাইন আর্টস-এর প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। সেই বারেও ২০০৮ সালে ১৯ বছরের কুরবাকে রাস্তার মধ্যে শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়। বুকের ভিতরে প্রতিবাদের আগুনটা আরও গনগনে হয়ে ওঠে। আর ২০০৫ সালে সেই প্রতিবাদই ভাষা হয়ে ওঠে বর্ম পরা একক মিছিলে। কাবুলের রাস্তায় ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫-র সেই মিছিলের পরে অনেক ব্যঙ্গ বিদ্রুপ সহ্য করতে হয়। প্রকাশ্যে। এর পরে প্রাণনাশের হুমকি আর তার পরেই চিরকালের মতো দেশ ছাড়তে হয় খাদেমিকে।

এখন তাঁর স্থায়ী ঠিকানা প্যারিস। ফরসি দেশের বাসিন্দা হয়ে চলছে শিল্পকর্ম। বার বার নির্যতনের শিকার এই মেয়ে কিন্তু যে সে নয়। শিল্পী হিসেবে তাঁর খ্যাতি দেশে, দেশে। ১৯৮৯ সালে জন্ম নেওয়া মেয়েটা নিজেকে ‘উদ্বাস্তু ও মহিলা’ পরিচয় দিতে ভালবাসেন। এখন আবার তিনি খবরে। কারণ, সম্প্রতি ফরাসি সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক তাঁকে এক বড় সম্মান দিয়েছে। বুকের ভিতরে জ্বলা আগুন থেকে যে শিল্পচর্চা তিনি শুরু করেছিলেন, তার জোরেই তাঁকে এখন শিল্পের দেশ ফ্রান্স বলেছে— ‘নাইট অফ আর্ট অ্যান্ড লিটারেচার।’

কিন্তু না, এত কিছুর পরেও আজও তাঁর নিজের দেশে ফেরা হয়নি। কোনও দিন হবে কি না, তাও কি জানেন শিল্পী কুবরা খাদেমি!

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ