ওজন অনুসারে বিশ্বের সবচেয়ে দামি সব বস্তু
আপনি হয়তো ভাবছেন ওজন অনুসারে সবচেয়ে দামি বস্তু স্বর্ণ বা হীরে। তা ঠিক না। ভুল ভাবছেন আপনি। বিশ্বে ওজন অনুসারে স্বর্ণ বা হীরের চেয়েও অনেক দামি কিছু বস্তু আছে। সেগুলো জেনে নেই চলুন।
স্যাফরন: বিশ্বের সবচেয়ে দামি মসলা স্যাফরন মানে জাফরান। স্যাফরন ক্রোকাস নামের ফুল থেকে এই মসলা প্রস্তুত করা হয়। এমনকি এক গ্রাম স্যাফরন তৈরিতে প্রায় ১৫০টি ফুল প্রয়োজন পড়ে। সুপার মার্কেটে প্রতি গ্রাম স্যাফরনের দাম ৫ থেকে ১০ পাউন্ড।
ইরানিয়ান বেলুগা ক্যাভিয়ার: বিরল বেলুগা মাছের ডিম প্রতি গ্রাম ২০ পাউন্ড। আর তাই গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের বিবেচনায় এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবার।
প্লাটিনাম: মূল্যবান এক ধাতু প্লাটিনাম, এর দাম প্রতি গ্রাম ২৩ পাউন্ড।
স্বর্ণ: বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের দাম মাঝে মাঝেই উঠানামা করে। এ মুহূর্তে প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম ২৮ পাউন্ড।
হেরোইন: মাদক দ্রব্য হেরোইনের দাম কিন্তু খুব চড়া। এক গ্রাম হেরোইন কিনতে হয় প্রায় ৫৫ পাউন্ডে।
গোল্ড পাউডার: ইরানিয়ান বেলুগা ক্যাভিয়ার বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবার হলেও বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাওয়ার যোগ্য বস্তু হলো গোল্ড লিফ। প্রতি গ্রাম গোল্ড লিফ ফ্ল্যাক্সের দাম ৬৮ পাউন্ড। তবে গোল্ড পাউডারের দাম আরো বেশি। প্রতি গ্রামের দাম ২০০ পাউন্ড।
প্রাণী বিষ: ক্যানসার সহ বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরিতে সাপ ও অন্য প্রাণীর বিষ ব্যবহার করেন গবেষকরা। এক গ্রাম সাপের বিষের দাম ২৬৩ পাউন্ড পর্যন্ত হয়ে থাকে। বৃশ্চিকের বিষ প্রতি গ্রাম ৪১৫ পাউন্ডেও বিক্রি হয়। তবে প্রাণীর বিষ হিসেবে সবচেয়ে দামি এক গ্রাম মাকড়সার বিষ বিক্রি হয় ৯৩৫ পাউন্ডে।
এলএসডি: লাইসারজিক এসিড ডিথেলামাইড, এলএসডি একটি রিক্রেশনাল ড্রাগ। এটি গিলে খাওয়া যায় বা জিহ্বার নিচে রেখে ধীরে ধীরে খাওয়া যায়। এটি খেলে মানসিক চাপ কমে এক ধরণের নির্ভার পরিবেশ তৈরি হয়। এই ওষুধ প্রতি গ্রাম প্রায় ৩০০০ ডলারে বিক্রি হয়ে থাকে।
প্লুটোনিয়াম: নিউক্লিয়ার বোমা তৈরির উপাদান প্লুটোনিয়ামের দাম প্রতি গ্রাম কতো হতে পারে বলুন তো? প্রায় ৪০০০ ডলার।
পোস্টকার্ড: ১৮৪০ সালের এক পোস্টকার্ড, এক গ্রাম ওজনের বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো এই পোস্টকার্ডটি ২০০২ সালে লাটভিয়ার এক ভদ্রলোক কিনেছেন ৫২৯৩ পাউন্ডে।
সোলারিস: বিশ্বের সবচেয়ে দামি ড্রাগ বলা হয় সোলারিসকে। কিডনি সহ শরীরের অন্য অঙ্গের জটিল রোগ সারাতে এই ড্রাগ ব্যবহার করা হয়। প্রতি গ্রাম সোলারিসের দাম ১০ হাজার ৫০০ পাউন্ড।
ট্রিটিয়াম: হাইড্রোজেনের রেডিও অ্যাকটিভ আইসোটোপ ট্রিটিয়ামের দাম প্রতি গ্রাম কতো জানেন? ৩০০০০ ডলার।
ডায়মন্ড: সবচেয়ে দামি হীরে সাউথ আফ্রিকার পিংক স্টার। ২০১৩ সালে এটি বিক্রি হয় ৫১.৭ মিলিয়ন পাউন্ডে। এর মানে হলো প্রতি গ্রাম ঐ হীরের দাম ছিল ৪.৩৪ মিলিয়ন পাউন্ড!
স্ট্যাম্প: ১৮৫৬ সালের একটি স্ট্যাম্প বিক্রি হয় ২০১৪ সালে। বৃটিশ গায়ানার পোস্ট স্ট্যাম্পটি বিক্রি হয় ৫.৬ মিলিয়ন পাউন্ডে। এটি একাধারে যেমন বিশ্বের সবচেয়ে দামি স্ট্যাম্প, তেমনি ২.৫ সেন্টিমিটার চওড়া ও ৩.২ সেন্টিমিটার লম্বা এই স্ট্যাম্পটি ওজন ও আকার অনুসারে সবচেয়ে দামি বস্তু।
ক্যালিফোর্নিয়াম: নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর তৈরিতে ও ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় রেডিওঅ্যাকটিভ উপাদান ক্যালিফোর্নিয়াম। প্রতি গ্রাম ক্যালিফোর্নিয়ামের দাম কতো জানেন? ২৭ মিলিয়ন ডলার।
অ্যান্টিমিটার: ১৯৯৯ সালে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানায়, এক গ্রাম অ্যান্টি হাইড্রোজেন তৈরি করতে ব্যয় হবে ৬২.৫ ট্রিলিয়ন ডলার!
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন