ওবামা, বিল গেটস, জুকারবার্গদের দিনের শুরু হয় কীভাবে
অনেকের মধ্যেই দিনের শুরুতে ব্যায়ামাগারে যাওয়া, পত্রিকা পড়া অথবা কফি পানসহ কিছু প্রাত্যহিক কাজের অভ্যাস দেখা যায়। সাধারণত তাঁরা দিন শুরুর রুটিনের বাইরে যান না। এই রুটিনই যেন তাঁদের স্বস্তি দেয় এবং সারাদিনের চলায় জোগায় রসদ।
পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত মানুষেরও দিনের শুরুটাও হয় রুটিন মাফিক। সম্প্রতি স্লিপিপিপল ডটকমসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম থেকে তথ্য নিয়ে কয়েকজন বিখ্যাত মানুষের সকালবেলার কাজের রুটিন নিয়ে প্রতিবেদন করেছে ‘টাইম’ সাময়িকী। এই বিখ্যাত মানুষের মধ্যে যেমন সাবেক ও বর্তমান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আছেন, তেমনি আছেন অনেক ব্যবসায়ী ও প্রযুক্তিবিদ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা
প্রতিদিন সকাল পৌনে ৭টার দিকে ঘুম থেকে ওঠেন বারাক ওবামা। পরে ব্যায়ামাগারে গিয়ে ‘কার্ডিও’ ও ‘ওয়েট’ এই দুই ধরনের শরীরচর্চা করেন তিনি। ব্যায়াম শেষে স্ত্রী মিশেল এবং দুই মেয়ে মালিয়া ও সাশার সঙ্গে সকালের নাস্তা করেন ওবামা। পরে মেয়ে দুজনকে নিয়ে স্কুলে যান। মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার পর দেশ চালানোর কঠিন দায়িত্বে যান বারাক ওবামা।
যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন
ডেভিড ক্যামেরনের ঘুম ভাঙ্গে সকাল ৬টার দিকে। তবে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে সকাল ৮টার আগে কোনো সরকারি কাজে যোগ দিতেন না তিনি। মধ্যবর্তী এই দুই ঘণ্টা স্ত্রী সামান্থা এবং তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে নাস্তা করতেন ডেভিড ক্যামেরন। তিনি চাইতেন, তাঁর সন্তানরা স্কুলের আগের কোনো কাজ করুক। আর প্রতিদিন সকালের সংবাদপত্র নিয়মিত দেখতেন ডেভিড ক্যামেরন।
যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত সাবেক প্রধানমন্ত্রী উইন্সটন চার্চিল
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত সাবেক প্রধানমন্ত্রী উইন্সটন চার্চিল সকালে ঘুম থেকে উঠতেন সাড়ে ৭টার দিকে। তবে বিছানা ছাড়তেন ১১টার দিকে। এই সময়ে নাস্তা, পত্রিকা পড়তেন এবং বিভিন্ন মন্ত্রীকে নির্দেশনা দিতেন।
স্টারবাকসের প্রধান নির্বাহী হাওয়ার্ড শোল্টস
বিখ্যাত কফিশপ চেইন স্টারবাকসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাওয়ার্ড শুল্টসের দিন শুরু হয় কফি পানের মাধ্যমেই। প্রতিদিন ভোর সাড়ে ৪টায় ঘুম ভাঙে তাঁর। তিনটি কুকুর নিয়ে হাঁটতে বেরিয়ে পড়েন তিনি। পরে পৌনে ৬টার দিকে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নাস্তা করেন হাওয়ার্ড।
অ্যাপলের সাবেক প্রধান নির্বাহী স্টিভ জবস
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধান নির্বাহী প্রয়াত স্টিভ জবসের দিনের শুরুটা ছিল একটু ভিন্নরকম। প্রতিদিন সকালে উঠেই আয়নার সামনে যেতেন স্টিভ জবস। নিজে নিজে বলতেন, ‘আজই যদি আমার জীবনের শেষ দিন হয় তবে কী কী করতে চাই।’
মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও বিখ্যাত প্রযুক্তিবিদ বিল গেটসের দিনের শুরুটা হতো শরীর ও মন উভয়ের ব্যায়ামের মধ্য দিয়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ‘ট্রেডমিলে’ যন্ত্রে টানা এক ঘণ্টা ‘কার্ডিও’ শরীরচর্চা করতেন তিনি। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষণীয় নির্দেশনা দেখতেন বিল গেটস।
ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ সারাক্ষণ বাদামি টি-শার্ট পরে থাকার জন্যও পরিচিত। ৩১ বছর বয়সী এই প্রযুক্তিবিদ সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রিয় বাদামি টি-শার্ট খুঁজে নেন এবং কাজে চলে যান। জুকারবার্গ বলতে গেলে তেমন একটা ঘুমান না। প্রায়ই ভোর ৬টা পর্যন্ত ফেসবুকের বিভিন্ন কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন