‘কপাল’ ভাল থাকলে আপনিও পেতে পারেন ২৪ লক্ষ টাকা
দেখতে বিদঘুটে লাগলে কিছু করার নেই। ওঁরা ওঁদের দেহের ওই সব অংশ রীতিমতো কাঞ্চনমূল্যের বিনিময়ে ভাড়া দিয়েছেন বিভিন্ন কোম্পানিকে।
বিজ্ঞাপনে মুখ ঢাকার গল্প আর প্রতিকী নয়। বেশ কিছু দিন ধরেই ‘বডি অ্যাডভার্টাইজিং’ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পশ্চিমে। কপালে, গালে, নাকে, থুতনিতে, এমনকী স্তনবিভাজিকাতেও বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ঘুরে বেড়ান বেশ কিছু নারী-পুরুষ। দেখতে বিদঘুটে লাগলে কিছু করার নেই। ওঁরা ওঁদের দেহের ওই সব অংশ রীতিমতো কাঞ্চনমূল্যের বিনিময়ে ভাড়া দিয়েছেন বিভিন্ন কোম্পানিকে তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপনের স্পেস হিসেবে।
২০০৩ সালে নিজের কপালকে বিজ্ঞাপনের পরিসর হিসেবে যে ভাড়া দেওয়া যায়, তা জানান লন্ডন ক্রিয়েটিভ এজেন্সি-র কর্তা জন কার্ভার। তিনি বিষয়টির নাম দেন ‘ForeheADS’। তার পর থেক বহু মানুষই পয়সার বিনিময়ে নিজের কপাল বা শরীরের অন্য অংশে বিজ্ঞাপন সেঁটে ঘুরে বেড়াতে শুরু করেন। এই মুহূর্তে এটাকে একটা অল্টার্নেটিভ পেশা হিসেবেও দেখছেন একাংশের মানুষ।
প্রথম কপাল-জ্ঞাপনের কাজটি যাঁরা করেন, তাঁরা ১৫০ ডলারের বিনিময়ে প্রতি সপ্তাহে কপালে অস্থায়ী ট্যাটু লাগিয়ে ঘুরে বেড়াতে শুরু করেন। ২০০৪-এ টয়োটার মতো কোম্পানি কপাল-জ্ঞাপনকে কাজে লাগিয়ে তাদের গাড়ির গেরিলা মার্কেটিং-এর স্ট্র্যাটেজি সাজায়। ৪০ জন তরুণকে ঘণ্টা প্রতি ১১ডলার হিসেবে তারা নিয়োগ করে এই কাজের জন্য।
তবে, সব কিছুকে ছাড়িয়ে যায় ২০০৫ সালের এক ঘটনা। অ্যান্ড্রু ফিশার নামে নেব্রাস্কার এক তরুণ ইবে-তে তাঁর কপালকে নিলামে তোলেন। বিস্তর ডাকাডাকির পরে নিলামে তার কপাল কিনে নেয় স্নোরস্টপ নামের এক সংস্থা। এর জন্য ফিশার পান ৩৭,৩৭৫ ডলার বা ভারতীয় মূল্যে প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা।
একেই বলে ‘কপাল খুলে যাওয়া’। ২০০৫-এর পরে অস্থায়ী নয়, স্থায়ী ট্যাটু দিয়েও কপাল-জ্ঞাপনের কাজ শুরু করেন অনেকেই। কপাল ছাড়িয়ে বিজ্ঞাপন দেহের অন্য অংশেও ছড়াতে শুরু করে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন