কবে খুলবে ফেসবুক?
নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলে গত বুধবার ফেসবুকসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেয় সরকার। তবে বিকল্প উপায়ে অনেকেই ফেসবুক ব্যবহার করছেন। নজরদারিতে থাকায় এতে স্বস্তি বোধ করছেন না ‘অবৈধ’ এই ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।
বিকল্প উপায়ে কিভাবে ফেসবুকে ঢুকতে হয় তা জানেন না বেশির ভাগ ইউজার। এজন্য দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ফেসবুক ব্যবহারকারীর মুখে মুখে প্রশ্ন, কবে খুলবে জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক? কবে নিশ্চিত হবে নিরাপত্তা? অনেকে সরকারের এই সমালোচনা করে বলেছেন, মাথা থাকলে ব্যথা হবেই; এজন্য মাথা কেটে ফেলা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম গতকাল শনিবার জানিয়েছেন, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে জনগণকে সাময়িকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফেসবুক বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় তিনি বিকল্প উপায়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সাবধান করে দিয়ে বলেন, যারা বিকল্প সফটওয়্যারের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছেন, তাঁদের সহজেই অনুসরণ করা যাবে। তাই তারা নজরদারিতে থাকবেন।
তবে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী শাহজাহান মাহমুদ বিকল্প উপায়ে ফেসবুক ব্যবহারকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেছেন।
গত বুধবার যুদ্ধাপরাধের দায়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় সর্বোচ্চ আদালত বহাল রাখার ঘোষণার পর বন্ধ হয় ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, লাইন এবং ট্যাঙ্গো। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি বিভিন্ন অনলাইন সেবাদাতার ওপর নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত দেন৷ নিরাপত্তা রক্ষায় এমনটা করা হবে জানান তিনি৷
বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি সচিব সারোয়ার আলম নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘‘সরকার ছয়টি অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্মের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে৷”
এদিকে বুধবার নিষেধাজ্ঞা জারির শুরুতে দেড়ঘণ্টা ইন্টারনেট থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বাংলাদেশ, যদিও সরকারের নির্দেশনা ছিল শুধুমাত্র ছয়টি প্ল্যাটফর্ম বন্ধের৷ বিটিআরসি ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাওয়াকে ‘ভুল বোঝাবুঝির’ ফসল হিসেবে আখ্যা দিয়েছে৷ তবে ইন্টারনেট ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই বেশ কয়েকজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ফেসবুকে প্রবেশ করে সরকারের নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের ঘোষণা দেন৷ তারা বিপকল্প উপায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের বিভিন্ন উপায়ের কথাও জানান৷
তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর হচ্ছে, খোদ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীই ফেসবুক নিষেধাজ্ঞা মানছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে৷ জুনায়েদ আহমেদ পলক বৃহস্পতিবার তাঁর ফেসবুকে ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিতির ছবি প্রকাশ করেন৷ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক ফেসবুক পাতাটিও নিয়মিত বিরতিতে হালনাগাদ তথ্য দিয়ে আপডেট করা হচ্ছে৷
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এভাবে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেয়া এটা কোনো সমাধান নয়। নাশকতা ও জঙ্গিবাদ ঠেকাতে হলে সরকারকে অনলাইনের চেয়ে অফলাইনে বেশি জোর দিতে হবে।
সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ আলমাস জামান মনে করেন, নিরাপত্তার বিবেচনায় এসব নিষেধাজ্ঞা খুবই দুর্বল সমাধান৷ তিনি বলেন, ‘‘যে কেউ প্রক্সি কিংবা ভিপিএন ব্যবহার করে এসব নেটওয়ার্কে, এমনকি মোবাইল থেকেও প্রবেশ করতে পারে৷”
তিনি মনে করেন, জঙ্গিদের অনলাইন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে ইন্টারনেট গেটওয়েতে একটি ফায়ারওয়াল বসানো যেতে পারে৷ এভাবে নিয়ন্ত্রণ বেশ সহজ এবং আধুনিক হবে৷
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আজকের যত আয়োজন ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছেবিস্তারিত পড়ুন
মোবাইল নম্বর ঠিক রেখেই অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে: প্রক্রিয়া শুরু
মোবাইল ফোনের নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তন (মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি-এমএনপি)বিস্তারিত পড়ুন
স্মার্টফোন কিনে লাখপতি হলেন পারভেজ
নির্দিষ্ট মডেলের ওয়ালটন স্মার্টফোন কিনে পণ্য নিবন্ধন করলেই মিলছে সর্বোচ্চবিস্তারিত পড়ুন