কর্মীদের হাতে ছাত্রলীগ নেত্রী লাঞ্ছিত : কমিটি বিলুপ্ত

অর্থের বিনিময়ে একাদশ শ্রেণিতে ছাত্রী ভর্তি করে হাতিয়ে নেয়া টাকার ভাগ বাটোয়ারকে কেন্দ্র করে সাধারণ কর্মীদের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন ছাত্রলীগ নেত্রী আঞ্জুমান আরা আয়না। বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজে এ ঘটনা ঘটেছে। এসময় আরেক ছাত্রলীগ নেত্রী রত্না সরকার পালিয়ে আত্মরক্ষা করেছেন।
এদিকে, এই ঘটনার পর বিকেলে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি দিয়ে সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজ শাখা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভানেত্রী আয়না খাতুন ও সাধারণ সম্পাদক রত্না সরকার গত কয়েক দিনে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশ করে এই ভর্তি জালিয়াতি করছে। সেখানে অনলাইনে যাদের সিরিয়াল আসেনি তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তি করানো হচ্ছে। গত কয়েক দিনে ছাত্রী ভর্তি বাবদ দুই নেত্রী দুই লক্ষাধিক টাকা সাধারণ ভর্তিচ্ছুক ছাত্রীদের কাছে থেকে হাতিয়ে নেয়।
এদিকে, কলেজের সাধারণ ছাত্রলীগ কর্মী যারা দুই নেত্রীকে ভর্তির কাজে সহযোগিতা করেছে তাদের এই টাকার কোনো ভাগ না দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয় তারা।
মিথিলা নামের এক কর্মী জানান, দুপুরে সাধারণ কর্মীদের মধ্যে জানাজানি হয় যে, হাতিয়ে নেয়া দুই লাখ টাকার মধ্যে সভানেত্রী এক লাখ ২০ হাজার এবং সাধারণ সম্পাদিকা ৮০ হাজার টাকা ভাগ করে নিয়েছেন। তারা আরো জানতে পারেন সভানেত্রী তার কাছে রাখা টাকা বৃহস্পতিবার দুপুরে তার ভাইয়ের হাতে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
খবর জানাজানি হলে ছাত্রলীগের সাধারণ কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায় তারা কলেজ ক্যাম্পাসে দুই নেত্রীকে ঘেরাও করে। এসময় সাধারণ সম্পাদিকা দৌঁড়ে তার কক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে আত্মরক্ষা করেন। কিন্তু সভানেত্রী কর্মীদের রোষালনে পড়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন।
এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা ছাত্রলীগের এক জরুরি সভা আহ্বান করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈমুর রাজ্জাক তিতাস কমিটি বিলুপ্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভর্তি বাণিজ্য নয়, দলীয় শৃংঙ্খলা ভঙ এবং কলেজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে কমিটি ভেঙে দেয়া হয়েছে। আগামী মাসের ২০ তারিখের মধ্যে সেখানে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।
তবে ঘটনা এ সম্পর্কে অভিযুক্ত সভানেত্রী আয়না খাতুন জানান, তিনি প্রতিহিংসার শিকার। একটি পক্ষ তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে এই ভর্তি নাটক সাজিয়েছে। আসলে তিনি এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

বগুড়ার ৩টি উপজেলায় নির্বাচন; ১৫৭ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ
রাত পোহালেই বগুড়ার তিন উপজেলা সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও গাবতলীতে ৬ষ্ঠবিস্তারিত পড়ুন

বিএনপি নেতাকর্মীরা বগুড়ায় আ.লীগ নেতার নির্বাচনী প্রচারণায়
বর্তমানে চলছে উপজেলা নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের মত এই উপজেলা বির্নাচনেওবিস্তারিত পড়ুন
বিএনপি সভাপতি কারাগারে, শনিবার বগুড়ায় অর্ধ দিবস হরতাল
সরকারের বিভিন্ন সময়ে দায়ের করা মামলায় বগুড়া জেলা বিএনপি সভাপতিবিস্তারিত পড়ুন