কলা গাছের বর্জ্য দিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন!
বেশিরভাগ গ্রামাঞ্চলেই এখনও অর্ধেকের বেশি নারী স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করেন না। প্যাড না ব্যবহার করার পিছনে সচেতনতার অভাবের পাশাপাশি রয়েছে আর্থিক সমস্যা। সেই সমস্যার সমাধানেই কলা গাছের বর্জ্য উপাদান দিয়ে প্যাড তৈরি করলেন ভারতের এমআইটির স্নাতক উত্তীর্ণ ছাত্রী অমৃতা সায়গল ও তার বান্ধবী ক্রিস্টিন কাগেৎসু।
এই প্যাড তৈরি করে শুধু স্বাস্থ্যকর পরিবেশের সচেতনতা বাড়াচ্ছেন তা নয়, তারা সেই সব মানুষগুলির পাশেও দাঁড়াচ্ছেন যারা দামী স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করতে পারতেন না। ২০১২ সাল থেকেই এই প্রোজেক্টে কাজ করছেন অমৃতা ও ক্রিস্টিন। বহুবার ব্যর্থ হয়েও হাল ছাড়েননি তারা। অবশেষে তাদের প্রোজেক্ট ‘সাথী’ সফল হয়।
হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ করার সময় ২০১৫ সালে এই প্রোজেক্টটির জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পুরস্কৃতও হন। ফলে প্রোজেক্টটি বাস্তবায়ণ করতে পেরে অমৃতা সন্তুষ্ট।
এই দুই যুবতী আশাবাদী ভারতের বাজারে বিপ্লব আনবে তাদের প্রোডাক্ট। ভারত এমন একটি দেশ যেখানে প্রায় ৭০ শতাংশ নারী দামী স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে পারেন না এবং ৮৮ শতাংশ মহিলাই ঋতুচক্রের সময় অস্বাস্থ্যকর বস্তু ব্যবহার করে থাকেন। ফলে তাদের তৈরি করা এই প্যাড সহজেই মহিলাদের কাছে জনপ্রিয় হবে।
এমনকি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রজঃস্বলা হওয়ার পর অন্তত ২৩ শতাংশ ছাত্রী স্কুলে যাওয়া ছেড়ে দেয়। তাই অমৃতা ও ক্রিস্টিন চান তাদের মতোই ভারতবর্ষের প্রত্যেক মেয়ের উপর শিক্ষার আলো পড়ুক।
তাদের এই কলা গাছের বর্জ্য উপাদান দিয়ে তৈরি প্যাড সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব। অমৃতা জানিয়েছেন, এই প্যাড তৈরি করে আয়ের সুযোগ সহজেই পাবেন গ্রামাঞ্চলের অনেকেই। একটি প্যাড তৈরি করতে আনুমানিক খরচ ১ টাকা। তাই বলাই বাহুল্য এই প্যাডের বাজার দরও অন্যান্য অনেক প্যাডের তুলনায় কম হবে। ফলে ভারতীয় বাজারে এই অভিনব প্যাডের চাহিদাও থাকবে আশা করা যায়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন