কান্না থামছিল না তাঁরঃ ‘বাবা আমি আসছি’ বলে লাশ হলেন তরুণী
‘বাবা, তুমি এগিয়ে যাও, আমি আসছি। ভিড়টা একটু কমে যাক।’ বাবাকে কথাগুলো বলছিলেন ২৫ বছর বয়সী শ্রদ্ধা ভারপে। এর পরই মুম্বাইয়ের একটি ফুটওভার ব্রিজে পদদলিত হয়ে মৃত্যু হয় শ্রদ্ধার। তাঁর ঠাঁই মেলে মুম্বাইয়ের এক লাশঘরে।
শ্রদ্ধার বাবা কিশোর ভারপে (৫৭) এভাবেই গতকাল শুক্রবারের ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন। তিনি জানান, শুক্রবার সকালে মুম্বাইয়ের পারেল রেলস্টেশন থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি ও তাঁর মেয়ে। তখন খুব ভিড় ছিল। এ কারণে শ্রদ্ধা তাঁকে সামনে এগিয়ে যেতে বলেন। একটু ভিড় কমলে তিনি (শ্রদ্ধা) আসবেন বলে জানান।
কিশোর ভারপে ভিড়ের মধ্যেই পারেল ও এলফিনস্টোন স্টেশন সংলগ্ন ফুটওভারব্রিজ পার হন। পরে শ্রদ্ধা ব্রিজে উঠলেই শুরু হয় হুড়াহুড়ি। এতে পদদলিত হয়ে নিহত হন ২২ জন। তাঁদেরই একজন শ্রদ্ধা।
কিশোর ভারপের নিকটাত্মীয় ভিম রাও অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে জানান, শ্রদ্ধাকে তিনি সব জায়গায় খুঁজেছিলেন। কিন্তু কোথাও পাননি। সবশেষে নিহতের তালিকায় মেলে তাঁর নাম।
শ্রদ্ধার বাবার সঙ্গে শেষ দেখা হয় লাশঘরের ওয়েটিং রুমে। এক কোণে জড়সড় হয়ে বসে ছিলেন তিনি। কান্না থামছিল না তাঁর। ব্রিজ পার হয়ে তিনি মেয়েকে ফোন করেন। কিন্তু কোনো উত্তর আসছিল না মেয়ের কাছ থেকে। কাঁদতে কাঁদতে কিশোর ভারপে বলেন, ‘১০ মিনিটেই সব শেষ হয়ে গেল, মাত্র ১০টা মিনিট।’
শুক্রবার সকালে ঘটে যাওয়া ওই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২২ জন নিহত হন। আহত হন ৩০ জনেরও বেশি মানুষ।
প্রতিদিনই দুই স্টেশনের মধ্যবর্তী ওই ব্রিজে প্রচুর ভিড় হয়। সাধারণত রেলযাত্রীরাই ব্রিজটি ব্যবহার করে থাকেন। শুক্রবারও ওই ওভারব্রিজের ওপর অনেক লোকজন ছিল। ট্রেন ধরার জন্য সবাই তখন ব্যস্ত ছিল। সে সময় বৃষ্টির পানিতে পা পিছলে অনেকেই পড়ে যায়। এরপর ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন