কাপের চা শেষ না হতেই গলায় ফাঁস!
পানি সরবরাহের জার নিয়ে প্রথমে মহিউদ্দিন ও পরে তার বড় ভাই ইউসুফ রাজধানীর কদমতলী এলাকার আরিফা আহম্মেদ এর বাসায় যান। তাদের চা দেন আরিফা। কাপের চা শেষ না করেই ইউসুফ পেছন থেকে আরিফার গলায় রশি পেঁচিয়ে টান দিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
তাকে সহায়তা করেন মহিউদ্দিন। এরপর তারা বাসা থেকে এক লাখ টাকা ও কিছু স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে সটকে পড়েন। পরে দুই ভাই লুট করা টাকা-গহনা সমানভাবে ভাগ করে নেন। সম্প্রতি মহিউদ্দিন বিয়েও করেন। পুলিশের কাছে এ বর্ণনা দিয়েছে মহিউদ্দিন।
কদমতলী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী সমকালকে বলেন, আরিফা হত্যাকাণ্ডটি ‘ক্লুলেস’ ঘটনা ছিল। অনেক দিন আগে থেকেই তিনি নিজের বাসায় একা একা বসবাস করতেন। টেলিফোনে পরিচিত ব্যবসায়ী ও হকারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনিয়ে নিতেন। এই তথ্যের সূত্র ধরে প্রথমে মহিউদ্দিনকে শনাক্ত করা হয়। এরপর নানা কৌশলে তাকে গ্রেফতার করার পর মূল রহস্য বেরিয়ে এসেছে।
পাঁচ মাস পর আরিফা আহম্মেদ (৬০) হত্যারহস্যের জট খুললো। এ হত্যা মিশনে ছিলেন সহোদর দুই ভাই ইউসুফ ও মহিউদ্দিন। তাদের মধ্যে ছোট ভাই মহিউদ্দিনকে গতকাল সোমবার সূত্রাপুর এলাকা থেকে কৌশলে গ্রেফতার করেছে কদমতলী থানা পুলিশ।
গত ২৭ ডিসেম্বর কদমতলীতে নিজের বাসার বাথরুমের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় আরিফার মরদেহ। আলামত দেখে পুলিশ জানিয়েছিল, খুনিরা শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার ঘাড় পুরোপুরি ভেঙে দেয়। বাসা থেকে খোয়া গেছে দুই জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, একটি চেইন ও এক লাখ টাকা। বাসার মেঝেতে পড়ে ছিল তিনটি চায়ের কাপ। প্রতিটি কাপের তলায় সামান্য একটু চা অবশিষ্ট ছিল। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় কদমতলী থানায় মামলা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন
ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২৩
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, শিক্ষার্থী, মহিলা আওয়ামী লীগবিস্তারিত পড়ুন