শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

‘কিছু শিশু মারা গেলে ক্ষতি কি?’

এক অদ্ভুত পৃথিবীতে বাস করি আমরা। যেখানে একদিকে মানুষ বেঁচে থাকার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে। জীবন বাঁচানোর জন্য গড়ে তুলছে নানারকম উদ্ধারকেন্দ্র, যেখানে আশ্রয় নিচ্ছে ক্ষুধার্ত বা শীতার্ত মানুষেরা। অপরদিকে একদল মানুষ প্রকৃতি রক্ষায় সদা ব্যস্ত। ইচ্ছাকৃতভাবে গাছ বা বন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে রাখছে সর্বক্ষণ নজরদারি। কিন্তু যেখানে জীবন বাঁচাতে মানুষ প্রতিদিন হাসপাতালে ছুটে আসছে, সেই হাসপাতালের খবর কজন রাখে। অপর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা ও যন্ত্রপাতির অভাবে সুস্থ হতে এসে করুণ মৃত্যুর শিকার হতে হয় অনেককেই। আর এমনি এক মৃত্যুপুরী পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের মরুপ্রবণ জেলা থার। বছর শুরু হতে না হতেই থারের একটি হাসপাতালে ৬০ জন নবজাতক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

দুর্ভাগ্যবশত এখানকার রাজনৈতিক নেতারা কোন কিছুই রক্ষা করার চেষ্টা করছে না, কেবলমাত্র তাদের নির্বাচনে জয়ী আসনটি ছাড়া। থারের মানুষ এবং তাদের ভোটে নির্বাচিত হওয়া নেতাদের মধ্যকার অবস্থা যেন বরই বেমানান। নির্বাচনে জয়ী হবার পরে কেউ যেন খোঁজ রাখে না থারের মরুভূমি অঞ্চলের মানুষদের। সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দ কায়েম আলি শাহ্ শিশু মৃত্যুর এই ঘটনাকে মর্মান্তিক আখ্যায়িত করে বলেছেন, এই ঘটনার জন্য তার সরকার পরোক্ষভাবে দায়ী বলে মনে করেন তিনি। যদিও মুখ্যমন্ত্রী তার সরকারের তরফদারি করে বলেছেন, এবছরই তার সরকার শিশুমৃত্যু ঘটনাটির সম্মুখীন হয়েছেন। ফলে এ ব্যপারে তাদের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই, আর এই মৃত্যুর হার স্বাভাবিকের তুলনায় খুবই কম বলে মনে করেন তিনি। এরপর তিনি বলেন, পাকিস্তানের পিপলস পার্টি(পিপিপি) এই ঘটনা নিরসনে তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করবে।

যেহেতু পাকিস্তানের থার একটি মরুভূমি অঞ্চল, ফলে সেখানকার তাপমাত্রা সবসময় উত্তপ্ত থাকে। আর খড়া এবং অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা সেখানকার নতুন কোন সমস্যা নয়। যে কারণে সেখানে শিশুদের পাশাপাশি নারী, পুরুষও সমানভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ প্রসঙ্গে শাহ্ আরো বলেন, আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কিন্তু সব সমস্যা একবারে দূর করা তার সরকারের পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়। তার মতে ‘থারের মানুষদের সাস্থ্য সম্পর্কে একটু সচেতন হতে হবে, একজন শিশু এবং একজন প্রাপ্তবয়স্কের স্বাস্থ্যের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই’। যদিও তার এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্তব্যের ফলে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।

অন্যদিকে থারের এই শিশু মৃত্যুর জন্য পুষ্টিহীনতা, খড়া, মাতৃজনিত রোগ এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবকেও দায়ী করা হচ্ছে। আর এসবের জন্য জনসাধারণ যেখানে সরকারকেই মূলত দায়ী করছে সেখানে পাকিস্তানের খাদ্যমন্ত্রী বললেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘চেক এবং ফান্ডের টাকা দেয়া হচ্ছে মারা যাওয়া শিশুদের অভিভাবকদের। থারে শিশুমৃত্যুর ঘটনা তেমন কোন ব্যাপার না। এর আগেও এখানে অনেক শিশু মারাগেছে। হাসপাতালে এরকম ঘটনা ঘটতেই পারে, এখানে মানুষ যেমন জন্ম নেয় তেমনি মারাও যায়।’ এখন প্রশ্ন হলো যাদের কাছে শিশুমৃত্যু যখন কোন বড় ব্যাপার না তারা রাজনৈতিক নেতা হওয়ার কতটুকু যোগ্যতা রাখেন? পাকিস্তানের জনগণের এমন নেতা নির্বাচন করতে হবে যারা নিজের আসন রক্ষা করার জন্য সরকারের হয়ে কথা বলবেন না বরং আসন রক্ষা জন্য দেশের মানুষের হয়ে কখা বলবেন। উল্লেখ্য যে, এর আগেও ২০১৩ সালে পর্যাপ্ত চিকিৎসার অভাবে থারে ৩১১ জন শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, যা এখন পর্যন্ত চলমান আছে। কিন্তু এ ব্যাপারে পাকিস্তান সরকারের নেই বিশেষ কোন পদক্ষেপ।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল

আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন

ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন

  • বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
  • একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি 
  • কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প
  • ওমানে বন্দুকধারীর হামলায় মসজিদের কাছে   ৪জন নিহত
  • ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তি দলের নিবন্ধিত ভোটার
  • প্রেসিডেন্ট মাসুদকে সতর্কতা ইরানিদের 
  • ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে দেশের মানুষের আস্থা প্রয়োজন
  • ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের : কাদের
  • ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা ইসলামিক জিহাদের
  • প্রথম বিতর্কের পর ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন দোদুল্যমান ভোটাররা!
  • রেবন্ত রেড্ডি এবং চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা
  • স্টারমারের দুঃখ প্রকাশের পরও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ক্ষোভ