রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

কি হয়েছিল সেই রাতে, জানলে চমকে যাবেন!

এতটাও কেউ নৃশংস হতে পারে? এতটাও কেউ বিকৃতমনস্ক হতে পারে? হতে পারে৷ আর হতে পারে বলেই নুসরত, দুলি, নিশার মতো অনেকেই অন্ধকার জগতে ক্রমশ ঢলে পড়ে৷ একদিকে যেখানে লক্ষ্মী দেবীর আরাধনায় মেতে ওঠে সকলে, দেবী দুর্গাকেই ত্রাতা হিসেবে পুজো করা হয়, মা কালির বন্দনায় মেতে ওঠে সকলে, সেখানেই, অনার কিলিং-র নামে একের পর এক প্রাণ হারান মেয়েরা৷ চার দেওয়ালের মধ্যে নিঃশব্দে অত্যাচারের মধ্যে দিন কাটাতে থাকে অভাগীরা৷ শিক্ষার আলো যেখানে পৌঁছয়নি সেখানে যে এই অত্যাচারের মাত্রা বেশি তা বলাই বাহুল্য৷

এমনই এক ভয়াল অত্যাচারের মুখোমুখি হয়েছিল একরত্তি মেয়েটি৷ সেই একটা রাতে যেন জীবনের কঠিন রূপ দেখে নিয়েছিল সে৷ আফসানার(নাম পরিবর্তিত) ঘটনা এমনই৷ “প্রত্যেকের মতোই আমিও স্কুলে যেতাম৷ কিন্তু যেদিন আমার ভাই এই পৃথিবীতে এল, সেদিন এক নিমেষে অনেক কিছু বদলে গেল আমার জীবনে৷ এই খুশির খবর যেন তছনছ করে দিল আমার ভবিষ্যৎকে৷ ছেলে হওয়ার আনন্দে আমার বাবা-মা-আত্মীয়রা আনন্দের মধ্যে থাকলেও, আমার ক্রমশই দমবন্ধ হয়ে আসছিল৷

কারণ বাড়ির দায়িত্ব-খরচ সব বাড়ছিল, আর তা সামলানোর জন্য আমার স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ বাবার যৎসামান্য আয়ে আমাদের কোনওরকমে খেয়ে পরে চলে যাচ্ছিল৷ একদিন রাতে, খেতে বসার সময়, রুটি শেষ হয়ে যাওয়ায়, মা আমাকে পাশের বাড়ির চাচির বাড়িতে খেতে চলে যেতে বললে, আমি সেইমতো ওই বাড়ি যাই৷

চাচির বাড়িতে কেন জানি না আলো জ্বলছিল না৷ আমি কোনওমতে বাড়িতে ঢুকে ডাকাডাকি করতেই চাচা বেরিয়ে এলেন৷ তিনি ভেতরে এসে বসতে বললেন৷ পাড়ার চাচা হওয়াতে আমার কোনওরকম খারাপ কিছু মনে হয়নি৷ তিনি চাচির জন্য অপেক্ষা করতে বলে পাশের ঘরে চলে যান৷ হঠাৎই আবছা আলো-আঁধারির মাঝে আমার চোখ-মুখ যেন কে পেছন থেকে চেপে ধরে, কাপড় বেঁধে দেয়৷ কিছুই দেখতে বা বলতে পারছিলাম না৷ হঠাৎই এক অদ্ভুত অনুভূতিতে শিউরে উঠলাম৷ সারা গায়ে কে যেন ইচ্ছেমতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে৷

এক ঝড় বয়ে যাচ্ছে৷ আর এই জঘন্য অবস্থা চলল প্রায় ঘন্টাখানেক৷ আমি অসহায়৷ যখন জ্ঞান ফিরল, তখন দেখি ভোরের আলো, নিজের বাড়িতে শুয়ে আমি৷ সারা শরীরে অসহ্য যন্ত্রণা৷ কি হয়েছিল সে রাতে আমার সঙ্গে? এই প্রশ্নের উত্তর অনেক পরে পেয়েছিলাম আমি৷ সকলের অলক্ষ্যে ঘটে যাওয়া, সেই ঘটনা, সেই রাত, সেই যন্ত্রণা, প্রশ্ন-উত্তর-শেষ হয়ে যাওয়া শৈশব আজও আমি বয়ে বেড়াচ্ছি…এ সত্যি আমার সঙ্গেই একদিন মুছে যাবে এ পৃথিবী থেকে” ৷

আফসানা সেদিন পারেনি৷ কিন্তু আফসানার মতো আরও অনেকেই সত্যের অনুসন্ধান করে লড়ে সঠিক বিচার ছিনিয়ে নিয়েছেন৷ পাল্টে দিয়েছেন চিরাচরিত ধারাবাহিকতাকে৷ প্রয়োজন শুধু একটু সাহসের৷

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন  

চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন

চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস

 শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন

ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন

  • স্বাধীনতার জন্য সিরাজুল আলম খান জীবন যৌবন উৎসর্গ করেছিল
  • ৫৩ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ১০৬ জনকে সম্মাননা দিল ‘আমরা একাত্তর’
  • হাতিয়ায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
  • ৫৭ বছর বয়সে এসএসসি পাস করলেন পুলিশ সদস্য
  • শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
  • চলে গেলেন হায়দার আকবর খান রনো
  • গফরগাঁওয়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক শামছুন নাহার
  • ‘ও আল্লাহ আমার ইকবালরে কই নিয়ে গেলা’
  • ভিক্ষুকে সয়লাভ নোয়াখালীর শহর
  • কঠিন রোগে ভুগছেন হিনা খান, চাইলেন ভক্তদের সাহায্য
  • কান্না জড়িত কন্ঠে কুড়িগ্রামে পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল
  • অজানা গল্পঃ গহীন অরণ্যে এক সংগ্রামী নারী