শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

কী সেই বই, যাতে ঘুমিয়ে রয়েছে ৭২টি চরম ক্ষমতাধর আত্মা?

১৮ শতকের ইউরোপে প্রায় প্রকাশ্যেই মাথা চাড়া দেয় গুপ্তবিদ্যার চর্চা। এই সময়েই অকাল্ট চর্চাকারীদের হাতে হাতে ঘুরতে শুরু করে এমন একটি বই, যার কোনও নামই নেই।

ইউরোপে ১৮ শতক ছিল কালোজাদুর পুনরুত্থানের কাল। মধ্যযুগ ধরে ক্যাথলিক চার্চের দাপটে শয়তান উপাসকদের বহু রকম অন্তরাল খুঁজতে হয়েছেল। ক্রমাগত ‘উইচ হান্টিং’ এবং ডাইনি সন্দেহে একের পরে এক গণহত্যা তাঁদের এই অন্তরালবাসকে অনিবার্য করে তোলে। কিন্তু, ১৮ শতকের ইউরোপে প্রায় প্রকাশ্যেই মাথা চাড়া দেয় গুপ্তবিদ্যার চর্চা। এই সময়ে বেশ কিছু প্রাচীন গ্রন্থ পুনরুদ্ধৃত হয়, নতুন করে সংকলিত ও সম্পাদিত হয়। এই সময়েই অকাল্ট চর্চাকারীদের হাতে হাতে ঘুরতে শুরু করে এমন একটি বই, যার কোনও নামই নেই।

অজ্ঞাতনামা এই বইকে অবশ্য অকাল্টবাদীরা একটা নাম দেন— ‘ক্ল্যাভিক্যুলা সলোমনিস রেজিস’। এই খটোমটো নামকে স্থগিত রেখে দুটো ডাকনামও চালু হয়— ‘লেমেগেটন’ বা ‘লেসার কি অফ সলোমন’। দাবি করা হতে থাকে, এই গ্রন্থ আসলে বাইবেল-বর্ণিত কিংগ সলোমনের দ্বারা সংকলিত। বইটি ৫টি পর্বে বিভক্ত— ‘আরস গোয়েতিয়া’, ‘আরস থেরুজিয়া-গোয়েতিয়া’, ‘আরস পলিনা’, ‘আরস আলমেডাল’ এবং ‘আরস নটোরিয়া’।

কথিত আছে, রাজা সলোমন আমাদের দেশের কিংবদন্তির রাজা বিক্রমাদিত্যের মতোই পিশাচসিদ্ধি লাভ করেছিলেন। তফাত এখানেই, বিক্রমাদিত্য নিয়ন্ত্রণ করেতন দু’টি পিশাচকে আর সলোমনের তাঁবেতে ছিল ৭২টি পৈশাচিক শক্তি। ‘লেমেগেটন’-এর প্রথম পর্ব ‘আরস গোয়েতিয়া’-য় এই ৭২টি ডার্ক অস্তিত্বের একটি তালিকা রয়েছে এবং সেই সঙ্গে রয়েছে তাদের জাগানোর পদ্ধতি ও নিয়ন্ত্রণ করার প্রক্রিয়া। এই তালিকা থেকে জানা যায়, পৈশাচিক জগতও এক স্তরবিভক্ত সমাজ। সেখানে ক্ষমতার তারতম্য রয়েছে, আধিপত্য ও অধিনস্ততা রয়েছে। এই ৭২ পিশাচের মধ্যে অনেকেই আবার স্বর্গ থেকে বিতাড়িত দেবদূত। মনে রাখতে হবে, স্বয়ং শয়তানও একজন স্বর্গচ্যুত এঞ্জেল। তাঁর শাগরেদ হিসেবে এই ‘ফলেন এঞ্জেল’-রা সক্রিয় থাকে। এদের উপরে প্রভাব বিস্তার করতে পারলে অসংখ্য পার্থিব সুখের দরজা খুলে যায়।

অষ্টাদশ শতক থেকে ব্ল্যাক ম্যাজিশিয়ান এবং ডেমোনোলজিস্টদের হাতে হাতে ঘুরতে থাকে এই বই। ক্যাথলিক চার্চ বিশেষ কিছু করতে পারেনি ‘লেমেগেটন’-এর প্রসার-প্রতিপত্তির ব্যাপারে। মহা উৎসাহে ৭২ পিশাচের চর্চা চলতে থাকে। এমনকী, ১৯ ও ২০ শতকেও অকাল্টবাদীরা এই গ্রন্থকে ব্যাপক গুরুত্ব দেন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ