তাঁর নাম শুনলেই অনেকে ফিক করে হেসে ফেলেন। তাঁকে নিয়ে রচিত হয় জোকস। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বিরাট খোরাক। সানি লিওন নামের অভিনেত্রীকে এখনও অনেকেই ‘‘পর্ন করে’’ বলে অবজ্ঞা করেন। কিন্তু তিনি কি সত্যিই তাচ্ছিল্য পাওয়া বা খোরাক হওয়ার যোগ্য? সম্মান কি তাঁরও প্রাপ্য নয়?

সানি লিওন বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক পর্নস্টারের শরীর। সেটা হয়তো অস্বাভাবিকও নয়। কিন্তু এখন তো তিনি পুরোদস্তুর একজন নায়িকা। তা হলে তিনি কেন বলিউডের বাকি নায়িকাদের মতোই সম্মান পাবেন না? বলিউডেই ভেসে উঠেছে অন্তত ৫টি যুক্তি।

১. বলিউডে প্রায় সকলেই সানিকে ভালবাসেন। প্রশ্ন হল, বলিউডের যদি সানিকে গ্রহণ করতে আপত্তি না-থাকে, তাহলে বাকিদের কেন এত ছুঁৎমার্গ? শাহরুখ, আমির, সলমন, প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার মতো তারকারা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চান। এর পরেও সানিকে ‘খোরাক’ হতে হবে?

২. সানি লিওনকে কিন্তু প্রায় সর্বত্র ভারতীয় পোশাকে দেখা যায়। তিনি আমেরিকায় বড় হয়েছেন, বিখ্যাতও হয়েছেন সেখানেই। অথচ, বলিউডে পা রাখা ইস্তক তিনি সম্পূর্ণ ভারতীয়। এ দেশের সংস্কৃতিকেই বয়ে চলেছেন সর্বক্ষণ। তাহলে কেন তাঁকে কটাক্ষ সইতে হবে?

৩. তিনি প্রাক্তন পর্নস্টার। ঘটনা হল, ‘পর্ন’ যে ফিল্মের একটি জ্যঁর, তা গড়়পরতা ভারতীয় এখনও মেনে নিতে পারেন না। পুরো ব্যাপারটাই একটা ট্যাবু। এবং সেই কাজও তিনি বহু দিন হল ছেড়েছেন। অতীত তো সকলেরই থাকে। তা হলে এখনও তাঁর গায়ে ‘পর্নস্টার’ তকমা কেন লাগবে?

৪. সানি লিওন একজন পেশাদার। পেশাদারের মতোই তিনি কাজ করে চলেছেন এখানে। হিন্দি শিখেছেন, নাচ শিখছেন। ক্যাটরিনা কাইফকে সামনে রেখে এগোচ্ছেন, সে কথা নিজেই জানিয়েছেন। এমন মনোভাব কোনও চরম পেশাদারেরই থাকে।

৫. গুগ্‌ল-এ সবথেকে বেশি সার্চ কিন্তু তাঁকে নিয়েই হয়েছে ভারতে। ফলে, তাঁকে গাল পেড়ে আবার তাঁকেই খোঁজার মধ্যে, সানির গ্রহণযোগ্যতাই কি প্রমাণিত হয় না?