‘কে আছে? পুলিশের বাবাকে ডাক কেউ কিছু করতে পারবে না’
ওই রাতের অভিজ্ঞতা মনে করলে এখনও শিউরে উঠছি আমি। সুভাষপল্লি বাজারের সামনের রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে আমার স্বামী সুব্রত, দোকানে ফল কিনতে গিয়েছিল। গাড়ির সামনের আসনে বসে মোবাইল ফোন নিয়ে নাড়াচাড়া করছিলাম। হঠাৎ দুই যুবক এসে বলে এখানে গাড়ি দাঁড় করিয়েছিস কেন? গাড়ি সরা।
আমাকে বলছে এটা প্রথমে বুঝতেই পারিনি। জিজ্ঞাসা করি আমাকে কিছু বলছেন? ওরা বলে, হ্যাঁ। তোকেই বলছি। তোর গাড়ির ড্রাইভার কোথায়? গাড়ি সরা। কাউকে এত খারাপ কথা বলতে কখনও শুনিনি। ভয়ে গাড়ি থেকে নেমে আমার স্বামী কোথায় দেখতে যাই। দেখি, ও এগিয়ে আসছে।
সুব্রত গাড়ির কাছে আসার পরও একইভাবে গালিগালাজ করতে থাকে ওরা। ও রুখে দাঁড়িয়ে বলে, কেন গাড়ি সরাব? তা ছাড়া এ ভাবে কথা বলছেন কেন? এ কথা শুনে ওকে আরও বেশি করে গালিগালাজ করতে থাকে। পুলিশ ডাকার কথা বললে, বলে ডাক। কে আছে? পুলিশের বাবাকে ডাক। কেউ কিছু করতে পারবে না। মদ্যপ ওই যুবকদের কথা বলার ধরন দেখে ঘাবড়ে যাই।
পুলিশের এক কর্মকর্তাকে ফোন করে ঘটনা জানাই। তিনি বলেন, যেখানে আছি সেখানেই যেন দাঁড়িয়ে থাকি। তিনি শিলিগুড়ি থানায় বলে পুলিশ পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন। হঠাৎ মোটরবাইকে করে একটা লোক ওদের কাছে এসে বলে, চলে যা। না হলে বিপদে পড়বি। এরপরই ওরা মোটরবাইক নিয়ে পালায়। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ এসে পৌঁছায়। আমাদের চলে যেতে বললে আমরা চলে আসি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন