কোচিং বন্ধের নির্দেশনা মানেন না শিক্ষকরা
‘সবাই না হলেও কোনো কোনো শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের কোচিং করাতে বাধ্য করেন। শ্রেণী কার্যক্রমে অংশ না নিলেও কোচিং বাণিজ্যের নেশায় ছুটে চলেন তারা। এই চিত্র মোটেই ভাল নয়।’
এমন মন্তব্য করেছেন শরিয়তপুরের সরকারী গোলাম হায়দার খান মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম শেখ।
তিনি বলেছেন, ‘কোচিং বন্ধে নানা নির্দেশনা দেওয়া হলেও শিক্ষকরা তা মানেন না।’
ক্যাম্পাসের সবার কাছে জনপ্রিয় শিক্ষক নজরুল ইসলাম শেখ। হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তিনি। কলেজে যোগদান করার আগে নিয়মিত কোচিং করাতে তিনি। তবে কলেজে যোগাদানের পর শ্রেণী কার্যক্রমের বাইরে কোথায়ও শিক্ষা দেন না তিনি।
নজরুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘কোচিং আসলে পেশা নয়, ব্যবসা। অল্প বিস্তর লেখাপড়া করলেও এ প্লাস পাওয়া যায়, ভাল রেজাল্ট করা যায়। আর এ প্লাসের গুরুত্ব কমে যাওয়ায় ছাত্র ছাত্রীরা মনোযোগী হয়ে লেখাপড়া করে না।’
‘প্রাইভেট পড়ানো অনেকটা নেতিবাচক কাজ করে, সরকারতো অনেকবার চেষ্টায় করেছে, কোচিংয়ের ব্যাপারটাও সরকার বন্ধ করতে চেয়েছে, পত্রিকায় লেখালিখি হয়েছে কিন্তু বাস্তবে বন্ধ করা হয় নি।’
এই শিক্ষক বলেন, ‘কোচিং বন্ধে প্রয়োজন সম্মিলিত উদ্যোগ। ছাত্রছাত্রীরা ভেবে নন আমাকে প্রাইভেট পড়ে পরীক্ষা দিতে হবে আর তাই কলেজের ক্লাসে গড় হাজিরা দেয়। আসলে এটা জাতীয় পর্যায়ের সমস্যা ‘
‘আমি একা এই সমস্যা সমাধান করতে পারব না। আমি একা না পড়ালে যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে তা নয় বরং আমিই ছোট হয়ে যাচ্ছি।’
‘আমার ক্লাসে প্রথম বর্ষে ছাত্রছাত্রী থাকলেও দ্বিতীয় বর্ষে কম থাকে। আমি নিজেও যখন প্রাইভেট পড়িয়েছি তখন দেখেছি ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে আমার কাছে এসে পড়ত। আসলে সকল এক হয়ে সচেতনার হাত বাড়ালেই এই সমস্যার সমাধান আসবে।’
নজরুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘কোচিং বন্ধের জন্য আইন প্রণয়ন করলেই চলবে না, নীতি নির্ধারকদের সত্যিকার অর্থেই কোচিং যে চান না সেটার প্রমাণ মাঠে রাখতে হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূস: নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এবার দুর্গাপূজারবিস্তারিত পড়ুন
সোমবারের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করেনবিস্তারিত পড়ুন
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৪ কোটি ডলার
এ মাসের প্রথম ১৪ দিনে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখবিস্তারিত পড়ুন