বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

কোডেক্স গিগাসঃ শয়তানের নিজ হাতে আঁকা ছবি আছে যে বইতে!

মধ্যযুগে লেখা বইগুলির মধ্যে আকারে আয়তনে সবচেয়ে বড় বইয়ের নাম কোডেক্স গিগাস। বইটি লম্বায় প্রায় ৩৬ ইঞ্চি, প্রস্থে ২০ ইঞ্চি এবং পুরুত্ব প্রায় ৮ ইঞ্চি। বইটি লিখতে প্রয়োজন হয়েছে প্রায় ১৬০ টি গাধার চামড়া। আর বইটির ওজন কত জানেন? পাক্কা ৭৫ কেজি। শুধু এর বৃহত্তম আকারের জন্য নয়, কোডেক্স গিগাস বিখ্যাত আরেকটি কারণে।আরেকটি কারণ হল, এই বইটির ২৯০ নম্বর পৃষ্ঠায় একটা ছবি রয়েছে। বলা হয়ে থাকে এটা শয়তানের নিজ হাতে আঁকা ছবি। অর্থাৎ শয়তানের আত্মপ্রকৃতি। এরপেছনে একটি মিথ প্রচলিত আছে।

মিথ অনুসারে, মধ্যযুগের এক বেনডিক্টাইন সন্ন্যাসীর আহবানে সাড়া দিয়ে শয়তান নিজ হাতে এই বইটি লিখে দিয়ে যায়। ইতালির সন্ন্যাসী বেনডিক্টের মতানুসারীদে বেনডিক্টাইন বলা হয়। বেনডিক্টাইন সন্ন্যাসীদের কঠোর ধর্মীয় নিয়ম মেনে চলতে হয়। তো মধ্যযুগের কোন এক সন্ন্যাসী তাদের মঠের কোন নিয়ম ভঙ্গ করেছিলেন। তাকে নিয়মভঙ্গের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। মৃ

ত্যুদন্ড থেকে অব্যাহতি পাওয়ার একটাই মাত্র রাস্তা ছিল তার। সেটি হল এক রাতের ভেতর তার জীবনে অর্জিত সক জ্ঞান একটি বইয়ে লিপিবদ্ধ করতে হবে। শর্ত অনুযায়ী, তাকে প্রয়োজনীয় গাধার চামড়া আর কালি দিয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। অর্ধেক রাত লেখার পর সন্ন্যাসী লক্ষ করেন তিনি মাত্র একটা পৃষ্ঠার অর্ধেকমাত্র লিখতে পেরেছেন।

তিনি এবার বই শেষ করার জন্য শয়তানের কাছে সাহায্য চাইতে শুরু করেন। শয়তান তার আহবানে সাড়া দেয়। বাকি অর্ধেক রাতে পুরো বই লিখে শেষ করে দিয়ে যায় শয়তান। প্রমাণ হিসেবে নিজের ছবিও একে দেয় একটা পাতায়। এর বিনিময়ে সন্ন্যাসী শয়তানকে তার আত্মা দান করেন।

লাতিন ভাষায় লেখা এই বইটিতে বাইবেলের বিভিন্ন আয়াত, বিভিন্ন প্রাণি এবং গাছের বর্ণনা এমনকি কিছু ওষুধপত্রের বর্ণনাও দেয়া আছে। এমনকি কিছু উদ্ভট অর্থহীন কথাও লেখা আছে বইটিতে। ধারণা করা হয় অর্থহীন কথাগুলি আসলে কালোজাদুর মন্ত্র। বইটিতে প্রথমে ৩২০ টি পৃষ্ঠা ছিল। কিন্ত পরবর্তীতে ৮ টি পৃষ্ঠা কোথায় যেন হারিয়ে যায়। হারানোর পৃষ্ঠাগুলি কখনোই খুজে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয় ওই ৮ পৃষ্ঠাতে বেনডিক্টিয়ান ধর্ম বিষয়ে খুব গোপন কিছু লেখা ছিল।

বিজ্ঞানী এবং ইতিহাসবিদেরা শত চেষ্টা করেও জানতে পারেননি বইটির আসল রচয়িতা কে। তবে, একদল বিজ্ঞানী কার্বন টেস্ট করে জানিয়েছেন যে বইটি ত্রয়োদশ শতকের প্রথমদিকে বিভিন্ন পোকা মাকড় এবং গাছের রস ব্যবহার করে লেখা হয়েছে। হাতের লেখা এবং লেখার উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বলেছেন বইটি মাত্র একজনের হাতেই লেখা।

ইতিহাসবিদদের ধারণা বইটি বেহেমাসের (বর্তমান চেক প্রজাতন্ত্র) বেনডিক্ট পোডালাইজাসের আশ্রমে বসে এটি লেখা হয়েছিল। ১৬৪৮ সালে যুদ্ধের সময় সুইডিশ সৈন্যরা বইটি সুইডেনে নিয়ে আসে। এরপর থেকে এটি সুইডেনেই আছে। বর্তমানে বইটি সুইডেনের জাতীয় গ্রন্থাগার স্টকহোমে রাখা আছে। তবে বইটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়। বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে তবেই বইটির কাছে যাওয়া সম্ভব।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ