ক্যাম্পাসে যেভাবে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করা হচ্ছে
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকলেই একসময় চোখে পড়তো নানা সচেতনতামূলক ফেস্টুন। এসব ফেস্টুনে লেখা ছিল নকলমুক্ত ক্যাম্পাস, ধুমপানমুক্ত ক্যাম্পাস, ইভটিজিং (যৌন হয়রানি) মুক্ত ক্যাম্পাস, সেশনজটমুক্ত ক্যাম্পাস, রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস। কিন্তু এসব লেখা কেবল ফেস্টুনেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবের সঙ্গে এর কোন মিল নেই। ধীরে ধীরে ক্যাম্পাস থেকে সচেতনতামূলক এসব ফেস্টুন উধাও হয়ে গেছে। নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে এখন ফেস্টুনের উল্টো চিত্র চোখে পড়ে।
বিশেষ করে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রীদের যৌন হয়রানির বিষয়টি চরম আকার ধারণ করেছে। কিন্তু ছাত্রীদের তা প্রতিবাদ করার সাহস নেই। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছেও কেউ নালিশ করার সাহস পায় না। নিরবে সব সহ্য করতে হচ্ছে তাদের। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রীরা তাদের দু:খ প্রকাশ করছেন। আর এনিয়ে ফেইসবুকে তোলপাড় শুরু হয় ক্ষণে ক্ষণে।
সর্বশেষ গত ২২ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ছাত্রীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেয়ার সময় ইংরেজি বিভাগের এক ছাত্রী নোবিপ্রবিতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে যৌন হয়রানি বন্ধের দাবি জানান। সম্ভবত এটাই ছাত্রীদের প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ। এর বাইরে তাদের কিছু বলার সাহস নেই।
এদিকে ওই ছাত্রী বক্তব্য দেয়ার সময় মঞ্চে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীসহ অনেকে। কিন্তু যৌন হয়রানির বিষয়টি নিয়ে কেউ কোন কথা বলেননি। এতে ছাত্রীরা হতাশ হয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী জানিয়েছেন, ছাত্রী হলে যেতে হলে ছাত্র হলের সামনে দিয়ে যেতে হয়। এসময় ছাত্রীরা প্রায়ই যৌন হয়রানির শিকার হন। কিন্তু প্রতিবাদ করার কোন সাহস থাকে না। যৌন হয়রানি থেকে বাঁচতে ছাত্রীরা দলবেধে হলে ফেরেন। দলছুট হলেই নানাভাবে যৌন হয়রানির শিকার হতে হয় তাদের। ছাত্ররা এমনকি বহিরাগত বখাটেরাও নানাভাবে তাদের হয়রানি করেন। এতো বাজে বাজে অঙ্গভঙ্গি ও ভাষা ব্যবহার করা হয় যাতে নিজেকে দমিয়ে রাখা অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে। আবার অনেক সময় বখাটেরা গায়ের ওপর এসে পড়ে যেতে চায়। কিন্তু কিছু করার নেই। অগত্যা হলে এসে নীরবে চোখের পানি ফেলতে হয়।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ক ও ক্যান্টিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ বহিরাগত বখাটেদের দ্বারা যৌন হয়রানির মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকজন ছাত্রী। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন নতুন ব্যাচের ছাত্রীরা। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নেওয়াজ মো বাহাদুর বলেন, আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। তিনি আরও বলেন, ঈদের পরই পুলিশ প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে যৌন হয়রানি রোধে সচেতনতামূলক সভা-সেমিনারের আয়োজন করা হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
কুড়িগ্রামে টানা ৬ দিন বন্যায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। মানুষজনবিস্তারিত পড়ুন
চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট
প্রায় সাড়ে চার বছর পর আগামী ২৯ জুলাই থেকে চালুবিস্তারিত পড়ুন
রায়পুরায় বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
‘আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে, ঘরের ছেলে ঘরেবিস্তারিত পড়ুন