কয়েকজন লাখপতি ভিক্ষুকের গল্প..!
টাকা রোজগারের জন্য কেউ হন ব্যবসায়ী, কেউ করেন চাকরি আবার কেউবা ভিন্ন কোনো পেশা বেছে নেন। সাধারণত শুধুমাত্র বেঁচে থাকার তাগিদে অক্ষম মানুষরা ভিক্ষা করতে বাধ্য হয়। তবে এমনও অনেক আছেন যারা ভিক্ষাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তাদের আয় অনেক ব্যবসায়ীর চেয়েও বেশি। দিনের বেলা তিনি শতছিন্ন জামা পড়ে, তোবড়ানো থালা হাতে মানুষের কাছে হাত পাতেন। আর রাতে শুতে যান বিলাসবহুল নিজস্ব ফ্ল্যাটে। ভারতের এমন কিছু লাখপতি ভিক্ষুকের খোঁজ দিচ্ছি আপনাদের। চিনে নিন তাদের-
কৃষ্ণ কুমার গিটে : মুম্বাইয়ের চারনি রোড এলাকায় গেলে কৃষ্ণ কুমারের দেখাও পেয়ে যেতে পারেন আপনি। ভিক্ষাবৃত্তি করে তিনি দৈনিক ১ হাজার ৫০০ রুপি রোজগার করেন। পরিবারের সঙ্গে থাকেন নাল্লাসোপারার একটি অ্যাপার্টমেন্টে।
ভরত জৈন : ভারতের সবচেয়ে ধনী ভিক্ষুক তিনি। ৪৯ বছরের ভরতের মুম্বাইয়ের প্যারেল এলাকায় রয়েছে দুটি ফ্ল্যাট। এগুলোর প্রতিটির আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লাখ রুপি। তার মাসিক আয় ৬০ হাজার রুপির কাছাকাছি।
সারভাতিয়া দেবী : পাটনায় অশোক সিনেমা হলের পেছনে ভিক্ষা করেন তিনি। তিনিই ভারতের তৃতীয় ধনী ভিক্ষুক। বছরে ৩৬ হাজার রুপি এলআইসি প্রিমিয়াম দেন তিনি।
শম্ভুজি : ভিক্ষা করার জন্য মুম্বাইয়ের সুবারবান এলাকাই সবচেয়ে পছন্দ তার। শম্ভুজির দৈনিক রোজগার প্রায় এক হাজার রুপি। শোলাপুরে রয়েছে তার নিজস্ব বাড়িও। শম্ভুজির মতে, এই পেশা তার খুবই ভালো লাগে। কারণ এখানে কোনো ইনভেস্টমেন্ট নেই।
লক্ষ্মীদেবী : তার প্রথম ভিক্ষা জীবনের শুরু কলকাতা থেকে। পোলিওতে দুই পা-ই অক্ষম। ১৯৬৪ সাল থেকে ভিক্ষাবৃত্তিতে আছেন। তখন তার বয়স মাত্র ১৬। ৫০ বছরের লক্ষ্মীদেবীর বিপুল ব্যাংক ব্যালেন্স। ব্যাংক থেকে তাকে ক্রেডিট কার্ড পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।
মালানা : ধনী ভিক্ষুকদের মধ্যে তিনি রয়েছেন ষষ্ঠ স্থানে। মালানার একটি অটোরিকশা রয়েছে। প্রতিদিন সকালে অটো চালিয়ে ভিক্ষার জায়গায় পৌঁছান তিনি। পোশাক পরিবর্তন করে ভিক্ষা করতে বসেন। ৮-১০ ঘণ্টা তার ডিউটি। এই করেই বিপুল সম্পত্তির মালিক তিনি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন