খলশানি বিক্রির ধুম পড়েছে আত্রাইয়ের হাট-বাজারে
নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ): নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই বিভিন্ন হাট বাজারে দেশী প্রজাতির ছোট জাতের মাছ ধরার গ্রাম বাংলার সহজ লভ্য প্রাচীনতম উপকরণ বাঁশের তৈরি চাঁই বা খলশানি বিক্রির ধুম পড়েছে। উপজেলার হাটবাজারগুলোতে প্রতিদিন শত শত খলশানি বিক্রি হচ্ছে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা যায় হাট গুলোতে প্রতিদিন শত শত খলশানি বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার ঐতিহ্যবাহি আহসানগঞ্জ হাটের খলশানি পট্টিতে বেচা কেনার জন্য জনসাধারণের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
তথ্যঅনুসন্ধানে জানাযায়, উপজেলার সিংসাড়া সহ পাশের উপজেলার নিজামপুর, ঝিনা, খট্টেশ্বর, কৃষ্ণপুর-মালঞ্চিসহ বিভিন্ন গ্রামের ঋষি সম্প্রদায়ের লোকেরা তাদের স্ত্রী, পূত্র, কন্যাসহ পরিবারের সকল সদস্যরা মিলে এই অবসর মৌসুমে তাদের নিপুণ হাতের তৈরি করে বাড়ি থেকে নিয়ে এসে উপজেলার আহসানগঞ্জ, কাশিয়াবাড়ি, সুটকিগাছা, পাইকরা, বজ্রপুর, বান্ধাইখাড়া, মির্জাপুর-ভবানিপুরসহ বিভিন্ন হাটে বিক্রির জন্য পসরা সাজিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
বাঁশ কটের সুতা এবং তাল গাছের আঁশ দিয়ে তৈরি এসব খলসানি মানের দিক দিয়ে ভালো হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের অঞ্চল ভেদে বিশেষ করে হাওর অঞ্চলে মাছ শিকারীরা এসব হাট-বাজার থেকে পাইকারি মূল্যে তা নিয়ে যায়। ফলে এ পেশায় জড়িত পরিবারগুলো বর্ষা মৌসুমে এর কদর বেশিও যথাযথ মূল্য পাওয়ায় মাত্র দুই তিন মাসেই খলসানি বিক্রি করেই তারা প্রায় বছরের খোরাক ঘরে তুলে নেয়।
লাভ খুব বেশি না হলেও বর্ষা মৌসুমে এর চাহিদা থাকায় রাত দিন পরিশ্রমের মাধ্যমে খলশানি তৈরি করে তারা বেজাই খুশি। এক দিকে যেমন সময় কাটে অন্য দিকে লাভের আশায় বাড়ির সকল সদস্যরা মিলে খলশানি তৈরি কাজ করে অভাব অনঠনের কবল থেকে একটু সুখের নিশ্বাস ফেলে।
এসব খলশানি তৈরিতে প্রকার ভেদে খরচ হয় ৭০ থেকে ২শত টাকা, বিক্রি হয় ১০০ থেকে ৩ শত টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এতে করে খুব বেশি লাভ না হলেও পৈত্রিক এ পেশা ছাড়তে তারা নারাজ। আধুনিকতার উৎকর্ষের তৈরি ছোট জাতের মাছ ধরার সুতি , ভাদায় ও কারেন্ট জালের দাপটের কারণে দেশি প্রযুক্তির বাঁশের তৈরি খলসানি সামগ্রী এমনিতেই টিকে থাকতে পারছে না।
কিন্তু জীবনের তাগিদে তারা একেবারে কর্মহীন থাকতেও চায় না। তবে সরকারি বেসরকারী পৃষ্টপোষকতা ও সহযোগীতা পেলে মৌসুমের আগে বেশি পরিমান খলশানি মজুত করতে পারলে ভরা মৌসুমে বেশি দামে বিক্রি হলে লাভ ভালো হয়। উপজেলার একাধিক খলশান বিক্রেতার সাথে কথা বললে তারা জানান, খলসানি তৈরির সামগ্রীর দাম আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তাই আগের মতো আর লাভ হয় না। দীর্ঘ দিন থেকে এ ব্যবসায় জড়িত তাই ছাড়তেও পাড়ছি না। তারা আরও জানান, বর্ষা এবার আগাম শুরু হওয়ায় খলসানির কদরও বেড়েছে। হাট বাজারগুলোতে খলশানি বিক্রির ধুম পড়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
বগুড়ার ৩টি উপজেলায় নির্বাচন; ১৫৭ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ
রাত পোহালেই বগুড়ার তিন উপজেলা সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও গাবতলীতে ৬ষ্ঠবিস্তারিত পড়ুন
বিএনপি নেতাকর্মীরা বগুড়ায় আ.লীগ নেতার নির্বাচনী প্রচারণায়
বর্তমানে চলছে উপজেলা নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের মত এই উপজেলা বির্নাচনেওবিস্তারিত পড়ুন
পদ্মায় গোসলে নেমে একসঙ্গে নিখোঁজ ৩ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
রাজশাহীতে পদ্মায় গোসল করতে নেমে নিখোঁজ তিন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করছে ফায়ারবিস্তারিত পড়ুন