খালেদার প্রস্তাব হাস্যকর: আওয়ামী লীগ
সব দলের সঙ্গে আলাপা আলোচনা ও ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রস্তাবকে উড়িয়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিএনপি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই প্রস্তাবকে অগ্রহণযোগ্য এবং হাস্যকর আখ্যা দিয়ে বলেছেন, গতবার যেভাবে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ হয়েছে, আগামী কমিশনও একই প্রক্রিয়ায় গঠন হবে।
আগামী ফেব্রয়ারিতে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগেই নতুন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। আর তিন মাসেরও কম সময় আগে সংবাদ সম্মেলন করে সব দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানান খালেদা জিয়া।
বিএনপি নেত্রী এই প্রস্তাব দেয়ার পর পরই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংবিধানে ১১৮ অনুচ্ছেদে নির্বাচন সম্পর্কিত, নির্বাচন কমিশন সম্পর্কিত সব কিছু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে কোনো দ্বিচারিতার বিষয় নেই। সংবিধানে সব কিছু লাউডার অ্যান্ড ক্লিয়ার। আমরা সংবিধান মোতাবেক চলতে চাই। মহামান্য রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান এর আগে যেভাবে সার্চ কমিটি করেছেন এবং সার্চ কমিটি করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন, সে প্রক্রিয়া আমাদের সংবিধানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা সে প্রক্রিয়া থেকে বিচ্যুত হচ্ছি না এবং বিচ্যুত হওয়ার কোনো কারণ বা সুযোগও নেই্।’
সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে কোনো আইন করা কেন হচ্ছে না?- এমন প্রশ্নেরও জবাব দেন আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘বিএনপি এতদিন ক্ষমতায় ছিলেন, তার কি মনে ছিল না এখানে আইন করার দরকার? আমাদের সেটা চিন্তাভাবনা আছে। আমরা সময় মতো ঠিকই আইন করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেবো।’
খালেদার প্রস্তাব অন্তঃসারশূন্য হাস্যকর
নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রস্তাবকে অগ্রহণযোগ্য এবং কৃত্রিম রাজনৈতিক ইস্যু তৈরির চেষ্টা হিসেবেও দেখছেন ওবায়দুল কাদের।
কাদের বলেন, ‘তথাকথিত নির্বাচন কমিশন সংস্কারের ফর্মুলা অন্তঃসারশূন্য এবং জাতির সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়। বাংলাদেশের জনগণের ওপর কিংবা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ, র্যাব-বিজিবির প্রতি তার অশ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ তিনি ঘটিয়েছেন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে যে সংলাপ অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন তা হাস্যকর। কারণ তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সংলাপের আহ্বানকে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে চরম অসম্মান করেছেন। এমনকি পুত্র বিয়োগের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে সান্ত্বনা জানাতে গুলশান কার্যালয়ে ছুটে গেলে তিনি প্রধান ফটক বন্ধ করে প্রকারান্তরে সংলাপের সম্ভাবনাকে রুদ্ধ করে দিয়েছেন।’ (বিস্তারিত আসছে…)
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন